পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় বাংলাদেশকে হারানো আত্দবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। তবে বড় দলগুলোর মুখোমুখি হওয়ার জন্য আরও কিছুটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে মুশফিকদের। আজ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এমনই এক পরীক্ষায় নামছে টাইগাররা আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দুনিয়ায় বড় কোনো শক্তি না হলেও তাদের দখলে এমন কিছু অতীত রয়েছে যা তাদের যে কোনো দলের বিপক্ষেই ভয়ঙ্কর বলে প্রমাণ করতে পারে।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে সুপার এইটে পৌঁছেছিল আইরিশরা। দুই বছর পর ২০০৯ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে আইরিশ বাধায় বাংলাদেশ পৌঁছাতে পারেনি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সে বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডে 'এ' গ্রুপে ভারতের সঙ্গে ফেভারিট ছিল বাংলাদেশই। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্য, আইরিশদের কাছে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল ৬ উইকেটে! মাশরাফির ঝড়ো গতির ব্যাটিংয়ে (১৬ বলে ৩৩ রান) বাংলাদেশ ১৩৭ রান সংগ্রহ করেছিল নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে। জবাব দিতে নেমে ও'ব্রেইন ভাইদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৪ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড।
বিশ্বকাপে সেই পরাজয়ের স্মৃতি ভুলতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরবর্তী তিনটি টি-২০ ম্যাচ বাংলাদেশ জয় করেছে। বেলফাস্টে ২০১২ সালে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ করেছিল আইরিশদের। তিনটি ম্যাচেই বাংলাদেশ জিতেছিল দুর্দান্তভাবে। সেই সুখস্মৃতি সঙ্গে নিয়েই আজ আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছেন মুশফিকরা। টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে ১৬ মার্চ থেকে।
প্রথম দিনেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে হারিয়ে আফগানরা প্রমাণ করেছে, তারা অবহেলার পাত্র নয়। অধিনায়ক মুশফিক থেকে শুরু করে দলের তারকা ক্রিকেটাররা আফগানদের সহজ দৃষ্টিতে দেখছেনও না। আফগানদের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজেদের শতভাগ প্রস্তুত করতেই কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে টাইগাররা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল প্রস্তুতি পর্বের প্রথম ধাপ।
সে ধাপটা ভালোভাবেই পাড়ি দিয়েছেন মুশফিকরা। দ্বিতীয় ধাপেও কি মিলবে এমন সহজ জয়!
মাশরাফি দলে ফেরার জন্য নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে অবশ্য তিনি সুযোগ পাননি। তবে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী দেশসেরা এই পেসার। আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল বোলিং আক্রমণে।
সাকিব-রাজ্জাকরা তেমন একটা সফল ছিলেন বলা যাবে না। তার পরও ব্যাটিং দিয়ে গত ম্যাচে উদ্ধার পেয়েছিল টাইগাররা। আজকের ম্যাচে বোলিং ও ব্যাটিং দুটিতেই নিজেদের পরীক্ষা করার শেষ সুযোগ পাচ্ছে মুশফিকবাহিনী। শেষ পর্যন্ত আফগানদের মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলাদেশ কি নিজেদের শতভাগ প্রস্তুত করতে পারবে! বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ছাড়াও আজ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামছে আফগানিস্তান-জিম্বাবুয়ে, নেপাল-সংযুক্ত আরব আমিরাত ও হংকং-নেদারল্যান্ড। ১৬ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব।
এ পর্বে মুশফিকবাহিনী আফগানদের ছাড়াও মুখোমুখি হবে হংকং ও নেপালের। ১৬ মার্চ আফগানিস্তান, ১৮ মার্চ নেপাল এবং ২০ মার্চ হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। বিশ্বকাপে পরবর্তী রাউন্ড নিশ্চিত করার জন্য তিনটি ম্যাচকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে মাপছে বাংলাদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।