আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংকট নয়, প্রণোদনা নিয়ে এগোতে চায় আবাসন শিল্প

দেশে বিরাজমান স্থিতিশীল পরিবেশে আর কোনো সংকট নয়, বরং সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় প্রণোদনা নিয়ে এগোতে চায় বিকাশমান আবাসন শিল্প। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে এ খাতের ব্যবসায়ীরা জমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনে চান ঝামেলামুক্ত সুবিধা। চান গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ, সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ, ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হয়রানি ও ভোগান্তি থেকে রেহাই। আবাসন খাতকে চাঙ্গা করতে আগামী ৫ বছর অপ্রদর্শিত বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগও চান তারা। এমন আশা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে প্রহর গুনছেন সম্ভাবনাময় এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) তথ্যমতে, দেশে এখন ৩৩৮টি আবাসন প্রতিষ্ঠানের ২২ হাজার ৫৭২টি ফ্ল্যাট অবিক্রীত রয়েছে। এসব ফ্ল্যাটের আনুমানিক বাজারমূল্য ২১ হাজার ৫০৬ কোটি ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তবে রিহ্যাবের সদস্য ১ হাজার ২১৬টি প্রতিষ্ঠান হলেও সব আবাসন প্রতিষ্ঠানের অবিক্রীত ফ্ল্যাটের হিসাব সংগঠনটির কাছে নেই। তবে রিহ্যাব ধারণা করে বলছে, সব মিলিয়ে বাজারমূল্য আনুমানিক ৪৫ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা। রিহ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের সংকট মোকাবিলায় খুব বেশি দাবি নেই।

কেবল সরকারের কাছে কিছু নীতি-সহায়তা চাই। এসব নীতি-সহায়তার মধ্যে রয়েছে- অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুবিধা, ক্রেতাদের জন্য সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার একটি ঋণ তহবিল ও নির্মিত ভবনে সোলার প্যানেলের (সৌরবিদ্যুৎ) বাধ্যবাধকতা বাতিল। প্রয়োজনে আমরা সারচার্জ দেব। এ সারচার্জের অর্থ দিয়ে সরকার গ্রামে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে। ওয়ানস্টপ সেবা চালুর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, রাজউক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন প্রকল্প এবং অন্যান্য বিষয়াদি অনুমোদনের সুবিধার্থে ওয়ানস্টপ সুবিধা চালু করতে হবে।

পাশাপাশি ভবন নির্মাণকালীন সময়ে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য কমাতে হবে। এসব সুবিধা পাওয়া গেলে চলমান মন্দা কাটিয়ে আবাসন খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আবাসন খাতের গুরুত্ব তুলে ধরে ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ইতিবাচক ধারায় এগোচ্ছে আবাসন শিল্প। এটি একটি বিরাট খাত। এ দেশে মধ্যবিত্তের আবাসন সমস্যা সমাধান করেছে এ খাত।

বড় শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে আবাসন শিল্প। এ শিল্পের প্রবৃদ্ধিও অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও মানুষের আবাসন চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রেখেছে এ খাত। তবে ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আবাসন শিল্প ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবে আবাসন খাতে বড় ধরনের কিছু অব্যবস্থাপনা রয়েছে উল্লেখ করে বহুজাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের আবাসন খাতকে বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধা দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে সমন্বয় করতে হবে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে আরও সক্রিয় ও সহায়ক হতে হবে।

যে সংকটে ধুঁকছে আবাসন শিল্প : দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় চরম সংকটে পড়েছে আবাসন শিল্প। প্রায় ১ হাজার ২০০ আবাসন প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এ খাতে জড়িত লাখ লাখ মানুষের ভাগ্য।

প্রতিবন্ধকতার কারণে আবাসন ব্যবসায়ীদের নতুন প্রকল্প গ্রহণ একেবারে বন্ধ রয়েছে। আবাসন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ২০০টিরও বেশি কাঁচামাল জাতীয় পণ্যের বাজারও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। ফলে আবাসন খাতের ক্ষতি এসব প্রতিষ্ঠানের ওপরও পড়ছে। সব মিলিয়ে আবাসন খাতে চরম অচলাবস্থা বিরাজ করছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের ঘুম হারাম।

তার ওপর ব্যাংকের চড়া সুদের তাড়া। হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসায়ীরা এখন দোয়া-দরুদ পড়ছেন। জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ অবদান রাখা আবাসন শিল্পে চলছে ভয়াবহ মন্দাবস্থা। উচ্চ হারে আয়কর, রেজিস্ট্রেশন খরচ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সংকট, শেয়ার বাজার ধস, ব্যাংক ও অর্থলগি্নকারী প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ তারল্য সংকটসহ সর্বগ্রাসী সংকটে পতিত আবাসন ব্যবসা। ফলে বেকার হয়ে পড়ার আতঙ্কে ভুগছেন আবাসন খাত সংশ্লিষ্ট লক্ষাধিক স্থপতি, প্রকৌশলী ও প্রায় ৩৫ লাখ শ্রমিক।

রিহ্যাব জানিয়েছে, ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রি এ বছর শূন্যের কোঠায়। আবাসন ব্যবসা চরম সংকটে নিপতিত। তবে গ্যাস সংযোগ এবং বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ আবাসন খাতের দুরবস্থা কিছুটা কাটাতে সাহায্য করবে। কিন্তু এমন অবস্থা চলতে থাকলে ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে যাবে। এ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রুখতে এখনই সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এ প্রসঙ্গে এবারের রিহ্যাব আবাসন মেলার উদ্বোধন করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে শুনেছি, বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে তারা নানা হয়রানির শিকার হন। মাসের পর মাস সংযোগ দেওয়া হয় না। এ হয়রানি দূর করা হবে। গ্রাহককে ৪০ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। গ্যাস সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে।

যে সব এলাকায় গ্যাস সংযোগ লাইন রয়েছে সেখানে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ সময় রাজউক সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ১ হাজার ৫২৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা রাজউকের অধীনে রয়েছে। এ এলাকাকে ৮টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। মানুষের বাসভবনের নকশা যাতে সহজে হয় সে জন্য আটটি জোন কাজ করবে। রিহ্যাবের সদস্যরা যেন সহজে ভবন নির্মাণের নকশা পান সে জন্য কাজ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণের দাবি : বাংলাদেশের আবাসন শিল্পের মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। মানুষের মৌলিক চাহিদা আবাসনের বিষয়টি বিবেচনা করে এ খাতে ঋণ দিচ্ছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। যদিও এ ঋণের সুদের হার সাধারণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সামর্থ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মনে করেন ক্রেতারা।

তথ্যমতে, ২০১০ সালের জুলাই থেকে প্রায় তিন বছর আবাসিক খাতে গ্যাস-সংযোগ বন্ধ, শর্তযুক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের তহবিল বন্ধ, ডেভেলপারদের ঋণ সুবিধা বন্ধ, শেয়ারবাজার ধস, ক্রেতা পর্যায়ে ঋণের অভাব_ এসব নানা কারণে আবাসন খাতের বিক্রি প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ কমে গেছে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো আবাসন ঋণ বন্ধ রাখায় নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারছেন না উদ্যোক্তারা।

২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ ঋণ দান প্রকল্পটি আবার চালু করার দাবি ব্যবসায়ীদের। তথ্যমতে, ২০০৭-০৯ সাল পর্যন্ত আবাসন খাতের জন্য ৯০০ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। এ তহবিল থেকে ক্রেতারা ১২০০ বর্গফুট পর্যন্ত ফ্ল্যাট ক্রয়ে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পেতেন। কিন্তু এটি বন্ধ হয়ে গেলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই বিপাকে পড়েন। তবে ক্রেতাদের সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠনে রিহ্যাবের দাবি নাকচ করে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, ওই দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

এতে টাকার অবমূল্যায়ন হতে পারে। এর সঙ্গে মূল্যস্ফীতি জড়িত। আর বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন খাতে যে অর্থ যোগ করবে তা বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বাড়াবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রতি বছর আবাসন খাতে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ হচ্ছে। তবে বিতরণ করা পুঞ্জীভূত মোট ঋণের মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিভিন্ন ব্যাংকের।

এর মধ্যে বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন, বিদেশি ও বিশেষায়িত অন্যান্য ব্যাংকের সম্মিলিত ঋণের পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এদিকে আবাসন খাতের ঋণদাতা বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফিন্যান্স ও ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স মিলে এ খাতে বিতরণ করেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ।

রাজস্ব প্রণোদনা চায় রিহ্যাব : আবাসন খাতকে চাঙ্গা করতে অপ্রদর্শিত আয় ও কিছু রাজস্ব প্রণোদনা চায় রিহ্যাব। সংগঠনটি বলছে, পাঁচ বছরের জন্য এ সুযোগ পাওয়া গেলে এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে।

তবে চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আবাসন ব্যবসায়ীদের এ সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে। তবে রিহ্যাবের দাবি, প্রথমবার যারা ফ্ল্যাট কিনবেন তাদের আয়ের উৎস যেন না খোঁজা হয়। এ অবস্থায় আবাসন শিল্পের স্বার্থে আগামী ৫ বছর এই সুযোগ দেওয়া হোক। এ প্রসঙ্গে রিহ্যাবের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, সরকার কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ এক বছরের জন্য দিলে তাতে ফল আসে না। আমরা পাঁচ বছরের জন্য এ সুযোগ চেয়েছি।

এতে মানুষের ভয় কেটে যাবে। তারা অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেন, তারা যে দাবি করেছেন, আগামী বাজেট প্রণয়নের সময় বিষয়টি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যদিও বর্তমানে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ১৯বিবিবিবিবি ধারা রয়েছে। গত দুটি অর্থবছরে বাজেটে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়।

সে ক্ষেত্রে আয়ের বিপরীতে যে পরিমাণ কর এতদিন দেওয়া হয়নি, তা দেওয়া এবং এর সঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা দেওয়ার বিধান চালু করা হয়। সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর তুলনায় দেশে নিবন্ধন ব্যয় অনেক বেশি। ফলে অনেক ক্রেতা নিবন্ধনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। আর সরকারও এ খাত থেকে রাজস্ব হারাচ্ছে। এ কারণেই নিবন্ধন ব্যয় কমানোর পক্ষে সংগঠনটি।

এ ছাড়া প্রয়োজনীয় মূলধনি যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানিতে ১ শতাংশ এবং জেনারেটর আমদানিতে ২ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করার দাবি রয়েছে সংগঠনটির। এদিকে বর্তমানে কেউ কোনো ফ্ল্যাট কিনলে তাকে সাড়ে ১১ শতাংশ কর ও ফি দিতে হয়। এর মধ্যে ৩ শতাংশ করে গেইন ট্যাঙ্ ও স্ট্যাম্প ডিউটি, নিবন্ধন ফি ৪ শতাংশ, দেড় শতাংশ মূল্য সংযোজন কর দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে রিহ্যাবের প্রস্তাব হচ্ছে- ২ শতাংশ করে গেইন ট্যাঙ্, স্ট্যাম্প ডিউটি ও নিবন্ধন ফি এবং মূসক আগের হারই বহাল রাখা।

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।