মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী দলটি পোস্টারের মাধ্যমেও দেশের বিভিন্ন স্থানেও প্রচার চালাচ্ছে, যাতে অনুমতিহীন বিদেশি পতাকা ব্যবহারের দণ্ডনীয় অপরাধ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সময় গ্যালারিতে ভিনদেশি পতাকা হাতে বাংলাদেশিদের মাঠে দেখা যায়, অনেকের শরীরে বিদেশি পতাকা আঁকাও দেখা গেছে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে।
এরপর বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য স্টেডিয়ামে অন্য দেশের পতাকা নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জানায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্লগগুলোর জোট ‘বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্স’।
এখন সিপি গ্যাং ‘খেলার মাঠে বাংলাদেশির হাতে বিজাতীয় পতাকা চাই না’ শীর্ষক একটি ইভেন্ট খুলেছে, যার সদস্য সংখ্যা এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার।
এছাড়া ‘এদেশীয় পাকি ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রতিহত করুন’ শিরোনামে একটি ফেইসবুক পেইজ খুলেছে সিপি গ্যাং, যাতে লাইক পড়েছে প্রায় ৯ হাজার।
ইভেন্ট পেইজে ভূমিকায় লেখা হয়েছে, “জাতীয় পতাকা বিধিমালা ১৯৭২ এর ৯ এর ১ ধারায় আছে, ‘বিদেশের জাতীয় পতাকা ওই দেশের বাংলাদেশস্থ কূটনৈতিক মিশনের প্রধান কার্যালয় ভবন, কনস্যুলার কার্যালয়ে উত্তোলন করা যাইবে, কূটনৈতিক মিশনের প্রধানগণ তাদের দাপ্তরিক বাসভবন এবং মোটর গাড়িতে স্ব-স্ব জাতীয় পতাকা উত্তোলন করিতে পারিবেন। ”
একই ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, ‘উপরোক্ত বিধিসমূহ, যাহা বর্ণনা করা হইয়াছে, সেই ক্ষেত্র ছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সুনির্দিষ্ট অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো মোটর গাড়ি অথবা ভবনে বিদেশি পতাকা উত্তোলন করা যাইবে না। ”
ইভেন্ট পেইজে আরো লেখা হয়েছে, “স্টেডিয়াম যেহেতু একটি ভবনের আওতায় পড়ে, সেহেতু স্টেডিয়ামে কোন বাংলাদেশি যদি বিদেশি পতাকা উড্ডয়ন করে, তাহলে তা আইনত: দণ্ডনীয় অপরাধ। ”
ইভেন্ট পেইজে লেখা হয়েছে, “ক্রিকেট খেলা নিয়া গোলাম আযমের (দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী) একটা উক্তি ছিলো, ‘বাঙ্গালির যত পাকি বিদ্বেষ সব ভারত পাকিস্তান ম্যাচে এসে শেষ হয়ে যায়।
”
ভূমিকায় লেখা হয়েছে, “আমার যদি অনেক টাকা থাকতো তাহলে আমি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩০ লাখ লাশের ছবি নিয়ে যেতাম- স্টেডিয়ামের প্রতিটি কর্নারে এ ছবি ছড়িয়ে দেয়া উচিত - পাকি সমর্থকদের মুখে ঝুলিয়ে দেয়া উচিত! একজন বাংলাদেশি কিভাবে পাকি পতাকা বহন করে?”
সিপি গ্যাংয়ের পোস্টারের শিরোনামে লেখা হয়েছে, “একটু দাঁড়ান... হ্যাঁ আপনাকে বলছি.... আমি একজন লজ্জিত বাংলাদেশি। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।