তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোনো লাশ উদ্ধার কিংবা এই লাশ কাদের, সে বিষয়ে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।
গত চার দিন ধরে মেঘনায় কয়েকটি লাশ ভেসে ওঠার খবর স্থানীয়রা জানালে তা নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
তবে রোববার পর্যন্ত পুলিশ এই বিষয়ে কিছুই জানত না বলে জানান হাতিয়া থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।
কোস্টগার্ডের সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার হামিদুর রহমান সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বগুলা খালের উত্তরে ও দক্ষিণে দুটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন তারা।
“আমাদের টহল টিমও লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে,” বলেন উপকূল রক্ষী বাহিনীর এই কর্মকর্তা।
পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লাশের সন্ধানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে উত্তাল মেঘনায় জোয়ার ভাটার কারণে স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী লাশগুলোর সন্ধান মিলছে না। ”
ওয়ার্কার্স পার্টির হাতিয়া উপজেলা শাখার সম্পাদক সুখচরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার সকাল থেকে বাদশা মিয়া গ্রামের উত্তর পাশে মেঘনা নদীর তীরে একটি লাশ নিয়ে দুটি কুকুরের টানাহেঁচড়া তাদের চোখে পড়েছে।
এরপর দুপুরে গ্রামের পশ্চিম পাশের নদীতে আরো একটি লাশ দেখেন আনোয়ার। এর আগে শনিবার বিকালে চেয়ারম্যান ঘাটের পশ্চিমে মেঘনায় তিনিসহ স্থানীয় লোকজন একটি লাশ দেখেন।
আনোয়ার হোসেন এবং মধ্য চর আমানুল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিধান চন্দ্র দাস জানান, শনিবার বিকালে বৌ বাজারের পশ্চিম পাশের মেঘনায় তিনটি লাশ ভাসছিল।
দক্ষিণ চর ঈশ্বর রায় মোহাম্মদ মিয়া পন্ডিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস জি মর্তুজা বলেন, রোববার বিকেলে ওহাবের খালে দুটি লাশ ভাসতে দেখেছেন।
সুখচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট থেকে মেঘনা পার হয়ে পশ্চিম পাড়ের ঢালচর ও মৌলভীর চর থেকে প্রতিদিন গরু মহিষের দুধ আনতে যান মিরাজ গোয়াল।
তিনি জানান, শনিবার দুপুরে হরিণ বাজারের পশ্চিম পাশে মেঘনায় দুটি লাশ ভাসতে দেখেছেন তিনি।
সব মিলিয়ে কয়টি লাশ দেখা গেছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।