তিল
শরীরের শেষ তিল,
খুঁজে খুঁজে হয়রান বিবাগী শঙ্খচিল ।
ঠিক যেভাবে খড়কুটো সংগ্রহ করে বা মটর দানা
ঠিক সেভাবে চলে তোমার তিল সংগ্রহের অভিযান ।
বড় বেপরোয়া, বড় একগুঁয়ে, অথচ পটভূমি এই
খাবারের আশায় ঠোঁট খুলে পথ চেয়ে আছে পাখির সন্তান।
এইটুকু জানলে নিশ্চয়ই তুমি, বহুতল বেদনার নিচে
খুলবে তিলের মানচিত্র, সরাবে তোমার বিষণ্ণ পতাকা আলগোছে!
তিলের উৎসবে জেগে উঠে বটগাছের শহর, ঘুঘু, ডাহুক
শেখের পোলা কই বলে সেকান্দর বাড়ির সামনে ডেকে যায় মালাউন
গোধূলি খুন হচ্ছে সন্ধ্যায়, বেজে যাচ্ছে ক্রমাগত রিকশার বেল একতারা সুরে,
আত্মহত্যাপ্রবন ভায়োলিন শুরু করে কাউন্ট ডাউন!
চোখের নিয়ন আলো সন্তর্পণে ফুটে উঠে তিলের অন্ধকার ফাঁড়ে
মন্ত্র পরা শেষে, শরীর ছুয়ে শপথ নেয় নিষিদ্ধ সার্চলাইট!
দেহের সীমান্তে উপর্যুপরি গেরিলা অ্যম্বুশ
প্রত্যেকটা তিল গাঁথা হচ্ছে বিদ্ধ বেয়নেটে,
এরাজ্য ওরাজ্য নৈরাজ্য মিলে বিজয় নিরঙ্কুশ
বিজয় বাঁশির ফেরোমেন ছড়িয়ে পড়ে শ্মশান তল্লাটে ।
আত্মহনন করার আগে, তোমায় খনন করে
মুক্তিযোদ্ধা ছেলে খেয়েছিল সতেরটা স্লিপিং তিল,
শরাব-সিরাজী-মদিরা মাখা অনন্ত অম্বরে
তারপর থেকে আহ! এই যে জীবন,বাহ! এমন জীবন, শুভ্র শঙ্খচিল!
এককোটি বার আত্মহন করার পর ভেতরে ভেতরে
যেইনা তোমায় দেখা খনন করে খুব গভীরে, মানচিত্রের ফুঁড়ে
তারপর থেকে আত্মহত্যা করেনি কোন ডাহুক, ভায়োলিন এবং
হৃদয়-ফুসফুস, কলকল করে ফুটে উঠেছে তিলতিল ভালোবাসা কলিজায়-পাঁজরে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।