বিমান নিখোঁজের ঘটনায় সন্ত্রাসবিষয়ক তদন্ত শুরু করেছে মালয়েশিয়ান সরকার। নিখোঁজের পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও বিমানটির কোনো হদিস না মিলায় এবং যাত্রীদের আত্মীয়দের উদ্বেগ উত্কণ্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে এ তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে এ ঘটনা তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাদের এজেন্টদের পাঠাচ্ছে বলে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ান সরকার ইতোমধ্যে বিমানটির ৪ জন আরোহীর নাম গোয়েন্দাদের হাতে দিয়েছে। এর পরই উদ্বেগ বেড়েছে যে, বিমানটিতে যাত্রী উঠানোর সময় সম্ভাব্য নিরাপত্তাজনিত ত্রুটি ঘটে থাকতে পারে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমপক্ষে দু’জন যাত্রী চুরি হওয়া ইউরোপীয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিমানটিতে উঠেছিল।
মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত পরিবহন মন্ত্রী হিশামুদ্দিন হোসাইন সাংবদিকদের বলেন, ‘একই সঙ্গে আমরা আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সক্রিয় করেছি। এবং অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটগুলোকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। ’
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম জানায়, তদন্তে সহায়তার জন্য এফবিআই তাদের কয়েকজন এজেন্ট এবং টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের পাঠাচ্ছেন।
দেশটির কর্মকর্তারা লস এঞ্জেলেস টাইমসে বলেন, বিমানটির নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কোনো সন্ত্রাসবিষয়ক যোগসূত্র আছে কিনা তা তারা নির্ধারণের চেষ্টা করছেন।
তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রমাণাদি নেই বলে তারা জোর দিয়ে বলেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে বলেন, বিমানটির দু’জন যাত্রীর চুরি হওয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করার মানে এই নয় যে তারা সন্ত্রাসী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।