আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপহরণের তিন মাস পর বস্তাবন্দি যুবককে উদ্ধার

মঙ্গলবার দুপুরের ‍দিকে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে বামুন্দী মাঝেরমাঠ এলাকা থেকে মজনু মিয়া নামে ওই যুবককে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

মজনুর বাড়ি গাংনী উপজেলার বামুন্দী ইউনিয়নের চরগোয়াল গ্রামে। উদ্ধারের পরপরই তাকে বামুন্দীর ‘হুদা ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়। পরে রাতেই তাকে বাসায় নিয়ে যায় স্বজনরা।

গাংনী থানার ওসি মাসুদুল আলম জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে মজনু মিয়া নিখোঁজ ছিলেন।

ঘটনার শিকার মজনু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওইদিন সন্ধ্যায় কিছু ব্যাক্তি তাকে ডেকে নিয়ে যায়। মটরসাইকেলে কিছু দূর নেয়ার পর তারা চোখমুখ বেঁধে ফেলে। পরে বিভিন্ন বাড়িতে হাত-পা বেঁধে রাখা হত তাকে। প্রায় প্রতিদিনই শারীরিক নির্যাতন করা হতো। ঠিকমত খাবার দেয়া হতো না।


পরে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেয় বলে মজনুর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, যদিও মজনুর বাবা কুতুব উদ্দিন শেখ মুক্তিপণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আত্মীয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অপহরণের পর পরিবারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। না দিলে মোবাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হত। অর্থ সংগ্রহে পরিবারের দীর্ঘ সময় নেয়ায় তার উপর নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে মুক্তিপণ পরিশোধ করলে মজনুকে মুক্তি দেয়া হয়।


মজনুর বাবা কুতুব উদ্দিন বলেন, “অনেক সন্ধানের পর মজনুকে না পেয়ে ১৯ ডিসেম্বর গাংনী থানায় জিডি করা হয়। মঙ্গলবার গ্রামবাসী মুখ বাঁধা একটি বস্তা নড়াচড়া করতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে বস্তার মুখ খুললে শিকল বাঁধা অবস্থায় মজনুকে উদ্ধার করা হয়।

“দীর্ঘদিন অর্ধাহারে ও নির্যাতনের মধ্যে থাকায় সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখন তাকে স্বাভাবিক করতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

হুদা ক্লিনিকের চিকিৎসক নুরুল হুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনও ভয়ে কাঁপছেন মজনু। মূলত আতঙ্কই তার অসুস্থতার মূল কারণ। অনাহারে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছেন। এজন্য তাকে বাসাতেও ফুড স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া নির্যাতনের কারণে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা পেয়েছেন।

ব্যথার ওষুধও দেয়া হয়েছে। ”  

ওসি মাসুদুল আলম বলেন, গ্রামবাসীরা খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তার ভিতর থেকে শিকলবন্দি মজনুকে উদ্ধার করা হয়।

তবে বুধবার সকাল পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হয়নি। তারপরও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.