আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারীর ইভটিজিং ক্রমেই বেড়ে চলছে



পাঠকরা দেখে থাকবেন বর্তমানে পত্রিকার পাতা উল্টালেই স্কুলছাত্রী খুন, ধর্ষণ, গণধর্ষণসহ নানারকম উপায়ে নারীর শ্লীলতা হানির বিষময় সংবাদের যেন হাট বসে এবং একটার ভয়াবহতা আরেকটাকে ছাপিয়ে যেতে চায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ দেশি-বিদেশি নানা সংস্থা এসব নিয়ে কাজ করছে, তাছাড়াও দেশের সচেতন জনগণ এর বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা প্রদর্শন করে থাকেন। তারপরও যেন কিছুতেও কিছু হচ্ছে না। এসবের বিরুদ্ধে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । কিন্তু ফলাফল গুনতে গেলে দেখা যাবে অপরাধের মাত্রা কমার পরিবর্তে ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে।



বর্তমানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অফিসের বসরাও এর থেকে বাদ নেই। তাঁরা যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে নারীদের যৌন হয়রানি করার জন্য। মানুষ বানাবার কারিগর তারাও কোমল মতি মেয়েদেরকে রেহাই দিচ্ছে না।

এ সমস্ত কুৎসিত প্রবণতার উৎসটা কী? এর পেছনে এমন কী আছে-যাতে এগুলো নির্মূল হওয়ার পরিবর্তে সমাজে ডালপালা ছড়িয়ে বিস্তৃত হচ্ছে? সমাজের একশ্রেণীর মানুষ নারীকে পর্দানশীলা বানাতে চাচ্ছেন। আরেক দল পর্দাকে নারীর জন্য স্বাধীনতা হরণের স্বরূপ দেখিয়ে পর্দা বিনাশে জোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন।



আমাদের আগে উভয় দল সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। প্রথম দল অর্থাৎ যারা পর্দাপন্থী তারা হচ্ছেন সার্বক্ষণিকভাবে কোরআন-হাদিস নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত আলেম-ওলামা। আর দ্বিতীয় দল কোরআন-হাদিসবিদ্বেষী বা এর জ্ঞানশূন্য, ধূর্ত প্রকৃতির মানুষ এবং তাদের দ্বারা প্রভাবিত কিছু জনসাধারণ।

সৃষ্টিকর্তা নর-নারীকে সৃষ্টিগতভাবেই পরস্পরকে পরস্পরের কাছে আকর্ষণীয় করে সৃষ্টি করেছেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এতদুভয়ের মাঝে একটা অদৃশ্য সীমারেখা টেনে দিয়েছেন এবং এ সময়ে অশালীন কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া থেকে বাঁচাতে একটা নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যাকে আমরা পর্দা বলে জানি।



এ পর্দা শুধু এতটুকুর জন্যই প্রবর্তিত হয়েছে যে, সমাজ সংসারে যেন কোনোরকম নষ্টামী না হয়। পথেঘাটে যেন কোনো নারী ইভটিজিংয়ের শিকার না হন। ইসলাম একজন নারীকে জন্মগতভাবেই সম্মানিত করেছে। নারীকে মা হবার, বোন হবার, স্ত্রী হবার, কন্যা হবার সম্মান দিয়েছে। সুতরাং ইসলামই এ নারীর মর্যাদা বর্ধনে সচেষ্ট এবং যথেষ্ট গরুত্ব দিয়েছে।

নারীর মন ও মানের কথা বিচার করে ইসলাম নারীকে আদেশ করেছে রক্ষণশীল জায়গায় থাকতে। আর অপরদিকে পুরুষকে আদেশ করেছে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে অর্থ উপার্জন করে সংসার চালাতে।

সমাজের দ্বিতীয় প্রকৃতির মানুষ অর্থাৎ যারা পর্দাকে চায় না বা মানে না এরা স্বভাবতই ধূর্ত প্রকৃতির। এরা নারীকে নারীর কাজ করার পরেও নিজেদের কাজও তাদের কাঁধে চাপাতে চায়। আর এ জন্য ওরা একটা ভালো টেকনিক ব্যবহার করে।

গলায় সমঅধিকার আদায়ের শ্লোগান তোলে, অধিকার আদায়ের জন্য মাঠে নামার আহ্বান জানায়। অথচ এ কাজটা ইসলাম স্বামী-ছেলে বা পিতাকে করার আদেশ দিয়েছে। এরা যে কোনো মূল্যে পর্দাকে না করতে চায়। কারণ পর্দাকে না করতে পারলেই নারীকে নিরাপদ বেষ্টনী থেকে হাতের নাগালে আনা যাবে। সমঅধিকারের সুরে মাতিয়ে রাখা যাবে।

বিশেষত নিজেদের ভেতরকার অসভ্য কু-প্রবৃত্তিকে খায়েশ পূরণ করা যাবে।

সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রবর্তিত পর্দার বিধান না মানা ব্যতীত হাজার হাজার নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ করেও কোনো লাভ হবে না। কারণ আমাদের গ্রামবাংলায় একটা প্রবাদ কথা চালু আছে-বিড়ালের সমানে শুঁটকি রেখে যতই ভয় দেখাও বিড়াল শুঁটকিতে মুখ দেবেই।

সুতরাং ভালো লাগুক আর না লাগুক-লম্পট, লুপারদের দৃষ্টি থেকে বাঁচতে নারীদের জন্য পর্দার বিষয়টা ভেবে দেখা উচিত । আর এটা তো সবারই জানা-চিরতা তেতো হলেও ফলাফল খুব মিষ্টি।


 ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।