বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
মোনালিসাকে নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। মোনালিসার রহস্যমাখা অনিন্দ্য হাসির চুলচেরা বিশ্লেষণে তাই গবেষণারও অন্ত নেই। এ ক্ষেত্রে দু'কদম এগিয়ে ফ্রেঞ্চ এবং কানাডার রিসার্চ কাউন্সিলের গবেষকরা। সম্প্রতি তাদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে মোনালিসা রহস্যের অজানা কিছু তথ্য।
দৃশ্যমান অবলোহিত রশ্মি এবং স্পেশাল ইনফ্রারেড ক্যামেরায় সূক্ষ্মভাবে চিত্রকর্মটির খুঁটিনাটি বিষয়গুলো ধরতে চেষ্টা করেন গবেষকরা। কানাডিয়ান গবেষক দল উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লেজার ক্যামেরা ব্যবহার করে। এতে করে ছবিটির ত্রিমাত্রিক মডেল পর্যবেক্ষণ করতে সমর্থ হন তারা। মহাশূন্যে প্রেরিত নাসার স্পেস শাটল যে থ্রি ডি স্ক্যানিং-এ পরীক্ষা করা হয়, ওই একই স্ক্যানিং প্রযুক্তি মোনালিসার গবেষণায় ব্যবহূত হয়। মূলত বিজ্ঞানীদের এত সব আয়োজন মোনালিসা রহস্যের কূলকিনারা করতেই।
আর এ কর্মযজ্ঞে কিছুটা সফলও হয়েছেন তারা। সে রহস্যের মোড়কে থাকা এ নারীর হাত বাঁধার স্টাইল থেকে বোঝা যায়, এখনই বোধ হয় চেয়ার ছেড়ে উঠতে যাচ্ছেন। স্ক্যানিংয়ে মোনালিসার পোশাকের ওপর স্বচ্ছ এক খণ্ড রেশমি কাপড়ের অসতিত্ব ধরা পড়ে। এ ধরনের পোশাকে ষোড়শ শতাব্দীতে সাধারণত গর্ভধারণকারী কিংবা সম্প্রতি সনতান জন্মদাত্রী মায়েরা ব্যবহার করতেন। এতে প্রমাণিত হয় মোনালিসা ছবির রহস্যময়ী পোট্রেট অাঁকতে পোজ দেয়ার কিছুদিন আগে সম্ভবত সনতান প্রসব করেছিলেন।
এতে ধারণা করা হচ্ছে, ছবির রমণীর দ্বিতীয় সনতান জন্মের পর এই স্কেচ অাঁকা হয়। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় সম্প্রতি এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। গবেষক দল অবশ্য মোনালিসাকে কাঠের ফ্রেম থেকে ত্রিমাত্রিক অাঁকারে রূপানতরেরও চিন-াভাবনা করছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।