চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তা নিয়ে কথা বলবোই ! ডাকাতি হওয়ার পর থানায় মামলা না নিলে কি যে বিরম্বনায় পড়তে হয় তার উদাহরন উপরের শিরোনাম । খবরটি পড়ে যদি কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে বা কর্মরতদের সাবধান হওয়ার সুযোগ হয় । খবরটি হুবহু পেষ্ট করলাম ।
প্রায় ৭ বছর পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, তৎকালীন আইজিপি ও ৪ পুলিশ কর্মকর্তা সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও তাতে সহায়তা প্রদানের মামলা হয়েছে। গতকাল সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল হাসেমের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার রাজনপুর গ্রামের মো. হবিবুল ইসলাম শাহ।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৫ সালের ১৯শে জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সিলেট আসার পথে দক্ষিণ সুরমার ধরমপুর গ্রামের পাশে এলে দিন দুপুরে ৬ ডাকাত একটি মাইক্রো (ঢাকা মেট্রো-গ-২০৯৩) দিয়ে তার বেবিটেক্সির গতি রোধ করে একটি পিস্তল ও একটি ডেগার তাক করে জিম্মি করে নগদ ৫ হাজার টাকা ও তার স্ত্রীর সোয়া ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এই ঘটনার আধ ঘণ্টার মধ্যে তিনি দক্ষিণ সুরমা থানায় এজাহার দাখিল করলেও এটি পুলিশ এখনও মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি। এই ডাকাতির ভয় আর স্বর্ণালঙ্কার হারানোর দুঃখ সইতে না পেরে এর এক মাসের মাথায় তার স্ত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। থানা পুলিশ মামলা রেকর্ড না করায় তিনি একই বছর ২৪শে মার্চ বিষয়টি তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের বরাবর একটি দরখাস্ত রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠান। একই দরখাস্তের অনুলিপি একই ভাবে তৎকালীন আইজিপি, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর পাঠান।
এরপর তিনি গত ৬ বছর ১১ মাস ৭ দিন ধরে অপেক্ষা করে এর প্রতিকার না পেয়ে অজ্ঞানামা ৬ ডাকাতকে ১ থেকে ৬ নং আসামি করে ও ৭ থেকে ১১ নম্বর তৎকালীন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সিলেটের পুলিশ সুপার, সিলেটের ডিআইজি ও আইজিপি’র বিরুদ্ধে আদালতে একটি দরখাস্ত মামলা দায়েরের উদ্যোগ নিয়েছেন। মামলায় তিনি ৬ ডাকাতের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে সরকারি দায়িত্বে অবহেলা, ডাকাত দলকে আটক না করে তাদের মদত দান ও সহায়তা করার অভিযোগ এনেছেন। আদালত মামলার শুনানি শেষে এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে এসএমপি’র মোগলাবাজার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এডভোকেট এম. মঈনুল হক বুলবুল ও এডভোকেট নাজমুল ইসলাম। মামলার বাদী মো. হবিবুল ইসলাম শাহ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিপ্লবী সরকারের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার প্রশাসক সহ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানীর একান্ত সহচর ছিলেন।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।