আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে ব্যবসায়ীদের সমিতিগুলোর সঙ্গে বুধবার আলোচনায় তিনি সোলার প্যানেল নিয়ে তার বিড়ম্বনার কথা তুলে ধরেন।
গোলাম হোসেন জানান, চাঁদপুরে নিজের বাড়িতে আট মাস আগে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল বসান তিনি। মাঝে মাঝে এই প্যানেল থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও তা একটানা আধা ঘণ্টার বেশিক্ষণ থাকে না।
সৌর প্যানেলের ব্যাটারি ও কনভার্টার বারবার নষ্ট হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্যানেলটি ঠিক করতে আমাকে প্রায়ই ঢাকা থেকে লোক নিয়ে যেতে হয়। তাদের খাওয়া-দাওয়া, যাতায়াত খরচ দিতে হয়।
“এতে এই প্যানেল দিয়ে বিদ্যুত ব্যবহারের খরচ জাতীয় গ্রিডের চেয়েও বেশি পড়ছে, আবার বিদ্যুৎও পাওয়া যাচ্ছে না। ”
এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ওই আলোচনায় রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দীপাল বড়ুয়া, সোলার প্যানেলে ব্যবহৃত ব্যাটারি আমদানিতে কর কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি করছিলেন, যা এখন ২৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
দীপাল বড়ুয়ার বক্তব্যের মধ্যেই ব্যাটারির মান ও মেয়াদ শেষে তা সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে আট মাসে দুইবার ব্যাটারি নষ্ট হয়েছে। এটা রীতিমতো উৎপাত।
“সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল বসানোর জন্য যেসব সরঞ্জাম আমদানি হয়, তার সিংহভাগই নিম্নমানের।
“কোন দেশ থেকে কী আমদানি হয়, তার তথ্য আমার কাছে আছে। সোলার প্যানেলের ব্যবসায়ীরা জার্মানি থেকে, ইতালি থেকে আমদানির কথা বলেন, তবে অধিকাংশই আসলে আমদানি হয় চীন থেকে। ”
এলাকার লোকজনকে সোলার প্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করতে নিজে বাড়িতে তা বসিয়েছিলেন গোলাম হোসেন।
“কিন্তু এখন তার উল্টোটা হচ্ছে।
অন্যরা বলছে, আপনার যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে আমাদের কী হবে!” বলেন তিনি।
গোলাম হোসেন ব্যবসায়ী দীপাল বড়ুয়ার উদ্দেশে বলেন, “কোন নতুন বিষয় জনপ্রিয় করতে হলে অবশ্যই কোয়ালিটি প্রোডাক্ট দিতে হবে। আপনারা এটি নিশ্চিত করুন, যারা এসব নিয়ে ব্যবসা করছেন, তারা যেন মানসম্পন্ন পণ্য আমদানি করেন। ”
জবাবে দীপাল বড়ুয়া বলেন, “যারা নিম্নমানের যন্ত্রপাতি দিয়ে সোলার প্যানেল বসাচ্ছে তারা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য না। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।