অনলাইনে প্রথম আলো (prothom-alo.com) নিয়মিত পড়া হয় প্রায় ২০০টি দেশ থেকে। পড়ার পাশাপাশি পাঠকেরা প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন। তাঁদের এ মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
সেই বিবর্ণ বাংলাদেশই
হংকংয়ের সঙ্গে হারের পর টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হার।
ঘুরে দাঁড়ানোর বিপরীতে ভারতের বিপক্ষেও হারল বাংলাদেশ। এর সমালোচনা করে পাঠক আরিফ লিখেছেন: পাঁচজন প্রকৃত ব্যাটসম্যান, চার প্রকৃত বোলার ও একজন প্রকৃত অলরাউন্ডার যত দিন বাংলাদেশ না পাবে, তত দিন বাংলাদেশের অবস্থা এমনই হবে।
ফাহাদ: বাংলাদেশ দলের হারার মূল কারণ হলো খেলা শুরু হওয়ার আগেই মিডিয়া দেশকে জিতিয়ে দেওয়া।
এম এইচ রহমুতুল্লাহ বাবু: বাংলাদেশ দলকে নিয়ে যাঁরা খুব বেশি আশা করেন, তাঁদের দেশপ্রেম প্রশংসনীয় হলেও ক্রিকেট-জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন আছে। বছরের এই সময়ে সন্ধ্যার পরের ম্যাচগুলোতে ‘শিশির’ একটি বিরাট ফ্যাক্টর।
রাত আটটা-নয়টার পরে মাঠে শিশির পড়তে শুরু হওয়ায় বোলারদের পক্ষে লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে বল করা দুষ্কর। ফলে যারা পরে ব্যাট করে, তারা বিশেষ সুবিধা পায়। আগের ম্যাচগুলোতেও যারা পরে ব্যাট করেছে তারা জিতেছে। আগামী ম্যাচগুলোতেও সেটাই ঘটবে। একমাত্র ব্যতিক্রম বাংলাদেশ, অন্য দলগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের এ দলটি এতই দুর্বল যে আগে ব্যাট করলেও হারবে, পরে ব্যাট করলেও হারবে।
নাঈম: আসলে দলে যতই পরিবর্তন আনা হোক কোনো লাভ হবে না। দু-একজন বাদে পুরো টিমই অফ ফর্মে। এঁদের খেলা দেখে মনে হয় নেহাত চাকরি বাঁচানোর জন্য মাঠে নেমেছেন, দেশ বা দেশের মানুষের জন্য তাঁদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই।
মো. বেলাল হোসেন: মালয়েশিয়ান বিমানের মতো কোনো দিনই জানতে পারব না আমাদের দলের সমস্যাটা কী বা কোথায়।
রানা: সম্ভাবনাময় দল হিসেবে বাংলাদেশ প্রায় দাঁড়িয়েই যাচ্ছিল।
আমি টিমে বড় ধরনের পরিবর্তনের বিপক্ষে। যাঁরা বলছেন একে বাদ দিয়ে ওকে আনা হোক, ক্যাপ্টেনসি বদলানো হোক, আমি তারও পক্ষে নই। দলকে সিনিয়রশূন্য করলে বাংলাদেশ দল ১০ বছর আগের অবস্থায় চলে যাবে। ক্যাচ মিস কেন হচ্ছে, তা আমার জানা নেই। তবে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বলতে পারি, দলের সার্বিক আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি।
আফগানিস্তান আর হংকংয়ের বিপক্ষে দুটি ন্যক্কারজনক হার, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভালো খেলে হেরে যাওয়া, ৩২৬ করেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে না পারা এবং খুব সম্ভবত দলের ম্যাচ উইনার খেলোয়াড়দের একসঙ্গে ফর্ম হারানো, তার সঙ্গে সাংবাদিক, সমর্থকদের তীব্র সমালোচনা তো আছেই। এ মুহূর্তে দলের দরকার লম্বা বিশ্রাম। তবে যদি পর পর দুটি জয় পাওয়া যায় বড় দলের বিপক্ষে তাহলে দলটা পুরোনো জায়গায় ফিরে আসতে পারে।
কেন্দ্র দখলের নির্বিঘ্ন ‘উৎসব’
চলমান উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণে ভোটকেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারার ‘উৎসব’ ছিল নির্বিঘ্ন। সহিংসতায় নিহত হন চারজন।
পাঠক এম সাকলায়েন লিখেছেন: জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ফল অতীতে কখনো কারও জন্য ভালো হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। আওয়ামী লীগ এখনো বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। মিথ্যা কখনো কাউকে সঠিক পথ দেখাতে পারে না।
সোলায়মান: নির্বাচনী সহিংসতায় বিএনপি নীরব দর্শক। সেটি নিয়ে তারা যতই চিল্লাক তার সত্যতা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
যারা ৫৫০টি স্কুল পুড়িয়েছে, ফটিকছড়িতে একসঙ্গে শতাধিক গাড়ি জ্বালিয়েছে, বড় কোনো মিছিলের সামনে-পেছনের রাস্তা কেটে, ব্রিজ ভেঙে ব্যাপক আহত-নিহত করেছিল, ১৮ জন পুলিশ মেরেছিল, তারাই এখন দুধের শিশু হয়ে গেছে—এটি ভাবার কোনো কারণ নেই।
সালেকিন: যা দেখলাম তাতে আওয়ামী লীগ বেশি দোষী, বিএনপিও কম যায় না! এই নির্বাচন আমাদের আবারও বিএনপির মাগুরা বা এরশাদের নির্বাচনের দুঃস্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে।
শাব্বির আহমেদ জুয়েল: বাহ, যত দখল তত সফলতা।
মো. রবিউল ইসলাম: একটা দল এ দেশের গণতন্ত্র নিয়ে এভাবে খেলছে, আর আমাদের তথাকথিত সুশীল সমাজ, মিডিয়া এভাবে শুধু সেটা প্রকাশ করেই দায়িত্ব শেষ করছে। সুযোগ পেলেই বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে নিজেদের পায়ে কীভাবে কুড়াল মেরেছে, সেই টাইপ আলোচনা চালাচ্ছে।
কিন্তু আওয়ামী লীগ যে ধীরে ধীরে গণতন্ত্র, এমনকি তাদের নিজেদের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেটা যেন চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। সর্বনাশ আমাদের নিশ্চিত।
১০১ পুলিশের ‘আটক-বাণিজ্য’, আয় দেড় কোটি
আটকের পর টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় ১০১ জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আটকের পর এই কর্মকর্তারা ২২৬ জনকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা উৎকোচ নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাঠক রওশন আলীর মন্তব্য: এরপর জানবেন যে এই তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য উচ্চপর্যায়ের আরেক দফা টাকার লেনদেনের খবর।
আর সেই টাকা জোগাড়ের জন্য আরও ব্যাপক আকারে ডিজিটাল আটক-বাণিজ্য...।
আব্দুল হক: মন্ত্রীর গাড়িতে বস্তা ভরা টাকা পাওয়া যায়, সাংসদদের পাঁচ বছরে হাজার গুণ সম্পদ বৃদ্ধি পায়, ওনাদের কিছুই হয় না। আর এখন পুলিশের বিচার তো আপনারা করতেই পারেন। বেশ, বেশ, বেশ।
বিপ্লব রায়: পয়সা না খেলে তারা চলবে কী করে? জিনিসপত্রের যে দাম!! পুলিশ এই বাণিজ্য করে এটা নতুন কী? তাই তো তাদের সবাই ভয় করে।
কখন কামড় দিয়ে বসে। তা ছাড়া এ প্রতিবেদনে দু-একজন ছোটখাটো কর্মচারীর লঘু দণ্ড হতে পারে। বাকিটা ম্যানেজ হয়ে যাবে।
শীর্ষেন্দু মণ্ডল: সরকারের কাছে অনুরোধ, পুলিশের নিয়োগ-বাণিজ্য বন্ধ করুন। নিয়োগ-বাণিজ্য বন্ধ করতে পারলে পুলিশের দুর্নীতি অনেক কমে যাবে বলে আমি আশা করি।
জিল্লুর রহমান: মাত্র ১০১ জন? আমার দেখামতে পুলিশের আয়ের পথই এটা। রাস্তায় চাঁদাবাজির টাকা পুলিশের সর্বোচ্চ কোন অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত যায়, সেটা কয়দিন পর প্রমাণসহ দেখতে পাবেন।
শওকাত: যে বাহিনীতে নিয়োগ-বদলি-প্রমোশন সবকিছুতেই ঘুষ দেওয়া-নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, সেখানে কারও পক্ষে সৎ থাকাটা কঠিন। আসল সমস্যাটা হলো এদের মধ্যে করোরই কখনো কোনো অন্যায়ের শাস্তি পেতে হয় না; যার কারণে তাদের অন্যায় করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়। দেশের সাধারণ মানুষ মাস্তানদের থেকে পুলিশকে বেশি ভয় পায়।
শুধু পুলিশ বাহিনীকে ঠিক করতে পারলে দেশের ৫০% উন্নতি আপনাআপনিই হয়ে যাবে।
এন আহমেদ: ঘুষ দিয়ে চাকরি নিলে? ‘আটক-বাণিজ্য’? না তো কি বাণিজ্য করবে?
(পাঠকের মন্তব্য বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।