we need to read and understand the order given to us the QUR'AN and spread the TRUE message of ISLAM , The love for your fellow human, the respect for WOMEN, making world a Better Place
ইহা একটি ক্রিকেটিয় পোস্ট
নিজের ব্লগে লিখে রাখা সংবাদ ও মন্তব্যের সমন্বয়
বর্তমান বাংলাদেশর দুরবস্থার এক দলিল হয়ে থাকুক না হয় ...ভবিশ্যতে বিশ্বকাপ জেতার পরে এই পোস্ট টা হয়তো আমাদের মনে করিয়ে দেবে কোথা থেকে কোথায় এলাম।
পাকিস্তানের কাছে ৩২৬ করেও হারার কিছু কারন নিজের অবুঝ মন কে বুঝ দেয়ার প্রায়স। গত বারও কেদে ছিলাম এবার কাদলাম বলতে দ্বিধা নেই মেয়ের বাবা হয়েও খেলার জন্য কেদেছি...মন তো আর মানেনা কি আর করা।
নিচের বাক্য সমুহ সংবাদ পত্রের রিপোর্ট ও পাঠকের মন্তব্য হতে নেয়া:
"ম্যাচ জিতে পাকিস্তান যত না আনন্দিত, তার চেয়ে বেশি বিস্মিত। মিসবাহ-হাফিজের বিস্ময়, নাসির-মুমিনুল এত ভালো বল করার পরও কেন শেষ দিকে তাঁদের হাতে আর বল দিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
তাঁরা তবু নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন, সুযোগ পেয়ে উমর গুল তো প্রশ্নই করে বসলেন মুশফিককে! রাতে হোটেলে ফেরার পর লিফটে ক্ষণিকের সাক্ষাতে বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে গুল জানতে চাইলেন, ‘শেষ দিকে পেসার আনা উচিত ছিল। স্পিনার দিয়ে বল করালে কেন?’ মুশফিক নিরুত্তর। "
রাজ্জাকের কাছে পাকিস্তান ম্যাচে তাঁর করা আলোচিত ৪৮তম ওভারটি নিয়ে জানতে চাইলে একটু ক্ষোভ নিয়ে বললেন, ‘১০ বছর খেলার পর আবার যেন অভিষেক ম্যাচ খেললাম...আমার সঙ্গে আর কী কথা বলবেন। ’ রাজ্জাকের ক্ষোভের কারণটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ৪৮তম ওভারে ১৮ রান দিয়ে যে প্রতি মুহূর্তেই শুনতে হচ্ছে সমালোচনা!
গত কাল শফিউল আলামিন ছেড়াবেড়া বল করার পরেও তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আক্রমনে আনা হলো, জিয়া মিডিয়াম পেসের বল করে কিন্তু বেশির ভাগই স্ট্যাম্প তো স্ট্যাম্প, তারে try -ই করানো হলো না!
দলে থাকার পরও পেসার জিয়াউর রহমানকে দিয়ে এক ওভারও বল করাননি মুশফিক।
করাবেনই বা কেন! জিয়া যে তাঁর দৃষ্টিতে ‘অকেশনাল বোলার’! ওই সময় অকেশনাল বোলারকে দিয়ে বল করানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেত। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, যারা সব সময় বল করে, তাদের দিয়েই করানো’—ব্যাখ্যা মুশফিকের।
শহিদ আফ্রিদি খেলতে নামার সাথে সাথেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সহ সকল খেলোয়ার যে ভাবে নার্ভাস হয়ে পড়ল দেখে অবাকই লেগেছে। অথচ খেলা শুরুর অনেক আগেই পাকিস্তানের খেলোয়ারদের বিরুদ্ধে কি ছকে খেলতে হবে তার একটা পরিকল্পনা থাকা উচিৎ ছিল। যেখানে শহিদ আফ্রিদির জন্যই ভারতে সাথে পাকিস্তান জিতল সেখানে শহিদ আফ্রিদির বিপক্ষে কি ধরনের কৌশল নিয়ে খেলতে হবে তার কোন পরিকল্পনাই বাংলাদেশ দল করে নাই দেখে যে কোন ক্রিকেট খেলা সচেতন দর্শক আবাকই হবে।
পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচের পর অনেকেই মুশফিকের অনেকেই বা বাংলাদেশ টিমের মুন্ডুপাত করছেন। জয় পরাজয় থাকবেই খেলাতে, সেটা মেনে নিয়েই সামনে এগিয়ে জেতে হবে। জয় পরাজয়ের হিসাব না করে আসুন আমরা এ ম্যাচ থেকে প্রাপ্তির হিসাবগুলি করি। এ ম্যাচ থেকে কি পেলাম আমরা? আজ কি কি দেখলাম আমরা?
১। দেখলাম দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া একটি দলের নিজেদের ফিরে পাওয়া, সবাইকে দেখিয়ে দেওয়া যে আমরাও পারি।
২। পাকিস্তানের মতো বোলিং শক্তির বিপক্ষে ৩২৬/৩ গর্ব করার মতো স্কোর।
৩। বাংলাদেশ দেখিয়ে দিল তারাও শেষ ১০ ওভারে ১২১ করতে পারে।
৪।
এই ম্যাচ আবারও প্রমান করল ক্রিকেট এ পরিসংখ্যানই শেষ কথা নয়।
৫। দেখলাম সাড়ে তিন বছর পর দলে ফেরা একজনের (দলে যার ভুমিকাই হয়ে গিয়েছে পানির বোতল টানাটানি আর এক্সট্রা হিসেবে ফিল্ডিং করা) অসাধারন কামব্যাক,
৬। অতিমানব শহীদ আফ্রিদির আরেকটি অতিমানবীয় ইনিংস।
৭।
কোন বল না করেই ৮ রান দেয়ার বিরল রেকর্ড।
৮। পেন্ডুলামের চেয়েও দ্রুতগতিতে দুলতে থাকা এ ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তিত হয়েছে প্রতি বলে বলে।
৯। সবার উপর এ ম্যাচ ক্রিকেটের গৌরবময় অনিচ্ছিয়তার আরেকটি অসাধারন উদাহরন হয়ে রইল।
শেরে বাংলা স্টেডিয়াম সাক্ষি হয়ে রইল ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা একটি ম্যাচের।
১০। পাকিস্তান-বাংলাদেশ দেখিয়ে দিল শুধু তিন জমিদার নয়, তারাও পারে ধ্রুপদি একটি ম্যাচ উপহার দিতে। সবার উপর এ ম্যাচে জয় হল ক্রিকেটের। ।
একটা ব্যাপার বাদ পড়েছে ৷ বাংলাদেশের যে কজন ব্যাটিং করেছে তাদের সবারই ৫০ এর উপরে (২টা বল বেশি খেলতে পারলে সাকিবেরও হত, তাই ধরেছি) ৷
আর সবচেয়ে বড় পাওয়া আমাদের সার্পোটার তারা যেমন কাদে
আমাদের ক্রিকেটার রাও তেমনি কে কাদে
একেই বলে ভালোবাসা। কত আনন্দের উপলক্ষ, কত আশা জাগানো ম্যচ, কত না পওয়ার কস্ট, তবুও ভালোবেসে যাই সুখ দুখে সাথি যে তোরাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।