একেই বলে টি-টোয়েন্টি। ম্যাচের রং বদলায় দ্রুত। শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেওয়া ১২০ রানের লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে নিউজিল্যান্ড বিপদে পড়ল শুরুতেই। সে বিপদ আর কাটিয়ে উঠতে পারল না ব্ল্যাক ক্যাপসরা। শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের কাছে ৫৯ রানে হেরে বিদায় নিতে হলো টি-টোয়োন্টি বিশ্বকাপ থেকে।
চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দিতে মূল ভূমিকা পালন করেছেন লঙ্কান স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ। হেরাথের বোলিং ফিগারটাই দেখুন না—৩.৩-৩-৫! ব্যাখ্যা না দিলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। ৩.৩ ওভার-৩ রান-৫ উইকেট। রীতিমতো রেকর্ড বইয়ে ঠাঁই নিয়েছেন হেরাথ। এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।
মূলত হেরাথের মায়াবী ঘূর্ণিতে নীল হয়েছে নিউজিল্যান্ড। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচসেরাও তিনি।
ব্ল্যাক ক্যাপসদের ধসিয়ে দিতে হেরাথকে সহায়তা করেছেন সেনানায়েকে, নিয়েছেন ২ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের মধ্যে নিঃসঙ্গ লড়াই চালিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। রানআউটে কাটা পড়ার আগে করেছেন ৪২।
অর্থাত্ নিউজিল্যান্ডের ৬০ রানের ৪২ এসেছে এ ডানহাতির ব্যাট থেকে। আর কোনো রান না করেই ফিরেছেন চারজন ব্যাটসম্যান।
এবারের বিশ্বকাপ দুর্দান্তই শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর আজকের ম্যাচ পরিণত হলো বাঁচা-মরার লড়াইয়ে। নিষেধাজ্ঞার কারণে নিয়মিত অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমালের পরিবর্তে নেতৃত্ব দিলেন লাসিথ মালিঙ্গা।
এ জয়ে অধিনায়কত্বের অভিষেকটা দারুণই হলো মালিঙ্গার।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার নিয়মিত উইকেট পতনের মিছিল। মাহেলা জয়াবর্ধনে খানিকটা লড়াই চালালেন। নাথান ম্যাককালামের শিকার হওয়ার আগে লঙ্কান এ ডানহাতি করলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ এলো লাহিরু থিরিমান্নের ব্যাট থেকে।
১৯.২ ওভারে ১১৯ করে অলআউট শ্রীলঙ্কা। ব্ল্যাক ক্যাপসদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট ও জিমি নিশাম।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।