বুধবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রথম রাউন্ডের খেলা শেষে তিনি বলেন, “প্রথম রাউন্ডে ৬টি শতক হয়েছে। এটা দারুণ ব্যাপার। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য এমনিতেই তীব্র লড়াই হয়। ব্যাটসম্যানদের এই পারফরম্যান্স তাতে নতুন মাত্রা যোগ করছে। ”
ব্যাটিং-সহায়ক পিচে খেলা হলেও ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব খাটো করে দেখতে রাজি নন মুশফিক।
তিনি বলেন, “উইকেট যেমনই হোক, রান করতে হলে ভালো ব্যাটিং করতেই হবে। আমি যেমন প্রথম ইনিংসে ভালো খেলতে পারিনি, কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করেছি। ”
দ্বিতীয় রাউন্ডে বোলারদের কাছ থেকে আরো ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা জানিয়ে মুশফিক বলেন, “উইকেট থেকে তেমন সহায়তা না পেলেও বোলারদের নিখুঁত লাইন-লেন্থে বল করা শিখতে হবে। ব্যাটসম্যানদের রান নেয়া আরো কঠিন করে তুলতে হবে তাদের। ”
এদিকে শেষ দিনে মুশফিক ও নাঈম ইসলাম শতক করলেও বিসিবি নর্থ জোন ও প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের খেলা নিষ্প্রাণ ড্র হয়েছে।
কুয়াশার কারণে বুধবার এক সেশনের বেশি খেলা হতে পারেনি। নাঈম, মুশফিক, নাসির হোসেনদের ব্যাটিং অনুশীলন অবশ্য ভালোই হয়েছে।
৩ উইকেটে ১৫৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করে ৭ উইকেটে ৩৪১ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় নর্থ জোন। আলোকস্বল্পতায় এরপর আর খেলা হতে পারেনি।
১৫৩ রানের চমৎকার ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে নর্থ জোনের ফরহাদ রেজার হাতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নর্থ জোন: ৪২১ (ফরহাদ রেজা ১৫৩, নাসির ৯৯, ফরহাদ হোসেন ৭৬; রবিউল ৩/৪৪, রাজ্জাক ৩/১০৫) ও ৩৪১/৬ (জহুরুল ০, জুনায়েদ ২৪, ফরহাদ ৪১, নাঈম ১০৬, মুশফিক ১০০, নাসির ৫০, সাব্বির ১০, ফরহাদ রেজা ৪*, তাইজুল ০*; রবিউল ২/৪০, তাইবুর ২/২৭, সোহাগ ১/৪১, আল-আমিন ১/৬১)
সাউথ জোন: ৪২৭/৮ ডিক্লে. (ইমরুল ১২৭, মিঠুন ১০৭; তাইজুল ৪/৯৭)
ম্যাচ সেরা: ফরহাদ রেজা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।