ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী নিজ বাড়িতে বিদ্যুত্ বিভাগের এক প্রকৌশলীকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত ওই প্রকৌশলীর নাম পূর্ণচন্দ্র পাল। তাঁকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ শনিবার লিখিতভাবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির (ডিপ্রকৌস) নেতাদের কাছে লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন আহত ওই প্রকৌশলী।
পরে সমিতির টাঙ্গাইল বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবি) শাখার উদ্যোগে বিউবির রেস্টহাউসে এক প্রতিবাদ সভায় ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
আহত প্রকৌশলী পূর্ণচন্দ্র পাল জানান, মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী গতকাল সন্ধ্যায় কালিহাতী বিদ্যুত্ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে তাঁর কালিহাতীর বাসভবনে ডেকে পাঠান। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী এলাকার বাইরে থাকায় প্রকৌশলী পূর্ণচন্দ্র পালকে মন্ত্রীর বাসায় পাঠানো হয়। নির্বাহী প্রকৌশলীর কথামতো তিনি দুজন লাইনম্যানকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রীর বাসায় যান। এ সময় মন্ত্রী তাঁর কাছে ইছাপুর ১১ কেভি ও কামার্থি ফিডারের বিদ্যুত্ লোডশেডিং এবং ট্রান্সফরমার বরাদ্দ বিষয়ে জানতে চান।
এ ব্যাপারে জবাব দেওয়ার সময় হঠাত্ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন লতিফ সিদ্দিকী। একপর্যায়ে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে তাঁকে পেটান। পিটুনিতে তাঁর মাথা ফেটে রক্ত পড়তে শুরু করে। ঘটনাস্থলে থাকা দুই লাইনম্যান আহত পূর্ণচন্দ্র পালকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়।
প্রকৌশলী পূর্ণচন্দ্র পালের দাবি, গতকাল রাত আটটার দিকে মন্ত্রী লোক পাঠিয়ে আবার তাঁকে বাসায় যেতে বলেন। সেখানে মন্ত্রী তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন।
ঘটনার সময় সেখানে কালিহাতী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম, কালিহাতীর পৌর মেয়র আনছার আলী ছাড়াও ২০-২৫ জন দলীয় নেতা-কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ব্যক্তিদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মন্ত্রী হঠাত্ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকৌশলীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এ সময় সবাই হতবাক হয়ে যান।
এ ঘটনার পরে বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. রহিজ উদ্দিন সরকার আজ টাঙ্গাইলে যান। পরে তিনি আহত প্রকৌশলী পূর্ণচন্দ্র পাল ও অন্য প্রকৌশলীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এ ব্যাপারে গতকাল রাতে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।