আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেরার চেষ্টা করেছিল ‘নিখোঁজ’ বিমানটি?

কুয়ালালামপুর থেকে ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে চীনে যাওয়ার পথে শনিবার প্রথম প্রহরে ‘নিখোঁজ’ হওয়া উড়োজাহাজটির সন্ধানে কয়েকটি দেশের নৌও বিমানবাহিনী টানা তল্লাশি চালিয়ে গেলেও কোনো সূত্র মেলেনি।  

মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনীর প্রধান রোদজালি দাউদ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা মূলত রেকর্ড করা রাডার সংকেতের ভিত্তিতে এই ধারণা করছি। রাডার সংকেত দেখে মনে হচ্ছে, উড়োজাহাজটি তাদের নির্ধারিত ফ্লাইট পথ থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করে থাকতে পারে। ”

মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ‘সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ’ বিষয়টিরই আশঙ্কা করছেন। ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে চার যাত্রী ওই বিমানে উঠেছিলেন- এমন তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছেন দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

   

বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজটি দক্ষিণ চীন সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে- এমন আশঙ্কায় ২২টি বিমান ও ৪০টি জাহাজ তল্লাশি চালাচ্ছে রোববার সকাল থেকে। কিন্তু বিমানের  ধ্বংসাবশেষের কোনো চিহ্ন উদ্ধারকারীরা পাননি।

ভিয়েতনামের কাছে সাগরে শনিবার দীর্ঘ তেলের স্তর দেখা গেছে বলে খবর পাওয়া গেলেও তা মালয়েশীয় বিমান থেকে পড়েছে কি না- তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, যোগাযোগ যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন আবহাওয়া ছিল যথেষ্ট ভাল। ‘উধাও’ হওয়ার আগে বিমানটি থেকে কোনো বিপদ সংকেতও পাঠানো হয়নি।

 

এদিকে দুই ইউরোপীয় নাগরিকসহ অন্তত চারজনের ‘ভুয়া’ পরিচয় ব্যবহার করে ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ এ ওঠার খবরে রহস্য আরো ঘনীভূত হয়েছে।  

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের দেয়া যাত্রী তালিকায় অস্ট্রিয়ার নাগরিক ক্রিস্টিয়ান কোজেল ও ইতালির লুইজি মারাদলদি নামের দুজনের তথ্য থাকলেও তারা আদৌ ওই বিমানে ছিলেন না বলে জানিয়েছে দেশ দুটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ওই দুইজন বহাল তবিয়তে যার যার দেশে অবস্থান করছেন এবং দুজনই বছরখানেক আগে থাইল্যান্ডে তাদের পাসপোর্ট খুইয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।   

মালয়েশিয়ার পরিবহন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিশামুদ্দিনকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুই জন ছাড়াও আরো দুই যাত্রীর তথ্য যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

“আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে চারটি নামই দেয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ”

বিমানবন্দরের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ইউরোপীয় পাসপোর্টধারী দুই যাত্রীর ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখছেন তদন্তকারীরা।

মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনী প্রধান আজাহারউদ্দিন আব্দুল রহমান বলছেন, ওই ফ্লাইটে যাওয়ার জন্য পাঁচজন যাত্রী টিকিট কাটলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা বিমানে ওঠেননি। তাদের মালপত্রও সরিয়ে ফেলা হয়।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেছেন, বিমানটির খোঁজ পেতে সবকিছু করা হচ্ছে।

তবে এখনই স্পষ্ট কিছু বলার সময় আসেনি।

উড়োজাহাজটির ২৩৯ আরোহীর মধ্যে ১২ জন ক্রু, বাকিরা ১৪টি দেশের নাগরিক। এদের মধ্যে অন্তত ১৫২ জন চীনের, ৩৮ জন মালয়েশিয়ার, ৭ জন ইন্দোনেশিয়ার, ৬ জন অস্ট্রেলিয়ার, ৫ জন ভারতের, ৪ জন ফ্রান্সের এবং তিন জন যুক্তরাষ্টের নাগরিক।

দীর্ঘ সময় পরও বিমানটির সন্ধান না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিখোঁজ আরোহীদের স্বজনরা। এ বিষয়ে মালায়েশিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকেও দুষছেন তারা।

 


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।