কেন্দ্র দখল করে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত পদপ্রার্থীরা ছাড়া বাকি সব প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। এ ছাড়া আজ মঙ্গলবার দুই উপজেলায় আধাবেলা হরতাল ডেকেছে স্থানীয় বিএনপি।
সরেজমিনে দুটি উপজেলার ৩০টি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ কেন্দ্র ভোটারশূন্য। এ সময় সর্বোচ্চ তিনজন ভোটার দেখা গেছে সদরের রাহেলা খাতুন গার্লস স্কুল একাডেমি কেন্দ্রে।
আলমডাঙ্গার ১০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৫টি এবং সদরের ৮৫টি কেন্দ্রের সবগুলোই সরকারদলীয় লোকজনের দখলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদরে রোববার রাতেই প্রচার রটে যায়, রিজিয়া খাতুন প্রভাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সরকারদলীয় লোকজন পুলিশের উপস্থিতিতেই কেন্দ্র দখল করে ভোট দিচ্ছেন। সকালে ওই কেন্দ্রে গিয়ে একই তথ্য পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, কেন্দ্রের চার হাজার ১৮২ ভোটের মধ্যে দুই হাজার ৮০০ ভোট রাতেই সিল মারা হয়েছে। এ সময় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল সামী কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবেন না। ’
চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদ করলে আলী আকবর নামের এক ভোটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
সরেজমিনে প্রতিটি কেন্দ্রেই দেখা যায়, বিএনপি-জামায়াতের কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। কেন্দ্রগুলোতে তাদের ভোটারদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক সাধারণ ভোটারও একই অভিযোগ করেন।
সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সমেঞ্চলন করেন সদর উপজেলার বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মজিবুল হক মালিক। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারদলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসাদুল হক বিশ্বাস ও তাঁর লোকজন সব কটি কেন্দ্র রাতেই দখলে নেন।
পুলিশের সহযোগিতায় তাঁরা ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করেন।
আলমডাঙ্গার পাঁচটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। একেকটি কেন্দ্রে বড়জোর চার-পাঁচজন ভোটার। এ উপজেলার অনেক ভোটার অভিযোগ করেন, তাঁরা সকালে কেন্দ্রে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের ভোট আগেই দেওয়া হয়ে গেছে।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা দাবি করেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।