আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুরু হচ্ছে জাতীয় শিশু-কিশোর ও যুব নাট্যোৎসব

‘শিশু-কিশোর তথা সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সংস্কৃতি মনষ্ক করে তোলার লক্ষ্যে শিশুবান্ধব সমাজ চাই’-- এ প্রত্যয় নিয়ে পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন ১২তম বারের মতো এবারের উৎসবের আয়োজন করছে।  

এতে সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জনতা ব্যাংক।

এবারের উৎসবে দেশের বিভিন্ন জেলার ৬৪টি যুব নাট্য সংগঠনের ৬৪টি প্রদর্শিত হবে।  

শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উৎসবের আয়োজকরা।

আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার বিকেল ৫ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার এবং পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এস. এম. মহসীন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পিপলস লিটল থিয়েটারের পাশাপাশি পারফর্ম করবে সাংস্কৃতিক সংগঠন সাংস্কৃতিক সংগঠন স্পন্দন, বন্ধুমহল শিল্পী সংস্থা ও কল্পরেখা। এতে নৃত্যশিল্পী মুনমুন আহমেদ ও তার দলের বৃন্দ পরিবেশনাও থাকছে। আরও থাকছে শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দলের বিশেষ পরিবেশনা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয়ে যাবে মূল নাট্যোৎসব।

উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হবে হবিগঞ্জের প্রতীক লিটল থিয়েটারের ‘পূজার সাজ’, গোবিন্দগঞ্জের চিন্তক দলের ‘চন্দ্রালিকা’, মুন্সিগঞ্জের থিয়েটার সার্কেলের মাইমো ড্রামা নাটক ‘পাহাড়া’, ফরিদপুরের খেয়া সাংস্কৃতিক সংস্থার ফেরা, গাজীপুরের বন্ধুমহল শিল্পী সংস্থার ‘এক যে ছিল টুই’, খুলনা আর্ট স্কুলের ‘সুন্দরবনের কতকথা’, পঞ্চগড়ের বিদ্রোহী শিশু-কিশোর থিয়েটারের ‘চুক্তির মুক্তি’, নরসিংদীর বাংলা শিশু নাট্যমের  ‘দখল’।

নাটকগুলো শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

১৯৯০ সালে যাত্রা শুরু করে পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন। এ পর্যন্ত তারা সারাদেশের ৭০টি স্কুলে ছয় শতাধিক শিশুনাট্য কর্মশালা পরিচালনা করেছে। এর অধীনে গড়ে উঠেছে ২৬২টি শিশু-কিশোর, আদিবাসী ও অবহেলিত শিশু-কিশোরদের শিশু-কিশোর ও যুবনাট্য সংগঠন।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নাট্যচর্চা ও নাট্যধারা বিকাশের লক্ষ্যে দিনাজপুরে আদিবাসী কালচারাল ইন্সটিটিউট স্থাপন করেছে তারা। এছাড়া এ জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য শিশুনাট্য কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে দলগঠন ও কর্মশালা আয়োজন করেছে তারা।

১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় শিশু কিশোর নাট্যোৎসবের আয়োজন করে। বিভাগীয় পর্যায়ে ২৭টি শিশু-কিশোর নাট্যোৎসবের পাশাপাশি তারা ২টি যুব, অবহেলিত ও আদিবাসী শিশুনাট্য উৎসব ও ১টি আন্তর্জাতিক উৎসব আয়োজন আয়োজন করেছে পিপলস থিয়েটার।

দেশের বাইরে ৬৫ টি আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে তারা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় সারাদেশে শিশু-কিশোরদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি তারা জাতীয় শিশু দিবস ও বিশ্ব শিশু-কিশোর ও যুবনাট্য দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

এছাড়া পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক নাট্য সংগঠন আইয়াটা ও আসিটেজের সদস্যপদ লাভ করেছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.