দশম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলটির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ রোববার সংসদে বলেন, বিএনপি ধীরে ধীরে ‘ছোট’ হয়ে আসবে।
জিয়াউর রহমানের কর্মসূচি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রস্ট (বিএনএফ) আত্মপ্রকাশ করে নিবন্ধনের আবেদন করলে তার ঘোর বিরোধিতা করে বিএনপি।
এর মধ্যেই নিবন্ধন পাওয়ার পর বিএনপিবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসনে ভোটে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হন বিএনএফ প্রধান আজাদ। তার ওই আসনে শুধু জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন এবং স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় দাঁড়িয়ে আজাদ বলেন,মহাজোটের বাইরে একমাত্র দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলগতভাবে একমাত্র সাংসদ হয়েছেন তিনি।
“আমি ট্রেজারি বেঞ্চেও নেই, অপজিশনেও নেই। আমার অবস্থান ব্যতিক্রম। বিএনপি আমাকে মেরে ফেলার কত হুমকি দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের পাশে থেকে নির্বাচনে এসে এ নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছি। ”
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া ১৯৭৮ সালে বিএনএফের হয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছিলেন দাবি করে তিনি দলটির এখনকার নেতৃত্বে থাকা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সমালোচনা করেন।
“জিয়ার কিছু ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু তিনি ছিলেন নির্লোভ। তবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। ”
ফাইল ছবি
বিএনএফের বিরোধিতাকারী খালেদার উদ্দেশে আজাদ বলেন, “বেগম সাহেবা-ইসি শোনেনি আপনার কথা। এখন ইসিও রয়েছে, বিএনএফও আছে সংসদে।
আস্তে আস্তে বিএনএফ বড় হবে, আপনার বিএনপি ছোট হবে। ”
তবে কিভাবে বিএনপি ছোট হবে সে কথা বলেননি বিএনএফের প্রধান সমন্বয়ক। এর আগে তিনি একবার বলেছিলেন, বিএনপির অনেক নেতা তার দলে যোগ দিতে চাইছেন।
সংসদে বক্তব্যে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের দিন ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবি তোলেন এই সাংসদ। সেই সঙ্গে জয়বাংলা স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণার দাবিও জানান তিনি।
নিজের ১৭ মিনিটের বক্তব্যের শেষে বসে পড়তেই সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ ‘জয়বাংলা’ বলে ইতি টানার জন্য আজাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তখন তিনি ‘জয়বাংলা’ বলতে না পারায় ইশারায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।