চলতি বছর মাত্র দুটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। একটি জয়, আরেকটি হার। সেটাও জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে গত বছর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মুশফিকদের সিরিজটি ছিল আশা জাগানো। সিরিজ হারলেও লঙ্কানদের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছিল টাইগাররা।
নিকট অতীতের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করেই আজ চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। মাঠে নামার আগে মুশফিকদের আত্দবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে ২০১০ সালের 'বাংলাওয়াশ'র ঘটনাটি। অনভিজ্ঞ এক দলের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিল 'ক্রিকেট পরাশক্তি' নিউজিল্যান্ড। যদিও টেস্ট এবং ওয়ানডের পার্থক্য অনেক। তারপরও ওই সিরিজকে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম।
গতকাল তিনি বলেন, '২০১০ সালের ঘটনাটা আমাদের অনেক অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। আমাদের আত্দবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও আমরা অনেক দিন পর টেস্ট খেলতে নামছি। তাই আমাদের আসল চ্যালেঞ্জটা নিজেদের সঙ্গেই। ওয়ানডে থেকে টেস্ট সম্পূর্ণ আলাদা।
তাই আমরা চেষ্টা করব দ্রুত খাপখাইয়ে নেওয়ার জন্য। এটা যত দ্রুত করতে পারব ততই ভালো হবে আমাদের জন্য। তবে জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না আমরা। '
বাংলাদেশের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে স্পিন। এই সিরিজেও স্পিনারদের ওপর ভরসা করছেন মুশফিক।
তবে সবাইকে সতর্কভাবে খেলার কথা বলেছেন তিনি। মুশফিক বলেন, 'টেস্ট পাঁচ দিনের খেলা। তাছাড়া প্রতিদিন তিনটি করে সেশন। আগে আমরা একদিন ভালো খেলতাম তো আরেক দিন খারাপ করতাম। কিন্তু গত শ্রীলঙ্কা সফর থেকে আমরা চিন্তা করেছি প্রতিটি সেশনই ভালো খেলতে হবে।
এক সেশন ভালো করলে আমরা পরের সেশনে ভালো করার জন্য চিন্তা করি। আমাদের লক্ষ্য সেশন বাই সেশন ভালো করা। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। '
ঘরের মাঠে খেলাটা বাড়তি চাপ কিনা, এমন প্রশ্নে মুশফিক বলেন, 'চাপ অবশ্যই আছে এবং থাকবে। কারণ আমরা স্বাগতিক দল, তাই চাপটা একটু বেশি।
তাছাড়া গত এক-দেড় বছর থেকে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। তাই দর্শকের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেছে। তবে খেলোয়াড়রা এখন অনেক বেশি পরিণত। তারা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে খুবই সচেতন। সবাই যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারে তবে ভালো কিছু করা সম্ভব।
' বাংলাদেশের প্রধান ভরসা সাকিব আল হাসান। ভালো কিছু করতে হলে সাকিবের জ্বলে উঠার বিকল্প নেই বলে মনে করেন মুশফিক। তবে দেশসেরা তারকার সদ্য ইনজুরি থেকে ফিরে এসেছেন। তারপরও সাকিবকে নিয়ে আশাবাদী অধিনায়ক। তিনি বলেন, 'সাকিবের অবস্থা এখন অনেক ভালো।
কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে তাকে বেশ কিছুদিন ইনজুরিতে থাকতে হয়েছিল। প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলতে পারলে ভালো হতো। তবে আশা করি সে ভালোই করবে। সাকিব যত দ্রুত রানে ফিরে আসবে আমাদের জন্য তত ভালো। ' দলের কম্বিনেশন সম্পর্কে মুশফিক বলেন, 'আমাদের দল আগের মতোই হবে।
তবে একাদশে খেলবে না খেলবে তা কাল (আজ) সকালেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কন্ডিশনের কথা চিন্তা করে আমরা বেশি স্পিনার খেলাতে পারি। তবে ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে আশরাফুল ভাই ব্যাটিং করত। সেখানে নতুন কেউ একজন আসতেও পারে। '
খেলা মাঠে গড়ালে হয়তো আজই অভিষেক হতে যাচ্ছে মার্শাল আইয়ুবের।
তাছাড়া চার নম্বর পজিশনে নাঈম ইসলাম কিংবা মমিনুল ইসলামের যে কোনো একজন খেলতে পারে। তবে যেই খেলুক না কেন ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী মুশফিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।