মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, “প্রথম লক্ষ্য তো অবশ্যই দ্বিতীয় পর্বে উত্তরণ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ। আমরা ঐ ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। ওদের হারিয়ে এশিয়া কাপে হারের প্রতিশোধ নিতে চাইবো। ”

১৬ মার্চ এই স্টেডিয়ামেই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগাস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য দুই প্রতিপক্ষ নেপাল ও হংকং।

“আরো দুইটা ম্যাচ আছে, নেপাল ও হংকং এর বিপক্ষে। আশা করি, তিন ম্যাচ জিতে যেন পরের রাউন্ডে যেতে পারি। ” যোগ করেন তিনি।

এশিয়া কাপে কাপে আফগানিস্তানের কাছে ৩২ রানে হারলেও শক্তির বিচারে নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

তবে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দিনে যে কেউ জিততে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

“টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শক্তির পার্থক্য কোনো বিষয় নয়, নিজেদের দিনে সেরা ক্রিকেট খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। একজন বোলার বা ব্যাটসম্যান পুরো চিত্র পাল্টে দিতে পারেন। ”

চাপের মধ্যে মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী মুশফিক বলেন, “আশা করি, সবাই ফিট থাকবে। সেক্ষেত্রে আমাদের শক্তিও বাড়বে।

আফগানিস্তানকে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলে হারানোর ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। ”

এশিয়া কাপের ব্যর্থতা নিয়ে এখন আর ভাবছেন না মুশফিক। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আফগানিস্তানের অনেক ক্রিকেটারকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন।

“ওদের সঙ্গে সম্প্রতি আমরা খেলেছি। ওরা কে কেমন খেলে আমরা জানি।

সেই ম্যাচে সাকিব, তামিম, মাশরাফি খেলেননি। তাই আমাদের পূর্ণ শক্তি সম্পর্কে ওদের ধারণা থাকা সম্ভব নয়। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এবার যে কোনো ধরনের চাপ আমরা জয় করতে পারবো। ”

 

।