আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোনালিসার হাসির রহস্য উদ্ঘাটিত!



ছবির মানুষ মোনালিসা। মুখে তাঁর রহস্যময় হাসি। সেই রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে যুগ যুগ ধরে। যুক্তরাষ্ট্রের এক আনাড়ি গবেষক সম্প্রতি দাবি করেছেন, মোনালিসার হাসিতে নারীবাদের প্রকাশ ঘটেছে।
ইউরোপীয় রেনেসাঁ যুগের বিখ্যাত শিল্পী লেওনার্দো দা ভিঞ্চির অমর কীর্তি মোনালিসা নিয়ে রীতিমতো একটি বই লিখেছেন টেক্সাসের ওই শিল্প-ইতিহাস গবেষক উইলিয়াম ভারভেল।

সদ্য প্রকাশিত ১৮০ পৃষ্ঠার ওই বইয়ের নাম দ্য লেডি স্পিকস: আনকভারিং দ্য সিক্রেটস অব দ্য মোনালিসা। লেখক দাবি করেন, ছবিটির ওই হাসিমাখা নারীর নাম লা গিওকন্দা। তিনি ছিলেন ষোড়শ শতকের একজন নারীবাদী। ক্যাথলিক গির্জায় নারীর ভূমিকা ও অবদান রাখার সুযোগ আরও জোরদার করার পক্ষে কাজ করেন তিনি।
মজার ব্যাপার হলো, গণিতের সাবেক অধ্যাপক ৫৩ বছর বয়সী ভারভেল বহু বছর ধরে মোনালিসা নিয়ে গবেষণা করলেও এখনো চিত্রকর্মটি কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি তিনি।

তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, গিওকন্দাকে নারী অধিকার আন্দোলনের একটি বড় উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
‘মোনালিসা’ শীর্ষক ছবিটি সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রকর্ম। এটি দেখতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের ল্যুভর জাদুঘরে প্রতিদিন অনেক পর্যটক ভিড় করেন। ইতিহাসবিদদের কেউ কেউ বলেন, মোনালিসা ছবির ওই নারী ছিলেন ইতালির ফ্লোরেন্স নগরের একটি অভিজাত পরিবারের সদস্য। তাঁর আসল নাম লিসা দেল গিওকন্দো।

তিনি পাঁচ সন্তানের জননী ছিলেন। তাঁর স্বামী ছিলেন কাপড় ও রেশমি সুতার ব্যবসায়ী।
রেনেসাঁ যুগের শিল্পকর্ম বিশেষজ্ঞ বেলজিয়ামের লিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লর ফনার্ত মনে করেন, মোনালিসার মধ্যে গোপন কিছুই নেই। এই প্রতিকৃতি তৎকালীন বুর্জোয়া অনেক নারীর মধ্যে একজনকে তুলে ধরেছে। তবে এটি অন্যান্য চিত্রকর্মের চেয়ে জটিল বলেই মনে হয়।



এখানে দেখুন


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।