গণতন্ত্রের মুলা দেখিয়ে ওরা আমাদেরকে জমিয়ত, জামায়াত, খেলাফত, চরমোনাই ইত্যাদি বিভিন্ন দলে বিভক্ত করেছে। একই ঘরে চারজন চারদলে। পরষ্পরে খুচাখুচি, রেষারেষি, হানাহানি। এই সুযোগে সিদেল চোর নিয়ে যাচ্ছে পারিবারিক একমাত্র সম্পদ সিন্ধুক। বলা হয় আগ্রাসী বৃটিশদের থেকে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
করেছি ভারত এবং পাকিস্তান থেকেও। কিন্তু রাসুল সাঃ বর্ণিত " আল-হিন্দ" এর রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে চোখ ফেললে দেখা যায় বৃটিশ বেণিয়ারা " আল-হিন্দ" ত্যাগের পূর্বলগ্নে আমেরিকান প্রডাক্ট গণতন্ত্র নামক যে বেড়ি আমাদের পরিয়ে গিয়েছিলো সেই বেড়ির কল্যানে তাদের বিখ্যাত সেই নীতি "ভাঙন ও শাসন" আজো সচল রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন আমাদের এরই প্রমান দিচ্ছে। একই পদে একাধিক আলেম। এটা কি মুসলিমদের বিভক্তি নয় ? ইসলামের খেদমতই যদি আপনাদের মাকসাদ হয়ে থাকে তাহলে কেন মুসলিমদের মধ্যে বিভক্তি সৃস্টি করছেন ?
কেউ কেউ বলছেন ইনি জমিয়তের উনি খেলাফতের।
দুই জন দুই দলের অতএব সমস্যা কোথায় ? ভাই আমার, দুশমন এটাই চায়। তারা চায় আমাদেরকে বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত করে নিজেদের "ভাঙন ও শাসন" নীতি বাস্তবায়ন করতে। আজ আমাদের কাছে মুসলিম পরিচয়ের চেয়ে জমিয়ত-জামায়াত-চরমনাই-খেলাফত পরিচয় বড়। সফল দুশমনের চাল। বিভক্ত, দিশেহারা উম্মাহ।
পরাজিত ইসলামী শক্তি। গণতন্ত্রের মুলা যতদিন আমাদের সামনে ঝুলবে ততদিন এই "ভাঙন ও শাসন" থেকে আমরা মুক্তি পাচ্ছি না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।