আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুশফিকের বক্তব্যে ফারুকের প্রতিক্রিয়া

এশিয়া কাপের স্কোয়াড নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। নির্বাচকরা তার মতামত নেননি বলে বোমা ফাটিয়েছিলেন মিডিয়ায়। এরপর তুলকালাম! হৈ চৈ চারিদিকে। বোমা ফাটালেও শেষ পর্যন্ত ওই দল নিয়েই খেললেন টাইগার অধিনায়ক। বরং কড়া ভাষায় মন্তব্য করে দূরত্বের সৃষ্টি করলেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের সঙ্গে।

যদিও সম্পর্কের বরফ গলেছে বলেই জানিয়েছে বিসিবি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর বোমা না ফাটালেও ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুশফিক। টি-২০ বিশ্বকাপে দল যাতে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে, সেজন্য দলকে ঢেলে সাজানোর কথাও বলেছেন। অধিনায়কের মন্তব্য শুনে প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আলোচনায় যেন অধিনায়ক কথাগুলো বলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৬৭ রানে ৮ উইকেট তুলে নেওয়ার পর টাইগারদের মধ্যে ভর করেছিল আয়েশি মেজাজ।

গুনতে হয়েছিল খেসারত। হেরেছিল। একইভাবে, একই আচরণ দেখা গেছে আনকোরা আফগানিস্তানের বিপক্ষেও। ৯০ রানে প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে যখন আরও বেশি করে চেপে ধরার কথা, তখনই রশি আলগা করে দেন মুশফিকরা। মেজাজি হয়ে উঠেন ফতুল্লার সবুজ ঘাসের চত্বরে।

হালকা মেজাজ চলে আসার খেসারতও গুনেন ম্যাচ হেরে। এরচেয়ে লজ্জা টেস্ট খেলুড়ে দেশ হওয়ার পর বোধ হয় আর কখনোই পায়নি বাংলাদেশের ক্রিকেটপাগল ভক্তরা। ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক যখন মিডিয়ার সামনে আসেন, তখন তাকে দেখে মনে হচ্ছিল কেউ যেন কালির আচর এঁকে দিয়েছেন তার সুন্দর মুখে। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হারের জন্য লজ্জা পেয়েছেন। বিব্রত হয়েছেন।

কষ্ট পেয়েছেন। টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো ফলাফলের জন্য প্রয়োজনে দলে পরিবর্তনের কথা বলেন। এর উত্তরে প্রধান নির্বাচক বলেন, 'মিডিয়ায় কাছে যাই বলুন না কেন, তিনি টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনার সময় যেন কথাগুলো বলেন। ' অবশ্য এর আগে স্কোয়াড নিয়ে অধিনায়ক যখন নাখোশ হয়েছিলেন, তার প্রতি উত্তরে তখন কিছুই বলেননি প্রধান নির্বাচক। আফগানদের বিপক্ষেই শুধু ক্যাচ মিস করেনি টাইগাররা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পুরো সিরিজে মহড়া দিয়ে ক্যাচ মিস করেছে একের পর এক। এই মিসের কোনো কারণ খুঁজে পাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে প্রধান নির্বাচকের কাছে এর একটা ব্যাখ্যা রয়েছে। তিনি মনে করেন, 'এই ক্যাচ মিস হঠাৎ করেই হয়নি। অনেকদিনের ফসল এটা।

অনেকদিনের রেশ এটা। 'তার মানে কি ক্রিকেটাররা ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ অনুশীলন করেন না? এর উত্তর দেননি প্রধান নির্বাচক। তবে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মানসিকতায় গত চার-পাঁচ বছরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তবে সেটা মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরে! টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি মাত্র দুই সপ্তাহ। এর মধ্যে যদি ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস ফিরতে না পারে, তাহলে হয়তো টি-২০ বিশ্বকাপে দর্শক হয়েই থাকতে হবে বাংলাদেশকে।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.