আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছক্কা মেরে জিম্বাবুয়ের জয়

আবার শেষ বলে মধুর সমাপ্তি হলো ম্যাচের। আবারও ছক্কায় ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হলো। সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা কাল উপভোগ করলেন টানটান উত্তেজনার জিম্বাবুয়ে-নেদারল্যান্ডসের অসাধারণ এক ম্যাচ। জয়ের জন্য আফ্রিকান প্রতিনিধি জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল শেষ বলে এক রান। ভুসিমুজি সিবান্ধা লং অন দিয়ে ছক্কা মারেন জামিলকে।

তাতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় জিম্বাবুয়ে এবং সে সঙ্গে আশা জিইয়ে রাখে চূড়ান্ত পর্বে খেলার। অবশ্য হারলেও আশা টিকে আছে ডাচদের। প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়েছিল ইউরোপীয়ান প্রতিনিধিরা। এর আগে আসরে ছক্কা মেরে টানা আফগানিস্তান ও নেপালের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ।

কাল সিলেটে অপেক্ষাকৃত চাপে থেকে খেলতে নেমেছিল জিম্বাবুয়ে।

ফুরফুরা মেজাজে ছিল নেদারল্যান্ডস। টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ে শেষ বলে হেরেছিল আরেক ইউরোপীয়ান প্রতিনিধি আয়ারল্যান্ডের কাছে। হেরেছিল ৩ উইকেটে। ডাচরা ৬ উইকেটে হারিয়েছিল ইউএইকে। এমন সমীকরণ নিয়েই দুই দল কাল মখোমুখি হয়।

নেদারল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪০ রান করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন টম কুপার। ৫৮ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৯টি চার ও একটি ছক্কা। এছাড়া ২০ রান করেন তারই ছোটভাই বেন কুপার। জিম্বাবুয়ের পক্ষে স্পিনার প্রসপার উতসেয়া ২ উইকেট নেন ২৪ রানে।

টার্গেট ১৪১ রান। উদ্বোধনী জুটিতে ২৫ রান যোগ করেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার হ্যামিল্টন মাসকাদজা ও সিকান্দার রাজা। রাজা ১৩ রানে সাজঘরে ফিরলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচ সেরা অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর ও মাসাকাদজা ৬২ রান যোগ করেন ৯ ওভারে। মাসাকাদজা ৪৫ বলে ৪৩ রান করে ফিরেন সাজঘরে। তবে দুর্ভাগ্য টেলরের।

মাত্র এক রানের জন্য উপর্যুপুরি হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি। আইরিশদের বিপক্ষে ৫৯ রান করেছিলেন তিনি। দলীয় ১২৬ রানে যখন ড্রেসিং রুমে ফিরেন টেলর, তখনও জয়ের জন্য ১৫ রান দরকার দলের এবং বল বাকি ১১টি। অলরাউন্ডার শেন উইলিয়ামস দলকে টেনে নিয়ে যান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন জিম্বাবুয়ের ৭ রান।

প্রথম বলে কোনো রান দেননি ডাচ পেসার জামিল। দ্বিতীয় বলে ২ রান নেন উইলিয়ামস। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকেন তিনি। রান সমান। তিন বলে দরকার এক রান।

মামুলী বিষয়। কিন্তু সেই কাজটা জামিল হঠাৎ করেই কঠিন করে তুলেন চতুর্থ ও পঞ্চম বলে কোনো রান না নিয়ে উইলিয়ামসকে আউট করে। ফলে শেষ বলে দরকার হয় এক রান। যদি কোনো রান না হতো, তাহলে ম্যাচ গড়াতো সুপার ওভারে। কিন্তু শেষ বলে লং অন দিয়ে ছক্কা মারেন সিবান্ধা।

তাতেই জিতে যায় জিম্বাবুয়ে।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.