উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম দুটি ম্যাচের প্রথম লেগ হয়ে থাকল ‘ড্র-ময়’। বার্সেলোনা-অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ম্যাচ ১-১ ড্র। ১-১ ড্র হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচও। যদিও চলতি মৌসুমে ইউনাইটেডের যে অবস্থা, তাতে বায়ার্ন মিউনিখকে জয় বঞ্চিত রাখা এক দিয়ে ময়েসের ‘সাফল্য’ বলা অত্যুক্তি হবে না। আবার এও ঠিক, ওল্ড ট্রাফোর্ডে ইউনাইটেড-সমর্থকদের জয়ের প্রত্যাশা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়।
তবে ইউনাইটেড-বায়ার্নের ম্যাচ ড্র হওয়ায় দুই দলের ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে, সেটি দেখতে হবে ৯ এপ্রিলের ফিরতি লেগে।
ম্যাচের স্কোরলাইন দেখে অবশ্য মাঠে বায়ার্নের আধিপত্য বোঝার উপায় নেই। মাঠে বায়ার্নের দখলে বল ছিল ৭৪ শতাংশ, সেখানে ইউনাইটেডের ২৬ শতাংশ। ম্যাচের এ ফলে অবশ্য বেশ খুশিই ইউনাইটেড কোচ ডেভিড ময়েস, ‘খেলোয়াড়েরা খুবই ভালোই খেলেছে। আমরা খুবই খুশি।
কিছুটা হতাশার দিক হচ্ছে, পরে একটি গোল হজম করতে হয়েছে। ’ ময়েসের চোখ এখন পরের লেগে। জানালেন, ‘জানি, দ্বিতীয় লেগে আমাদের গোল পেতেই হবে। এবারে আমাদের কিছু একটা করতে হবে। ’
ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ইউনাইটেড এগিয়ে যায় ভিদিচের গোলে।
নয় মিনিট পরে অর্থাত্ ৬৭ মিনিটে বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগারের গোলে ম্যাচে ফেরে বায়ার্ন। কিন্তু কাল বায়ার্নের ‘দুঃখ’ হয়ে রইলেন শোয়েনস্টাইগারই। ম্যাচের শেষদিকে ওয়েইন রুনিকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখার কারণে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বায়ার্ন উদ্ধারকর্তা শোয়েনস্টাইগার। বায়ার্ন সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদ (ইউনাইটেড সমর্থকদের ‘সুখবর’) হচ্ছে, এ লাল কার্ডের কারণে দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামতে পারবেন না শোয়েনস্টাইগার। শুধু তা-ই নয়, টানা হলুদ কার্ড খেয়ে দ্বিতীয় লেগে খেলতে পারবেন না বায়ার্ন মিডফিল্ডার জাবি মার্টিনেজও।
সাম্প্রতিক সময়ে যে ফর্ম, তাতে ম্যাচে ফেবারিট ছিল বায়ার্নই। জয়বঞ্চিত থেকেও অবশ্য অসন্তুষ্ট নন পেপ গার্দিওলা। বললেন, ‘সত্যিই সন্তুষ্ট। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। ১-১ ড্র নিয়ে ফিরতি লেগে খেলাটা সব সময়ই বিপজ্জনক।
কিন্তু যদি এটি হতো ২-১, তাহলে তা আরও বিপজ্জনক হতে পারত। দ্বিতীয় লেগে অবশ্য জেতার চেষ্টা করব। নিশ্চিত সেটি করতে পারব। ’
ম্যাচ নিয়ে সন্তুষ্টির কথা না জানালেও গার্দিওলা অসন্তুষ্ট রেফারিং নিয়ে। স্প্যানিশ রেফারি কার্লোস ভিয়াসকো কারবায়োর সিদ্ধান্তের কারণে ফিরতি লেগে পাওয়া হচ্ছে না দলের দুই নির্ভরযোগ্য সেনানীকে।
অবশ্য স্বদেশি রেফারিকে নিয়ে গার্দিওলার মূল্যায়ন মোটেও খারাপ নয়। জানালেন, ‘রেফারির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমার মতামত জানেন। তিনিও তাঁর মতামত আমাকে জানিয়েছেন। পরে আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছি।
খুবই ভালো রেফারি। খুবই ভালোভাবে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন...। ’ কিন্তু এর পরের বাক্যটি মোটেও ভালো লাগবে না রেফারির। বায়ার্ন কোচ বাক্য শেষ করলেন এভাবে, ‘...কিন্তু পক্ষপাতদুষ্ট। ’ তবে একে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন, ‘সবই ঠিক আছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে জিততে হলে সবকিছু উতরে যেতে হবে। মৌসুমে এমন প্রতিযোগিতায় এটি ঘটতেই পারে। ’ এএফপি ও ওয়েবসাইট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।