একটানা শূন্য রাস্তার দিকে আবছা আলোয় তাকিয়ে থেকে বন্তি দীর্ঘশ্বাস ফেলে। সে জানে... ঐ রাস্তা দিয়ে কেউ কখনো আসবে না। তবুও অপেক্ষা তার... অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ কারো জন্য অথবা... কারো জন্যই না। শুধু শূন্যতার দিকে তাকিয়ে থাকা ... দিনের পর দিন!
ম্যাপেল গাছের শাখায় নতুন কুড়ি ধরেছে... খুব শিগ্রিই পাতা আসবে হয়তো!
এইখানে, সারাদিনে কোন কাজ নেই। কাজ শুরু রাতে। একটানা দাঁড়িয়ে থেকে প্যাকেজিং এর ৯ ঘণ্টা কাজ করে করে ক্লান্তিতে মেরুদণ্ড ব্যাথা হয়ে এলে বন্তি বাইরে গিয়ে শ্বাস নেয়... আর অদ্ভুত ব্যাথা ব্যাথা সব কথা ভাবতে থাকে খুূউব!
একসময়... এসব ভাবলেই চোখ ভরে যেতো জলে।টপ টপ করে গড়িয়ে পড়তে থাকলে ওর ইনচার্জ মার্ক হুট করেই হাজির হতো আর চমকে দিয়ে ওকে বলে উঠতো... are u okey banti? (মার্ক বন্তি কিছুতেই বলতে পারে না! বলে বানটি! বুড়া কে হাজার বার বলেও শোধরানো যায়নি!) ...বুড়া মার্ক এমন করে তাকাতও, বন্তি হেসে ফেলে বলতো...yeah ... of course um okeey!! just make my eyes clean by crying !!!! dont worry markish! ... বুড়া মার্ক কিছু বুঝতো, কিছু না... হুট হাট করেই আবার তাড়া দিতো ওকে কাজ শেষ করার... বন্তি ও দউরাত সব কষ্ট ঝেড়ে ফেলে।
এক গভীর মায়ায়... সে দেশ ফেলে এই অচিন দেশে এসে বসে আছে।
অনেক আশা আর বিফল সব ধারনা নিয়ে...
অচেনা মানুষটা হয়তো কখনো তাকে খুঁজে নেবে...!
হয়তো চমকে দিয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলবে... অপেক্ষা শেষ প্রিয়তমা... আর পরীক্ষা দিতে হবে না তোকে... আয় বুকে এসে চুপটি করে থাক প্লিজ!!
প্রতিরাত বন্তি এমনি ভেবে ভেবে পার করে ...
এক একেকটা দীর্ঘ বছরসমান রাত!
এক একটা বিষণ্ণ রাত ... !!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।