লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই
বিভিন্ন কারনে, অনেক ভাবে আমাদের পরিচিত-অপরিচিত শব্দগুলোর অন্তর্গত অর্থ পরিবর্তিত হয়ে যায়। শব্দের মূলগত অর্থের রুপান্তর সাধিত হয়- সাধারনত যখন ধীরে ধীরে ঐ মূল অর্থের কাছাকাছি কোন কাজ ঐ শব্দের আড়ালে সংঘটিত হতে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে আরো দূরে সরে যায়। এবং প্রজন্ম হতে প্রজন্ম- শম্বুক গতিতে এই পরিবর্তনটি ঘটতে থাকে। এবং একসময় আমরা ভুলে যায় ঐ শব্দটির মূলগত অর্থ। তা নিয়ে অবশ্য কারো কোন ধরনের খেদ নেই বা থাকতে পারেনা।
কারন এটা প্রত্যেকটা ভাষার সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এভাবে আমাদের ভাষায়ও অনেক সচল এবং অচল শব্দ নতুন নতুন অর্থ নিয়ে আমাদের হাজির হয়েছে, আমরা সাদরে তাদের অভ্যর্থনা করে নিয়েছি। এভাবে পেছনে পড়ে যাওয়া অচল শব্দগুলো নতুন প্রান পেয়ে আবার সামনের কাতারে চলে আসতে থাকে। ভাষার নিজস্বগতিতে এগিয়ে চলার অবিরাম প্রক্রিয়ার একটি শক্তিশালী অংশ হিসেবেও একে চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু দুঃখ হয় যখন দেখি কোন শব্দের মূলগত অর্থ বিকৃত হয়ে যায় বা অতিমাত্রায় নেগেটিভ অর্থে পরিবর্তিত হয়।
তেমন একটি শব্দ হচ্ছে এই হরতাল। এই হরতাল শব্দটি আর পূর্বের মূল অর্থে নেই-প্রায়ই অনেকটাই বিকৃত হয়ে গেছে। হরতাল হচ্ছে, শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতিতে পার পেয়ে ক্ষমতার মসনদে বসে এমন নয়, যে রাজনৈতিক দলগুলো প্রকৃত অর্থে গনভিত্তি আছে- যে দলের আদর্শ এবং শক্তি-সামর্থের উপর জনগন আস্থা রাখে তেমন একটি দল যখন জনগনের উপর সরকারের শোষণ, জুলুম, অত্যাচায়, নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগনকে সামনের কাতারে রেখে প্রতিবাদ স্বরূপ এবং সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্যে- গাড়ি চলাচল, দোকান-পাট, অফিস-আদালত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আহ্বান জানায় তখন সেটাকেই বলা হয় হরতাল ঘোষণা। অবরোধ, ঘেরাও এরকম কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচী শুধুমাত্র ঐ নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলটির নেতা-কর্মী দ্বারা সফল হতে পারে এবং হয়। কারন অবরোধ বা ঘেরাও কর্মসূচীতে ঐ নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলটি তার নেতা-কর্মী নিয়ে মিছিল করে গিয়ে ঐ নির্দিষ্ট স্থান বা প্রতিষ্ঠানটি ঘিরে বা অবরোধ করে রাখে।
কিন্তু হরতাল কখনো শুধুমাত্র নেতা-কর্মী দ্বারা সফল হবার নয়। হরতালে আবশ্যিকভাবে পুরোদেশব্যপী জনগনের নৈতিক সমর্থন লাগবে। এবং জনগন স্বতস্ফুর্তভাবে হরতাল পালন করবে- তার নিজস্ব দাবী দাওয়া দৃঢ় হাতে আদায় করার জন্য এবং সরকারের অত্যাচার, নিপীড়ন, শোষণের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যে। পরিবহন শ্রমিকরা ওই দিন নিজেরাই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হবেনা, কলকারখানার শ্রমিক কলের চাকা ঘোরানো থেকে বিরত থাকবে, মধ্যবিত্ত জনগনও রাস্তায় এসে গাড়িতে উঠে বসবেনা অফিস-আদালতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। ছাত্র-ছাত্রীরাও ঐদিন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়ে ঐ দাবী-দাওয়া গুলো রাস্তায় ঘুরে ঘুরে প্রচার করে জাতির বিবেকের দায়িত্বটি পালন করবে।
হরতালের মূলগত অর্থ নিয়ে আমার এই আলোচনা হয়তো বর্তমান প্রজন্মের অনেকেরই মনে খটকা লাগাবে। হয়তো মনে মনে বা জনসম্মুখেই বলতে শুরু উনি আবার কেমনতরো কথা বলা শুরু করলেন! এরকম করে আর হরতাল হয় নাকি, আমাদের মধ্যে কেউ দেখেছে এমনতরো হরতাল। তাদের অবগতির জন্যে বলে রাখা দরকার তথাকথিত নয় মূলগত অর্থে হরতাল হতে দেখা গেছে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে পশ্চিম পাকিস্তানী শোষণের বিরুদ্ধে তারপর নব্বই এর দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়। সঠিক ইতিহাস এবং ঐ সময়কার পত্র-পত্রিকাগুলো মনযোগ সহকারে খেয়াল করলেই তারা আমার কথার সত্যতা পেয়ে যাবেন।
আমাদের বর্তমান প্রজন্ম যারা হরতালের এই ধরনের বিকৃত রুপে অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে আছে তাদের কাছে হরতাল মানে তো রাস্তায় গাড়ি পোড়ানো, ভাঙ্গচুর, পুলিশের সাথে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, আগুন ধরে যাওয়া পরিবহন বাসে সাধারন যাত্রীদের পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া, ঘরের ভেতরে আমেজ করে বসে রঙ্গীন টেলিভিষনের পর্দায় ভাবলেশহীন সংবাদ পাঠিকার মুখে শোনা এবং সরাসরি ভিডিও চিত্রে দেখা- চোখে, মুখে, সারা শরীরে রক্তাক্ত অবস্থায় কিছু মানুষের উদ্ভ্রান্ত ঘুরে বেড়ানো এবং অনেক মায়ের কোল খালি করে সদর রাস্তায় নির্দিদ্ধায় ঘুমিয়ে পড়া কিছু গাঢ় লাল রঙের লাশ।
এবং তার পরের দিন সংবাদ পত্রের হেডলাইন দেখে- গাড়ি পোড়ানো এবং আহত-নিহত মানুষের সঠিক তত্ত্বতালাশ নিয়ে রাস্তা-ঘাটে অফিস-আদালতে ব্যপক আড্ডার আমাজে মজে যাওয়া।
হরতাল শব্দটির আসল অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্যে প্রকৃত বামপন্থী প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো অনেকদিন যাবত চেষ্টা চালিয়ে আসছে। হরতালের মত একটি জনগনের দাবী আদায়ের হাতিয়ারকে তারা নষ্ট হতে দিতে চায়নি বরং জনগনের আন্দোলনের স্বরুপকে আরো একধাপ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। সবসময় এদের আহুত হরতালের দাবী-দাওয়াগুলো জনগনের উপর সরকারের শোষণ-নির্যাতনের ফলে উদ্ভূত দাবী-দাওয়া। কোন দূর্নীতিবাজ, শোষক, সন্ত্রাসী, নির্যাতনকারী রক্ষাকল্পে কখনো তাদেরকে হরতাল ডাকতে দেখা যায়নি।
বা কখনোই শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে হরতালকে ব্যবহার করতেও দেখেনি জনগন। অথচ আমাদের দেশের ডানপন্থী প্রতিক্রিয়াশীল দলগুলোকে সবসময় দেখা যায় তাদের দলের চোর, বদমাশ, গুন্ডা, মাস্তানের গডফাদার, দূর্নীতিবাজ, শোষক, নির্যাতককে বাঁচাতে এবং শুধুমাত্র ক্ষমতায় আরোহণ করার হাতিয়ার হিসেবে হরতাল আহ্বান করতে। তাদের দাবী-দাওয়ার সাথে জনগনের চাওয়া-পাওয়ার দু-চক্ষুর মিলন কখনো হয় না। নব্বইয়ের দশকে ডানপন্থী দলগুলোর ডাকা হরতালে জনগনের আকাংখ্যার প্রতফলন থাকতে দেখা গেলেও নির্বাচনের মাধ্যমে ঐ দলগুলোর একটি ক্ষমতায় আরোহন করার সাথে সাথেই দেখা গেল- বিগত দিনে তাদের ডাকা হরতালে জনগনের আকাংখ্যার প্রতিফলনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ক্ষমতায় গিয়ে তাদের নিজস্ব শোষণ কায়েম এবং ভোগলিপ্সা চরিতার্থ করা।
প্রকৃত বামপন্থী প্রগতিশীল দলগুলোর বর্তমানের এই লুটেরা পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যাবস্থায় শক্তিসামর্থের দিক দিয়ে কিছুটা ঘাটতি আছে।
কারন হিসেবে উল্লেখ করা যায়- ভারত উপমহাদেশে বামপন্থী রাজনীতি শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময় কিছু কৌশলগত ভুলের কারনে মূল নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হতে ব্যার্থতা এবং দলগুলোর সুবিধাবাদী অংশ দলের নেতৃত্ব পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং প্রকৃত অংশ কোনঠাসা হয়ে পড়ার কারনে জনগনকে আসল সময়ে সঠিক নির্দেশনাটি দিতে না পারা। কিন্তু জনগনের দাবীর কথা সবসময় তাদের মুখ দিয়েই বের হয়েছে। বামপন্থী দলগুলো তাদের নিজেদের ভুলত্রুটি সংশোধন এবং সুবিধাবাদীদের হটিয়ে প্রকৃত বামপন্থীদের হাতে নেতৃত্ব আসলে আমাদের দেশে মোক্ষম পরিবর্তন এদের হাত ধরেই হবে। সেই আভাস তাদের কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে প্রতিনিয়ত পাওয়া যাচ্ছে। বামপন্থীদের ডাকা হরতালে কখনো গাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর বা আগুন লাগাতে দেখা যায়নি।
অনেকে অজুহাত হিসেবে বলতে পারেন ভাংচুর এবং জ্বালাও পোড়াও করতে যে ভাড়া করা পিকেটার দরকার এবং লক্ষ লক্ষ কর্মী দরকার- এমন জনবল ও টাকার বল কোথায় পাবে যে তারা এমন কর্মকান্ড পরিচালনা করবে। কিন্তু ভাংচুর চালানো বা গাড়িতে আগুনধরানো এবং রাস্তায় ককটেল ফোটাতে খুববেশী জনবলের দরকার পড়েনা। এবং বামপন্থী কর্মীরা তাদের আদর্শকে এমনভাবে বুকে ধরে রাখে যে তাদের ভাড়া করা পিকেটারদেরো তাদের প্রয়োজন হয়না। হরতালের একমাত্র লক্ষ্য হল এর সাথে জনগনকে সম্পৃক্ত করা-সেই কাজটি কত সফলভাবে করা যাচ্ছে তার উপ নির্ভর করে হরতালের সফলতা। বামপন্থীদের নজর সবসময় সেদিকেই থাকতে দেখা গেছে।
এর মধ্যে তারা বিভিন্ন সময় কিছুটা সফলতাও পেয়েছে। তাদের ডাকা হরতালের দাবীগুলোও থাকে একেবারে জনগনের প্রানের দাবী। অনেক দিন যাবত অত্যাচারিত, নিপীড়িত, শোষিত হতে হতে তাদের মধ্যে যে ক্ষোভের বারুদ জমা হচ্ছিল সেগুলোর মধ্যে আগুন জ্বালানোর আহব্বান থাকে বামপন্থীর আহুত হরতালগুলোতে। জনগন বধির হয়ে বেশীদিন বসে থাকতে পারেনা। তারা সাড়া দিতে শুরু করেছে, তাদের বুকের ভেতরে পুঞ্জিত ক্ষোভের বারুদ আগুনের একটু ছোঁয়াচ পেয়েই দাউদাউ দাবানলের মতই জ্বলে উঠবেই।
হরতালের দাবী-দাওয়াগুলো যদি প্রকৃতই জনগনের পক্ষের দাবী-দাওয়া হয় তাহলে সরকারের পুলিশ-বাহিনীও সেই হরতালে সমর্থন জানাতে পারে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারন পুলিশ-পুলিশতো শুধু পুলিশ নয় ওরাও এই দেশেরই জনগন, মা-বাবা, বৌ, স্বামী, সন্তান-সন্তনি নিয়ে এই দেশেই বসবাস করে এবং এদেশেরই জল, মাটি, হাওয়ায় বেড়ে উঠেছে- এই কথাটি মাঝে মাঝে আমরা অনেকেই ভুলে যাই। ঐ মোটা খসখসে খাকি ইউনিফর্মের আড়ালে তাদেরও বুক আছে, হৃদয় আছে, ক্ষোভ আছে, তাদেরও তোলপাড় করে, আছে দাবী-দাওয়া। তারা সমাজের শোষক শ্রেনীর কেউতো নয়- বরঞ্চ ওরা কৃষক, শ্রমিক, মজু্র, শোষিতের সন্তান এবং নিজেরাও অনেক বেশী শোষিত।
নিতান্ত পেটের দায়ে দাসত্বের পোশাক গায়ে চেপেছে বলে আত্মাটাকে তো আর বিক্রি করে দেয়নি বা কারো কাছে বন্ধকও রাখেনি। পুলিশ লাইনে এই পুলিশদের জীবন-যাপনের করুন চিত্র আমি নিজের চোখে দেখেছি। ওদের সাথে তিনবেলা খেয়ে, কয়েক রাত্রি ঘুমিয়ে ওদের বেদনার কিঞ্চিত পরিমান হলেও অনুভব করতে পেরেছি। ওদের সাথে কথা বলে জেনেছি ওরাও আন্দোলন করে, মাঝে মাঝে অনেক বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়ে পুলিশ লাইনে ভাংচুরও চালায়। কিন্তু তাদের সেই আন্দোলন দূর্ভেদ্য দেয়ালের অন্তরালে গুমরে মরে।
মিডিয়ার সুতীক্ষ্ণ লেন্সও সেখানে প্রবেশ করতে পারেনা। চিরদিনের মতো থেকে যায় আমাদের দৃষ্টি সীমানার বাইরে। হৃদয়ে খামচে ধরা অনেকবেশী জ্বলুনিতে তারা যদি পুঁজিবাদী-লুটেরা ধনিক গোষ্ঠীর রাষ্ট্রের দাসত্বের শৃঙ্খল রাজপথে ছুড়ে ফেলে দেয় তাহলে তো অবাক হওয়ার কিছু নেই। বরঞ্চ এটাই তো অনেকবেশী স্বাভাবিক-এরকমটাই হওয়া উচিত।
প্রকৃত সফল হরতালে পরিবহন শ্রমিকরা নিজ থেকে গাড়ী চালানো বন্ধ রাখে, মধ্যবিত্ত জনগন রাস্তায় বের হয়ে অফিস-আদালতের উদ্দেশ্য গাড়ীতে উঠে বসেনা, নিম্ন মধ্যবিত্ত জনগন, আজকের বাজারে যাদের অবস্থা দিন আনে দিন খাওয়ার মত তারাও তাদের ছোটখাট দোকানপাট বন্ধ রাখে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন ছাত্রছাত্রীরা জনগনকে হরতাল দাবী-দাওয়া সমন্ধে সচেতন করে তুলবে।
নিশ্চিত ভাবেই বসে থাকবেনা প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক কর্মীরাও- ঢোল-তবলা নিয়ে সার বেঁধে গনসঙ্গীত গাইতে গাইতে রাস্তায় নেমে আসবে। হরতালের যৌক্তিক দাবী-দাওয়া এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সমন্ধে জনগনকে সচেতন করে তুলতে চেষ্টা করবে কবি, কথা সাহিত্যিক- ব্লগার তাদের ধারালো কলম এবং দৃঢ় কি-বোর্ডের মাধ্যমে। এইতো হরতাল-হরতালের অন্তর্গত অর্থই তো ঐ! বামপন্থীদের অনেকদিনে কর্মপ্রচেষ্টায় হরতাল আবার তার নিজস্ব স্বরূপ ফিরে পাচ্ছে। হরতালের বীভৎস, বিকৃত, দগদগে ঘা ওয়ালা পোড়া মুখ জনগন আর দেখতে চায় না। ঐ পথ থেকে ফিরে আসতে চাই-শ্বাপদ-সঙ্কুল ভরপুর ঘিন ঘিনে নোংরা তৈলাক্ত রাস্তায় আর আমরা পা বাড়াতে রাজী নই।
আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন বলতে পারে প্রগতিশীলরা হরতালকে শ্বাপদের হাত থেকে রক্ষা করেছিল তারপরে আর কোন দিন জনগনের অধিকার আদায়ের অন্যতম হাতিয়ার তার অনিন্দ্যকান্তি মুখ নিয়ে ধারালো দাঁত-নখের লোমশ মানব জন্তুদের আস্তানায় ফিরে যায় নাই। এই দায়িত্ব এখন আমাদের সবার-সকল শ্রেনী-পেশার জনগনের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।