শনিবার দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
উপগ্রহ ও রেডার তথ্যের সূত্র ধরে রাজাক জানান, বিমানটি তার গতিপথ পরিবর্তন করে সম্ভবত পরবর্তী সাত ঘন্টা ধরে টানা উড়েছে।
তিনি বলেন, “বিমানটির চলাচল থেকে এটি বোঝা যায় কেউ একজন বিমানটি সচেতনভাবে পরিচালনা করছিলেন। ”
তিনি আরো বলেন, “উপগ্রহের মাধ্যমে পাওয়া নতুন প্রমাণে প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে, বিমানটির যোগাযোগ ব্যবস্থা সচেতনভাবে অকার্যকর করা হয়েছে এরপর এটি গতিপথ পরিবর্তন করে বিপরীত পথে মালয়শিয়ার উপর দিয়ে ভারতের দিকে গেছে। ”
কর্তৃপক্ষ এখন দুটি সম্ভাব্য করিডোরে বিমানটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন রাজাক।
এই করিডোর দুটোর মধ্যে একটি কাজাখস্তান ও তুর্কেমিনিস্তানের সীমান্তের উত্তর থেকে শুরু করে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত, অপরটি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ থেকে দক্ষিণ ভারত মহাসাগর পর্যন্ত।
“তদন্ত একটি নতুন পর্বে প্রবেশ করেছে,” বলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, বিমানটি যেখানে প্রথম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় সেই দক্ষিণ চীন সাগরে তল্লাশি চালানোর আর প্রয়োজন সম্ভবত নেই।
৮ মার্চ চালক, ক্রু ও যাত্রীসহ ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে বিমানটি কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশপথ থেকে হারিয়ে যায়। প্রায় একশ’ বিমান ও জাহাজের সহায়তায় ব্যাপক আন্তর্জাতিক তল্লাশি অভিযান শুরু করার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিমানটির বা এর ধ্বংসাবশেষের কোনো খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
কন্ট্রোল টাওয়ারের রেডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর সাত ঘন্টা ধরে বিমানটি খেকে সঙ্কেত পেয়েছে উপগ্রহগুলো।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।