আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

♦বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ (একাল -সেকাল )♦

উন্নত বিশ্বের সাথে উন্নয়নশীল বিশ্বের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো যে, উন্নত বিশ্বের মানুষেরা সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করতে চায়। অন্যের দুঃখে দুঃখিত হয় এবং অপরের দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করে। আর আমরা অন্যের কষ্টে আনন্দ পাই, উন্নয়নের পথে যতটুকু সম্ভব তার চেয়ে বেশি বাধা দে

তিনি জাতির পিতা হউক আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পিতা হউক তাতে হয়ত দলগত কারণে অনেকের দ্বিমত থাকতে পারে ! কিন্তু তিনি যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ,বাংলাদেশের সর্বস্থরের জনগনের প্রানের নেতা ছিলেন সেই ব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয় ! বিশেষ করে ৭ ই মার্চের সেই রক্ত পাগল করা ভাষণ যার হাত ধরে পরবর্তী স্বাধীনতা অর্জন পুরাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কীর্তি !
বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে স্বরণ করতে আজকে তাঁর সুযোগ্য উত্তরসুরী , গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল ভাষণ দেন যা বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণের মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মত !! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই ত্বেজদ্বীপ্ত ভাষণ দিয়ে থাকেন যা শুনে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা ত্বেজবান হন সবসময়ের জন্য !!প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনলে আসলেই মনে হয় উনিই বঙ্গন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী !তবে ইদানিং ওনার ভাষণের খুব বড় অংশ জুড়ে থাকে ওনার সাবেক সহকর্মী বি এন পি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করা !! আজকে যেহেতু ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে স্মৃতিচারণ মূলক জনসভা আমরা ভেবেছিলাম বঙ্গবন্ধুর মতি একটা রক্তপাগল করা ভাষণ দিবেন , কিন্তু বেশি কিছু আশা করা ভুল বুঝলাম আমি এতদিনে , তা সত্যি প্রমান করে বরাবরের মতই প্রধানমন্ত্রী সুলভ ভাষণ দিয়ে গেলেন !!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভাষনে আবার আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বেশকিছু খোঁচা মারা কথা বলেছেন যা পঁচা কথারই সামিল! বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নাম দিয়েছেন 'বদু কাকা'! আসলে শেখ হাসিনার মুখে যেন কিছু আটকায় না! উনি ভাষণ দেওয়ার সময় ভুলে যান যে উনি বঙ্গবন্ধুকন্যা !!সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এক সময় কাদের তাড়া খেয়ে রেল লাইন দিয়ে দৌঁড় দিয়ে পালিয়ে বেঁচেছিলেন ,তাই বদু কাকা'র সেই বিখ্যাত দৌড়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, 'এমন তাড়া খেয়েছিলেন যে রেললাইনের তলা দিয়ে পালাতে হয়েছিল!! এরপর আবার খোঁচা মারা কথায় বলেছেন, ' আজ দেখি দু'জনে বসে কুজনে কথা বলেন'!
প্রধানমন্ত্রী যখনি ওনার সাবেক বিরধিনেত্রীর সমালোচনা বা তুলোধুনা করেন তখন বিভিন্ন সময় ওনার মুখ থেকে আলু-ফালু বিভিন্ন রকম কথা বের হয়!!শেখ হাসিনা অবশ্য আজ ফালু শব্দটি উচ্চারন করেনননি! বলেছেন, ফেলু! খালেদা জিয়া যে পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন, তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেছেন, ' বিএনপি নেতা নিজে ছিলেন ফেলু। তাই আমাদের ছেলেমেয়েরা ফেলু হোক তা-ই তিনি চান! এ কারনে তিনি আন্দোলনের নামে স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছেন!'
অবশ্যই স্কুল যে পুড়িয়েছে সে কথা মিথ্যা নয় এবং তা বাংলাদেশের প্রত্যকটি সচেতন নাগরিক জানেন , সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর এই কথা বার বার বলে সময় নষ্ট করার কোনো মানে দেখি না ! এই সমালোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আওয়ামীলীগে অনেক বেকার নেতা রয়েছে , এই সমস্থ অপকথা গুলু ঐসমস্থ বেকার নেতাদের দিয়ে ও বলানো যায় যদি এই সব কথা বলে কোনো লাভ পাওয়া যেত ! বরাবরের মত আজকেও প্রধানমন্ত্রী গভীর রাতের টকশোর জন্য বিশেষ কিছু টপিকস দিয়ে গেছেন ,চলবে চুলছেড়া বিশ্লেষণ পক্ষে বিপক্ষে !অতচ বঙ্গবন্ধু ৭ ই মার্চে সেই ঐতিহাসিক ভাষণ দেওয়ার সময় ১০৩ ডিগ্রী জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন , সেই জ্বরে তো তিনি কাবু হননি বরং সেই জ্বর নিয়ে দেওয়া ভাষণের কারণেই বাঙালিরা স্বাধীনতা পেয়েছিল আর আজকে ৪৩ বছর পরেও স্বাধীনতার স্বাধ পাচ্ছি না ! প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ থাকবে উনি আর যাই ভুলে যান সমস্যা নেই কিন্তু উনি যে বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই কথা যেন না ভুলেন কখনো ...!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.