পঞ্চম পর্ব (ঘটনার প্রয়োজনে কিছু এডাল্ট সিচুয়েশন সংযোজন করা হলো)
প্রায় একমাস হয়ে গেল সামাদ আসেনা। শ্যামলী র হাতে টাকা শেষ হওয়ার পথে। সামনে সুমা র হোস্টেল এর ভাড়া তার বই খাতা কিনা। শ্যামলী র হাত একেবারে শুন্য। সামাদের সাথে ঐদিনের ঘটনার পর শ্যামলী তার ঘরে কোনো কাস্টমার কে আসতে দেয়নি।
মনে মনে সে একটু উচ্চাশা পোষণ করছিল সামাদ হয়ত তার জন্য কিছু করবে। সে বড় বোকা। তার মত মেয়ে র কাছে ক্ষনিকের আনন্দের জন্য আসে। হয়তবা সামাদ একটু আলাদা। একটু বেশি তার জন্য ই করেছে।
তাই বলে সে একেবারে বিয়ের সপ্ন দেখছিল বোকা মেয়ে। উচিত শাস্তি হয়েছে তার। এখন না খেয়ে থাকতে হবে আজকে রাতে টাকা না পায়।
সামাদ ওয়াশ রুম থেকে ফোন এর রিং শুনে ধরতে আসছিল তার আগে হামিদা ফোন পিক করলো। কিছুক্ষণে পরে ফোন কেটে দেওয়াতে সে জিজ্ঞাসা করলো কার ফোন
কথা বললনা তো স্ত্রী বলল।
সম্ভবত কেটে গিয়েছে। তুমি দেখো তোমার পরিচিত নাম্বার হলে ফোন কর।
সামাদ এসে শ্যামলী র নাম্বার দেখে বুঝতে পারলনা কি করবে। স্ত্রী সামনে আছে তাই সে আর ফোন করলনা। স্ত্রীর সামনে তাকে একটু অভিনয় করতে হলো উল্টাপাল্টা নাম্বার এ ফোন করলো।
কোনো সাড়া নাই। এই মিথ্যে কথা বলে তার খারাপ ও লাগছে। বিশেষ করে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক এখন বেশ মধুর। সেই বিয়ের প্রথম দিনগুলির মত। টেনশন এ ফোন বন্ধ করে রাখল যদি শ্যামলী আবার ফোন দেয়।
শ্যামলী অবশ্য আর ফোন দেয়নি। সামাদ ও অনেকদিন ফোন ও দেয়নি ওই নিষিদ্ব পল্লী টাতে এখন আর যায়নি। শ্যামলীর কথা মনে হলে তার মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু স্ত্রী র কথা মনে করে আর যেতে চায়না।
আজকে একমাস হতে চলল।
হটাত তার মনে হলো আমি তার খাওয়া পরা এইজিনিশ গুলি অন্তত নিশ্চিত করে আসতে হবে। কেননা শেষ বার সামাদ তাকে বলেছে যত টাকা দরকার সেই দিবে ,অন্য পুরুষ কে তার ঘরে না আনে। সে শকড হয়ে আজকে অফিস শেষে উঠে দাড়ায়। বড় অন্যায় হয়ে গেল। এর একটা ছোট মেয়ে আছে।
শ্যামলী কে যতটা বুঝেছে সে না খেয়ে পরে থাকবে।
আজকে সামাদ একটু আগে বের হয়ে গেল। একমাসের দুইজনের খাওয়ার মত চাল ডাল মাংশ দরকারী বাজার সদাই করে যখন শ্যামলী র এখানে পৌছল সন্ধা হয়ে গিয়েছে। শ্যামলী এর ঘরে ধাক্কা দিল অনেকক্ষণ। ঘরে কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া গেলনা।
দুশ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পাশের একজন কে জিজ্ঞাসা করে সে শ্যামলী আরেকজনের সাথে বাহিরে গেছে। অপেক্ষা করতে করতে বউ এর ফোন আসল তার এক বান্ধবী র বাসায় দাওয়াত। বউ বলল।
ওহ ও সে পুরাপুরি ভুলে গিয়েছে। শ্যামলীর সাথে দেখা না করে চলে যেতে মন সায় দিচ্ছেনা।
স্ত্রীকে আবার ফোন দিয়ে বলল রেডি হয়ে থাক। এসে বের হব। আধাঘন্টা দেরী হতে পারে।
শ্যামলী আজ এসেছে লোকটির সঙ্গে রমনা পার্কে লোকটির ইচ্ছেতে। তার খোলামেলা জায়গা পছন্দ।
লোকটি তাকে নিরাভরণ করছে শ্যামলী একইসঙ্গে চোখের জ্বলে ভেসে যাচ্ছে। তার ভীষণ সামাদ এর কথা মনে হচ্ছে। লোকটি তাকে অতপর হোটেল এ নিয়ে আসল রাতের খাওয়ার জন্য।
সামাদ আধাঘণ্টা র জায়গায় একঘন্টা দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করলো। শ্যামলী সেই রাতে ঘরে ফিরতে পারলনা।
তাকে লোকটির হোটেল রুম এ যেতে হলো।
দশদিন পরে শ্যামলী দাড়িয়ে আছে মতিঝিল এর ব্যস্ত এরিয়া য় বাস এর জন্য দাড়িয়েছিল। তার পাশে একটা গাড়ি দাড়াতে দেখল ভিতরে সামাদ। তাকে ইশারা করে ডাকছে। শ্যামলী না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছিল দেখে সামাদ দৌড়ে এসে হাত ধরে গাড়িতে টেনে উঠালো।
অনেকদিন পরে শ্যামলী কে দেখে সামাদ এর বুকের ভিতর থেকে উচ্ছসিত হয়ে উঠলো। সে জড়িয়ে ধরল গভীর ভাবে শ্যামলীকে ট্যাক্সি ড্রাইভার এর দৃষ্টি কে উপেক্ষা করে। ট্যাক্সি তে উন্মত্তের মত আদর করতে করতে একপর্যায়ে সামাদ ভুলে গেল সমাজ পরিবার তার স্ত্রীটির কথা। চলন্ত ট্যাক্সি তে দুজন দুজনকে গ্রহণ করে নিল শারীরিকভাবে আগের মত। দুজনের প্রচন্ড আবেগের কাছে নীতি বোধ এর পরাজয় ঘটল।
শ্যামলীকে তার বাসায় নামিয়ে দিতে আসল অনেকদিন পরে সেই একই পল্লীতে আবার। দুজনের দুজনকে ছাড়তে ইচ্ছে হচ্ছিলনা। প্রবল আবেগে জড়িয়ে ধরে রাখল পরস্পরকে। উন্মত্তের মত ই তারা নিজেদের আবার সমর্পণ করলো আবেগের কাছে। সেই রাতে সামাদ স্ত্রীকে ফোন করে বাসায় না আসার কথা জানালো জরূরী কাজে আটকে পড়েছে বলে।
হামিদা জানালা র গ্রীল ধরে দাড়িয়ে আছে স্বামীর অপেক্ষায়। নিজেকে মিথ্যে সান্তনা দিচ্ছে স্বামী এখন অফিস। যদিও তার ভিতরের মন বুঝে নিয়েছে স্বামী তাকে মিথ্যে বলেছে। এই সত্যি স্বামী তাকে কখনো ই বলবেনা এটা অন্তরের গভীর থেকে উপলব্ধি করতে পারছে। তার চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগলো।
(পরবর্তীতে)।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।