আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি বসন্তের কোকিল নই: রাহুলের উদ্দেশে মমতা

সভা করতে এসে জনগণের সামনে একপক্ষ আরেক পক্ষর সমালোচনা করাটা যেন নেতা-নেত্রীর স্বভাবে পরিণত হয়ে গেছে। এই নেতা কি বললেন তার জবাব দেবেন ওই নেতা। আবার একজন আরেকজনকে তুলোধুনা করতেও বাদ যান না। তা হোক মমতা বন্দোপ্যাধ্যায় কিংবা রাহুল গান্ধী।

গত মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে সভা করতে এসে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী।

এদিনই উত্তরবঙ্গে জনসভায় তারই জবাব দিলেন মমতা। নাম না করেই রাহুলকে একজন ভুঁইফোড় নেতা হিসাবে ব্যাখ্যা করলেন তিনি।

মমতা বলেন, দিল্লির কিছু ভুঁইফোঁড় নেতা আছেন যারা বলছেন, প্রচুর পরিমাণ অর্থ কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছিল। আপনি কি হিসাবশাস্ত্র জানেন? কখনও হিসাব করেছেন? জানেন কাজ কাকে বলে? জানেন কীভাবে তহবিলের টাকা রাজ্যের কাছে আসে, খরচ হয় এবং কীভাবে তা কেন্দ্রের কাছে ফেরত যায়? এদিন নক্সাল বাড়ির জনসভায় নাম না করে রাহুল গান্ধীর উদ্দেশে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।

ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, আমি কোনও নাম নিতে চাই না।

আমি লজ্জিত বোধ করি। আমি তাদের নাম নিই যারা নাম নেওয়ার যোগ্য। যারা যোগ্য নয় তাদের নাম নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না আমি। কংগ্রেসে ৬৬ বছর ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু এরা 'লাটসাহেব' ও 'জমিদারদের' ছেলেমেয়ে।

দরিদ্র মানুষ ও তাদের সমস্যা, জীবন সংঘর্ষের বিষয়ে কিছু জানেই না।

এমনকী রাহুলকে বসন্তের কোকিলের সঙ্গেও তুলনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সারা বছর আমি মানুষের সঙ্গেই থাকি। আমি জানি মানুষের সমস্যা কী, তারা কী চায়। আমি ওই পরিযায়ী পাখি বা বসন্তের কোকিলের মতো নই যারা বসন্তে আসে। আবার ঋতুর অন্তে উড়ে চলে যায়।

নিজেকে এদিন হিংস্র ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করে মমতা বলেন, আমি অনেকটা 'টর্নেডো'-র মতো। বাংলাকে বঞ্চিত করা হলে তার জন্য লড়াই করব। যতদিন বেঁচে থাকব এ লড়াই চলবে। কেউ আমাকে ধরতে বা আটকাতে পারবে না। আমি দিল্লিকে ভয় পাই না।

চেষ্টা করুক, আমাকে ধরুক তারপর দেখবে ফলটা। নির্বাচনের পর তোমাদের আমাদের পায়ে এসে পড়তে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিন।

রাহুলের অভিযোগ খণ্ডন করে মমতা বলেন, খাদ্য, টিকাকরণ, জওহরলাল নেহরু আরবান ন্যাশনাল রিনিউয়াল মিশন প্রকল্পের জন্য, অনগ্রসর অঞ্চলের জন্য, সেচ প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেনি।

একইসঙ্গে মমতার অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্র বাংলাকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষুদার্থ করে রাখতে চাইছে। বাম সরকারের নেওয়া ঋণের সুদ বর্তমান সরকারকে দিতে হচ্ছে।

যারা বাংলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। জালিয়াতি করেছে। বঞ্চিত করেছে তারা এখন বড় বড় কথা বলছে। এইসব কারণের জন্য কংগ্রেসের একটাও ভোট পাওয়া উচিত না।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আয়কর এবং কাস্টম শুল্কসহ ৪০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে নিয়েছে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।