২৯/৩/২০১৪ তারিখ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ভেজাল প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়
বাজারে মিনারেল ওয়াটার নামে প্রচলিত পানির ৯৬ ভাগই পানের অযোগ্য। একইসাথে বাজারজাত করা ৯৭ ভাগ জুসের মধ্যে ফলের রস বলতে কিছু নেই। আর দেশের প্রায় সব ফার্মেসিতেই বিক্রি হচ্ছে অনুমোদনহীন ভেজাল ও নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ভেজাল প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত প্রবন্ধে আরও বলা হয়, ৯৬ ভাগ খাবার হোটেলের মান খারাপ। খাদ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
পাউ রুটি, কেকসহ অন্যান্য বেকারিতে তৈরিকৃত খাবারে খাওয়ার অনুপোযুক্ত উপকরণ দেয়া হয়। বিশেষ করে ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী কিনতে গেলে কোনটা আসল কোনটা নকল নির্ণয় করা যায় না। আর হাসপাতালে গেলে অহেতুক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কৌশলে ফেলে হাতিয়ে নেয়া হয় পয়সা।
ভেজাল জিনিস খাওয়ার ফলে শরীরে জটিল সব রোগ বাসা বাঁধছে। নিম্নমানের জিনিসপত্র ব্যবহারে ঘটছে ভয়াবহ সব দুর্ঘটনা।
সর্বোপরি ভেজাল প্রতিরোধে ব্যবসায়ীদের নৈতিক চরিত্রের উন্নতি, সততা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধি, বিএসটিআইয়ের তৎপরতাবৃদ্ধির পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতিনিয়ত সতর্কতা ও মানবিকতাবোধ মূখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মত দেয়া হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অপরাধ বিচিত্রা এবং জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ভেজাল প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ব্যাংকার, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, ভেজাল বিরোধী অভিযানে অংশ নেয়া কর্মকর্তা, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে অংশ নেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোহাম্মদ ফরহাদ প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএসটিআইয়ের দায়িত্ব হচ্ছে ভেজালরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করা। সেখানেই যদি ভেজাল থাকে তাহলে সেখানকার ভেজাল তারাবে কে।
আয়ুর্বেদিক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বলেন, যারা পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তাদের অনেকের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকে না। এ কারণে তাদের বিপাকে পড়তে হয়।
ব্যাংকার মিজানুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন মানুষকে খুন করলে অপরাধির ফাঁসি হয়। অথচ কোটি কোটি মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার জন্য কেন ফাঁসি হবেনা। তিনি ভেজাল মিশ্রণকারীদের শাস্তির জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করার দাবি জানান।
সিলেট থেকে আগত শিক্ষক জহির উদ্দিন বলেন, জেলা পর্যায়ের পরিদর্শকরা ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করেন না। এছাড়া ভেজাল প্রতিরোধের জন্য জেলায় জেলায় মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।
ঢাকা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৯/১০টি টিম দিয়ে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির অভাবে অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
Click this link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।