জনগন ক্ষমতার বলির পাঁঠা।
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয় পানিতে ডুব দিয়ে গোসল করি। কিন্তু ডুব তো পরের কথা পুরো ঢাকা শহরের পায়ের পাতা ভেজানোর মত পুকুর কি গুগল ম্যাপ দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাবে ?
ঝিলের নামে যার নাম সেই মতিঝিলের ঝিল ডোবা হয়ে অনেক দিন টিকে ছিল কিন্তু তাও আমাদের তস্কর নগরবিদদের কল্যানে একদিন বক্স-কালভার্টে পরিণত হলো।
বুড়িগঙ্গা। নদী বটে একখান।
এমন উৎকট গন্ধের পানি ওয়ালা নদী বোধহয় এই গ্রহে এই একটিই। বুড়িগঙার এই পানির উপর দিয়ে কোন লাশ নিয়ে যাওয়াও সমস্যা,পানির গন্ধে লাশের জেগে উঠার সম্ভবনা প্রবল।
বেগুন বাড়ী খালের উপর গড়ে উঠেছে নান্দনিক হাতির ঝিল। চোখের সেৌন্দর্যের জন্য মনের সে্ৌন্দর্যকে হত্যা !!এই বেগুন বাড়ী খালের সাথে একসময় ধানমন্ডি লেক-গুলশান লেক হয়ে তুরাগ নদী পর্যন্ত একটি সংযোগ ছিল যার যেখানে ইচ্ছা সেখানে ডুব সাঁতার দিয়ে গোসল করা যেত। অথচ এখন এসব লেকের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে হলে নাকে রুমাল চাপা দিতে হয় ।
পানির অপর নাম নাকি জীবন,সেই জীবনকে হত্যা করা হচ্ছে কোন জীবনের জন্য ?
ইর্স্টান হাউজিং এর বনশ্রী প্রজেক্ট এবং বসুন্ধরা হাউজিং বালু নদীকে ইতোমধ্যে লেকে পরিনত করেছে আশা করা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যে তা বক্স-কালভার্টে পরিনত হবে !!
দক্ষিন গোরানে এই ৩/৪ বছর আগেও একটা জলাশয়ের মত ছিল যাতে এলাকার বাচ্চারা দাপিয়ে গোসল করত। এখন সেটা সভ্য মানুষের অসভ্য ইতিহাস মাত্র।
এভাবে পাড়ার ঝিল-ডোবা থেকে শুরু করে বুড়িগঙ্গা -শীতলক্ষা সব ভরাট হয়ে যাচ্ছে,এমন কি শহর থেকে শহরতলীতেও ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল-বিল -নদী-নালা। বিলীন হয়ে যাচ্ছে "আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে"।
জীবন বাঁচাতে ও জীবন সাজাতে আমরা নিজেরাই জীবনের টুঁটি চেপে ধরেছি।
আমাদের বোধোদয় হবে কি ?
আমরা গনতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করি,ধর্মের জন্য জিহাদ করি,মানবধিকারের কথা বলি।
আজকে আমরা জীবন সাজানোর জন্য ২৫/৩০ তলা সুউচ্চ ভবন গড়ছি । সেদিন আর বেশী দুরে নয় যেদিন আরও বেশী গভীর গর্ত খুঁড়তে হবে জীবন বাঁচানোর জন্য---
আসুন এবার আমরা জীবন সাজাতে নয় ,জীবন বাঁচাতে আন্দোলন করি,জিহাদ করি,কথা বলি।
এখনিই সময়। না হয় দেরী হয়ে যাবে!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।