বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে গিয়ে জাতীয় জনকের নামে সংগঠন গড়ে ‘ব্যবসারও’ সমালোচনা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে গণগ্রন্থাগারের ওই আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লতিফ সিদ্দিকী ছিলেন প্রধান অতিথি।
ব্ক্তব্যে তিনি বলেন, “জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পারিবারিকভাবে পালনে কেউ তো বাধা দেয়নি। তাকে নিয়ে দোকান খুলে বসবেন না। আপনারা কি তাকে পণ্য বানাতে চান?
“বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ রকম বহু দোকান খোলা হয়েছে।
এখন জিল্লুর রহমানকে নিয়ে শুরু হয়েছে। আপনারা কি জানেন, এতে এই নেতাদের প্রতি কি পরিমাণ অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়?”
স্পষ্টবাদী হিসেবে পরিচিত এই রাজনীতিক অন্য একটি প্রসঙ্গ ধরে নিজের দল আওয়ামী লীগের জোট শরিক জাসদের সংসদ সদস্য মইনুদ্দিন খান বাদলেরও সমালোচনাও করেন।
“তিনি গতকাল সংসদে একটি বক্তৃতায় বলেছেন, ‘নির্মল’ ইতিহাস লেখা হচ্ছে না। তিনি সবসময় সঠিক কথা বলেন না। ”
প্রধানমন্ত্রীর ‘বদু চাচা’ সম্বোধনে অসন্তোষ জানানো বিকল্প ধারা সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সমালোচনাও করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
“প্রধানমন্ত্রী নয় আপনি (বি চৌধুরী) নিজেই নিজেকে তাচ্ছিল্য করছেন, ছোট করছেন। পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রপতি একবার ওই পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর আর রাজনীতিতে ফিরে আসেন না।
”
নিজের ছোটভাই আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর এখনকার রাজনৈতিক মিত্র বি চৌধুরীর উদ্দেশে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “এরশাদ সাহেব যেমন নিজেকে রাষ্ট্রপতি দাবি করতে পারেন না, তার পরিচয় তিনি একজন সংসদ সদস্য।
“তেমনি আপনিও যেহেতু রাজনীতি করছেন, সুতরাং নিজেকে রাষ্ট্রপতি দাবি করতে পারেন না। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।