আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বল্প ওষুধে রোগ নিয়ন্ত্রণ

কখন হার্ট অ্যাটাক হবে কেউ কি তা জানে? কেন অপেক্ষা করবেন হার্ট অ্যাটাকের, যখন তা নিবারণ করতে পারেন?

তাৎক্ষণিকভাবে জীবন বাঁচানোর জন্য মানুষ অপারেশনের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু কেন আমরা এই ইমার্জেন্সির কাছে নিজেকে সঁপে দেব? কেন আমরা নিজের দেহ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকব। বিষয়টি অনেকটা এরকম, আপনি গাড়ি চালাচ্ছেন, কিন্তু হঠাৎ করে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে আপনার কোনো উদ্বেগই নেই। চলার পথ মসৃণ রাখতে ইঞ্জিনের সুরক্ষা করতে হবে। ঠিক একইভাবে আমাদের দেহ একটি মূল্যবান ও বিস্ময়কর মেশিন বা যন্ত্র যা সৃষ্টি করেছেন স্রষ্টা।

এই দেহযন্ত্রকে সচল রাখতে হলে বিশেষ যত্ন নিতে হয়, যে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা সম্বন্ধে প্রাক তত্ত্বাবধান করতে হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলো, বড় হাসপাতালগুলোর রীতিমাফিক টেস্ট যেমন, লিপিড প্রোফাইল, স্ট্রেস টেস্ট এবং ২ডি ইকো, শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভাব্য রোগ সম্বন্ধে কোনো প্রমাণ হাজির করে না। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা রোগের অগ্রসর পর্যায় সম্পর্কে কোনো কিছুই প্রকাশ করে না। ফলে ডাক্তার অন্ধকারে থাকেন। বেশির ভাগ ডাক্তারই রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবস্থাপত্র দেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো চিকিৎসক হৃদযন্ত্রের উপাদান সম্বন্ধে আলোকপাত করা বা দিক-নির্দেশনা দেন না।

চিকিৎসা প্রযুক্তির উন্নতির যুগে হার্টের রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বর্তমানে হৃদরোগীদের জন্য হলিস্টিক পদ্ধতি অনেক এগিয়ে গেছে। এটি মূলত রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধের সেন্টার, স্বল্প ওষুধ সেবনের মাধ্যমে হার্টের আর্টারিতে ব্লকেজ অথচ রোগী অপারেশনে ভয় পান বা অপারেশনের জন্য অনুপযুক্ত যেমন অধিক বয়স, শারীরিক অক্ষমতা, হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা অনেক কম, বাইপাস করার কিছু দিনের মধ্যেই পুনরায় ব্লকেজ হয়েছে বা স্টান্টিং করতে ব্যর্থ ও কয়েকটি ব্যাধির রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকে। এসব রোগের ভেতর রয়েছে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, টেনশন ও মাইগ্রেন। আজকাল অনেকেরই হেলথ পলিসি আছে, হাসপাতালের খরচ জোগায় ইনসিওরেন্স কোম্পানি।

কিন্তু শরীরের যে ক্ষতি হয়ে যায়, তার পূরণ কিভাবে হবে? হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার আসলে একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পদ্ধতি। এর পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে : ডায়েট ম্যানেজমেন্ট, স্ট্রেস ফ্রি টেকনিক, মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, নিউরোবিক, আকুপ্রেশার ও ইসিপি। সবচেয়ে বড় কথা আধুনিক এ যুগে হৃদরোগ চিকিৎসায় এসব পদ্ধতি এখন পঞ্চশক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এগুলো তাদের জন্যই প্রযোজ্য যারা কাটা ছেড়ায় ভয় পান অথবা অপারেশনে অনুপযুক্ত।

ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

ফোন : ০১৭২১-৮৬৮৬০৬

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।