কিন্তু মাঝখানে এসে উপস্থিত জর্জিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির (জিআইটি) ইঞ্জিনিয়াররা। জিআইটির ওই ইঞ্জিনিয়ারদের বদৌলতে আবারও ড্রামস বাজাচ্ছেন বার্নস। ডান হাতের জায়গায় তার নতুন রোবোটিক হাতটি অন্য ড্রামারদের তুলনায় কোনো অংশে কম তো নয়ই, বরং বাড়তি সুবিধাও পাচ্ছেন তিনি।
প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সাইট নিউসায়েন্টিস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বার্নসের জন্য জিআইটি ইঞ্জিনিয়ারদের বানানো রোবোটিক হাতটি সিগনাল পায় তার শরীর থেকেই। হাতের উপরের অংশের মাংসপেশীর বৈদ্যুতিক সংকেত চিহ্নিত করে ইলেকট্রোমিওগ্রাফির মাধ্যমে।
ড্রামসস্টিক আস্তে চেপে ধরবেন নাকি জোরে, বার্নস সেটা ঠিক করেন বাইসেপের মাংসপেশী দিয়ে।
বার্নসের জন্য রোবোটিক হাতটিতে একটির বদলে দুটি ড্রামস্টিক ধরার ব্যবস্থা রেখেছেন জিআইটির ইঞ্জিনিয়াররা। আকারে ছোট দ্বিতীয় স্টিকটির জন্য আছে আলাদা মোটর, আর গানের তাল ধরার জন্য অ্যাক্সেলেরোমিটার আর মাইক্রোফোন। ছোট স্টিক আর বিশেষ অ্যালগরিদম থাকায় রাইড সিম্বলে কাজগুলো বার্নস করছেন একেবারেই নতুনভাবে।
রোবোটিক হাতে প্রথমবারের মতো ড্রামস বাজানোর পর উচ্ছ্বসিত বার্নসের মন্তব্য ডিভাইসটি ছিল ‘প্রিটি অসাম!’।
“এটা যদি ঠিক মতো কাজ করে আর আমার বর্তমান কৃত্রিম হাতের থেকে বেশি কার্যকর হয়, তবে আমি অবশ্যই এটা সবসময় ব্যবহার করব। ”-- যোগ করেন বার্নস।
বার্নসের রোবোটিক হাতটির যেন আরও ভালো কাজ করে সে জন্য তাতে খুঁটিনাটি কিছু পরিবর্তন আনতে চাইছেন জিআইটির বিজ্ঞানীরা। তবে সে জন্য বসে নেই বার্নস। ২২ মার্চ আটলান্টা সায়েন্স ফেস্টিভালে রোবোটিক হাত নিয়ে লাইভ বাজাবেন তিনি।
সঙ্গে থাকবেন বার্নসের আটলান্টা ইন্সটিটিউট অফ মিউজিক অ্যান্ড মিডিয়ার ড্রামস কোচ।
আগ্রহীরা ইউটিউব লিংক থেকে দেখে নিদে পারেন ‘সাইবর্গ’ এই ড্রামারের অনুশীলন। লিংক:
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।