মুদ্রা পাচারের মামলায় বুধবার রাতে গ্রেপ্তারের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার আদালতে নেন দুদক কর্মকর্তারা।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সাবেক এই মন্ত্রীকে আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে চান তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. আহসান আলী।
ওই আবেদনে ঢাকার মহানগর হাকিম শামসুল আরেফিনের সায় নিয়ে পুলিশি বেষ্টনির মধ্যে মোশাররফকে আদালত থেকে বের করে আনে পুলিশ।
আদালত থেকে বেরিয়ে আসার সময় মোশাররফ তদন্ত কর্মকর্তা আহসান আলীকে বলেন, “আমি খুব ক্লান্ত। আজকেই কি আমাকে রিমান্ডে নিয়ে যাবেন?”
দুই মিনিট নিশ্চুপ থেকে আহসানকে বলতে শোনা যায়, “একদিন রেখেই আপনাকে ছেড়ে দেব।
”
কথোপকথন শুনে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আহসান বলেন, “আমি উনাকে বলেছি, একদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দেব। ”
মোশাররফকে গ্রেপ্তারের পর তাকে রমনা থানায় রাখা হয়েছিল। সেখানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করেন দুদক কর্মকর্তা।
রমনা থানায় করা দুদকের এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকার সময় তিনি প্রায় ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেন।
বিএনপি বলে আসছে, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
গ্রেপ্তার মোশাররফের মুক্তিও দাবি করেছেন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।