আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পটুয়াখালীতে ৫ প্রকৌশলীকে মারধর

পটুয়াখালী-ঢাকা মহাসড়কের শিয়ালী এলাকায় নির্মানাধীন গার্ডার ব্রীজের ঢালাইয়ের সময় নিম্মমানের সামগ্রীর ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীসহ ৬ জনকে মারধোর করেছে ঠিকাদারের লোকজন। আজ দুপুরে ঢালাইয়ে নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহারে বাধা দেয়ারপর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ঠিকাদার কর্তৃক নিয়োজিত ম্যানেজার ও শ্রমিকরা মারধোর শুরু করে উপস্থিত কর্মকর্তাদের। এর এক পর্যায়ে আহত কর্মকর্তারা আত্মরক্ষার্থে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজে নিয়োজিত কাউকে না পেয়ে ফিরে আসেন। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আনিচুজ্জামান মাসুদ জানান, প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ে শিয়ালীতে একটি গার্ডার ব্রীজের ঠিকাদার নিয়োজিত করা হয় মো. মতিয়ার রহমান। এ কাজের ঢালাইয়ের সময় নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করলে প্রতিবাদ করেন কাজের সাইডে আমার সাথে থাকা সহকারী প্রকৌশলী হাসান আল মামুন। এ সময় তার সাথে ঠিকাদারের দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধিদের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সহকারী প্রকৌশলী আল-মামুনকে মারধর শুরু করে। শ্রমিকরা এসেও যোগ দিয়ে মারধর করতে থাকে উপস্থিত কর্মকর্তাদের। এ সময় আমি নিজে বাধা দিলেও আমাকেও ধাক্কা দেয় শ্রমিকরা।

তিনি বলেন, এ সময় আহত হয়েছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান আল মামুন, সহকারী প্রকৌশলী আবুল বাসার, আব্দুর রহমান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও ড্রাইভার মো. মাহাবুব হোসেন। এ ঘটনা সওজ দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করলে তাদের নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাউকে আটক করতে পারেনি। এস,ডি বলেন, ঘটনার পর শ্রমিকসহ ঠিকাদারের লোকজন কাজের স্থানে সব মালামাল ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ায় অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সময় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী ঠিকাদার মো. মঞ্জু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ঠিকাদারের লোকজন কর্তৃক কাজের সাইডে উপস্থিত তদারকির প্রকৌশলীদের সাথে এ ধরনের আচরন কাম্য নয়। তাহলে উন্নয়ন কাজ বাধা গ্রস্থ হবে।

এ বিষয়ে কাজের নিয়োজিত ঠিকাদার মো. মতিয়ার রহমান বলেন, নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। আমি যতটা শুনেছি, আসলে এসডি সাহেব ঢালাইয়ের আগে দু'লাখ টাকা দাবী করেন। তার টাকা না দেয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও তিনি ম্যানেজারের কাছ থেকে শুনে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.