আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটে কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি

সিলেটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফলে বেশির ভাগ উপজেলায় দুই দলই একক প্রার্থী দিতে পারেনি। বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে অনেক উপজেলায় দুই দলের প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। গ্রুপিংয়ের কারণে দলের সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের উসকানি দিয়েছেন দুই দলের জেলা ও মহানগর শাখার শীর্ষ নেতারা। স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের আত্দঘাতী কাজে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মাঝে।

এর প্রভাব দলীয় কর্মকাণ্ডেও প্রতিফলিত হচ্ছে। সিলেটের ১২ উপজেলার মধ্যে চার দফায় ১০টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটিতে আওয়ামী লীগ, ৫টিতে বিএনপি ও দুটিতে জামায়াতের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যে উপজেলায় যে দল একক প্রার্থী দিতে পেরেছে সেখানেই তারা বিজয়ী হয়েছে। জৈন্তাপুর ও গোলাপগঞ্জে জামায়াতের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কোন্দলের কারণে।

নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিরাজমান কোন্দলের প্রভাবে দলীয় কর্মকাণ্ডেও বিঘ্ন ঘটছে। এর ফলে দুই দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে স্বাধীনতা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারেননি বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অথচ এর আগে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের ৮-১০টি গ্রুপ আলাদাভাবে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যেত। একইভাবে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি।

অন্যান্য বছর স্বাধীনতা দিবসে আওয়ামী লীগ আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করত। এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল গফ্ফার বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী সমর্থন দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র থেকে অনেক সময় নাটকীয়তার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে নিষ্ক্রিয়তা দেখা দিয়েছে। শহীদ মিনারে ফুল দিতে না যাওয়াটা দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমি অসুস্থ ছিলাম। তবে ফোনে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি দিলদার হোসেন সেলিমসহ অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু তারাও যাননি।

' সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীর পেছনে কোনো নেতার ইন্ধন রয়েছে এমনটা জানা নেই। তবে স্থানীয় কোন্দলের জের ধরে বিভিন্ন উপজেলায় একাধিক প্রার্থী হয়েছেন। এর কারণে অনেক উপজেলায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসেনি। উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় স্বাধীনতা দিবসে ফুল দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো কর্মসূচি নেওয়া হয়নি।

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।