সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন কোকা-কোলা বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্যবস্থাপক দেবাশীষ দেব।
তিনি বলেন, “আগামী এক বছর মংয়ের গড়া দুটি স্কুল রাঙ্গামাটির মগাছড়ি এবং ময়মনসিংহের কালিসিন্দুরের সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের আমরা ফুটবল সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা দেব। আশা করি এর মাধ্যমে মেধাবী ফুটবলার বেরিয়ে আসবে। ”
বাংলাদেশ আনসারের কোচ মং দীর্ঘ দিন ধরে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে মহিলা ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। সেজন্য স্ত্রীর গয়নাও বিক্রি করেছেন তিনি।
এখন তার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কোকো-কোলা।
মংয়ের উদ্যোগ নিয়ে কোকা-কোলা একটি প্রামাণ্যচিত্রও তৈরি করেছে। এটা তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচার করবে।
কোকা-কোলাকে পাশে পেয়ে আনন্দিত মং বলেন, “আমার এই উদ্যোগের পাশে কোকা-কোলার মতো একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়েছে বলে ভালো লাগছে। এর মাধ্যমে মেয়েরা উপকৃত হবে।
”
এক সময় মংয়ের স্বপ্ন ছিল ফুটবলার হওয়ার। চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু চোটের কারণে বেশি দূর এগোতে পারেননি। তাই কোচিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।
সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের কোচিং করানোর পরিকল্পনা নেয়া মংয়ের হাতে গড়া সুইনু প্রু মারমা, মাইনু প্রু মারমা ও কৃষ্ণা চাকমা এখন জাতীয় দলে খেলছেন।
সাবেক শিক্ষকের প্রশংসা করে জাতীয় দলের অধিনায়ক সুইনু প্রু মারমা বলেন, “তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ কোচ। তার কোচিংয়ে আমার মতো অনেক ফুটবলার বেরিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে আরো বেরিয়ে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।