পায়ে ব্যথা পাওয়ায় এক ম্যাচের পরই এশিয়া কাপ শেষ হয়ে যায় মাশরাফির। চোট প্রায় কাটিয়ে ওঠা এই পেসারই বাংলাদেশের অন্যতম বোলিং ভরসা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে মাশরাফি বলেন, “যদি প্রয়োজন হয় খেলতেই হবে। আমি সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছি। আমি যে অবস্থাতেই খেলি না কেন, আমার শতভাগ দিয়েই খেলবো।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বলে নয়, দেশের জন্য আমি শতভাগ ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত। ”
মুশফিক জানান, তার পায়ের ব্যথাটা এখন অনেক কমেছে। তিনদিন ধরে নেটে বলও করেছেন তিনি।
দেশের হয়ে আগের চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা মাশরাফি আফগানিস্তানকে হারিয়ে মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পরই পরের লক্ষ্য নিয়ে ভাববেন।
“প্রথম লক্ষ্য ১৬ তারিখের ম্যাচ (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) জেতা।
আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ডে (সুপার টেন) যাওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ”
প্রথম রাউন্ডে 'এ' গ্রুপের অন্য দুই প্রতিপক্ষ হংকং ও নেপালকে নিয়েও আলাদা করে ভাবছেন মাশরাফি।
“অন্য দুটি ম্যাচও আমাদের জিততে হবে। এমন নয় যে, ঐ দুটি ম্যাচ হারলেও চলবে। বিশ্বকাপ ম্যাচ বলেই নয়, অন্য কোনো ম্যাচ হলেও ওদের নিয়ে আলোচনা হতোই।
আমরা ওদের নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করবো। ”
আফগানিস্তানকে সমীহ করলেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী মাশরাফি।
“আফগানিস্তান শট বেশি খেলতে পছন্দ করে। টি-টোয়েন্টি ওদের সঙ্গে বেশি মানানসই। ওদের সঙ্গে আমাদের এশিয়া কাপের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি না।
আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে এবং পুরোটা দিয়ে খেলতে হবে। ”
চোটের কারণে দেশের মাটিতে ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা হয়নি মাশরাফির। এবার দেশের মাটিতে ক্রিকেটের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর আসরে খেলার সুযোগ পেয়ও সে আক্ষেপ ঘোচেনি।
“ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে না পারাটাই আমার মধ্যে বেশি কাজ করে। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো তুলনাই হয় না।
তবে কি পেয়েছি, না পেয়েছি সে হিসেব আমি মেলাতে চাই না। আমি যদি খেলি, শতভাগ দিয়ে খেলবো। কারণ, এখানে ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা জড়িয়ে আছে। ”
শেষ সময়ে দ্রুত রান তোলার প্রয়োজন হলে ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে চান মাশরাফি।
“আশা করি ব্যাটিংয়ে আমার প্রয়োজন হবে না।
এটাই প্রথমে চাইবো। যদি আসে অবশ্যই আমি শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করবো। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।