আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আন্তর্জাতিক চেষ্টা-তদবির তিন কোটি ডলারে মীর কাসেম আলীর লবিস্ট নিয়োগ

১৯৭১-এ সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচারণা চালাতে প্রায় তিন কোটি ডলারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি লবিং ফার্মকে নিয়োগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ নেতা মীর কাসেম আলী। এ বছর ১৭ জুন গ্রেপ্তার হন তিনি। জানা গেছে, চুক্তি মোতাবেক ২০১০ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত ওই লবিং ফার্মকে মোট দুই লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধ করেন তিনি। সরকারের সন্দেহ, গ্রেপ্তারের আগে তিনি ট্রাইব্যুনালবিরোধী তৎপরতা চালাতে এর চেয়েও মোটা অঙ্কের অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করে দেখছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে কালের কণ্ঠে মীর কাসেম আলীর মার্কিন লবিস্ট নিয়োগের চুক্তিপত্র প্রকাশিত হয়েছিল। এখন খোদ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ওয়েবসাইটেই এ-সংক্রান্ত বিবিধ নথি প্রকাশিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে মীর কাসেম আলীর আন্তর্জাতিক চেষ্টা-তদবিরের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা উঠলেও তাঁর আইনজীবীরা তা অস্বীকার করে আসছিলেন। মীর কাসেম আলীর যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর সমর্থকগোষ্ঠী ব্লগ, ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতেও ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ওয়েবসাইট সিনেট ডটগভ-এ অনুসন্ধান করে দেখা যায়, মীর কাসেম আলী ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর 'বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যান্ড পলিটিক্যাল অপোজিশন' বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে লবিং করার জন্য ওই দেশের ফার্ম 'ক্যাসেডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস'-এর কাছে নিবন্ধন করেন।

গত বছর ১৩ জানুয়ারি তিনি লবিংয়ের জন্য ওই ফার্মকে ৮০ হাজার ডলার দেন। একই বছর ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় তিনি এক লাখ ডলার এবং ২৩ জুন তৃতীয় দফায় আরো এক লাখ ডলারসহ মোট দুই লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিশোধ করেন। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে বিতর্কিত করতে বিদেশে চক্রান্ত চলছে। লবিস্টদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ও সিনেট সদস্যদের এবং যাঁরা দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ে মার্কিন নীতি নির্ধারণ করে থাকেন, তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। এতে মানি লন্ডারিং হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ- ১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘের চট্টগ্রাম অঞ্চলের দায়িত্বে থাকাকালে তাঁর নেতৃত্বে আলবদর, আলশামস ও রাজাকার বাহিনী ওই অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। চট্টগ্রামের আসাদ নগর ও পাঁচলাইশ এলাকার দুটি গণকবর এবং ডালিম হোটেলে নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। মীর কাসেম আলী দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি ইবনে সিনা ট্রাস্ট সদস্য (প্রশাসন) এবং কেয়ারি হাউজিং ও ইডেন শিপিং লাইনসের চেয়ারম্যান।

Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.