আমরা গল্পে গল্পে মগ্ন ছিলাম, ছাদে চাদর বিছিয়ে আকাশের সাথে খুনসুটি
করছিলাম আর জোছনা দিয়ে ধুয়ে দিচ্ছিলাম মেঘের বিষাদ। পাতার অন্ধকার
থেকে বেরিয়ে আসা জোনাকির মিটিমিটি আলোর সাথে লুকোচুরি খেলছিলো স্তব্ধ
বাতাস, চাবি দিয়ে কেউ বুঝি খুলে দিচ্ছিলো নক্ষত্রনিবাস, আমার গল্পের নদী
বয়ে যাচ্ছিলো দক্ষিণে, যেখানে লুকিয়ে থাকে হরিণের দল, আর পালতোলা
নৌকোর সারি, আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম কাঠের পাটাতনে, খেয়াল করি নি ঝাঁক
ঝাঁক ইলিশের সরব উল্লাস ছুঁয়ে যাচ্ছিলো জলের শরীর, শিথিল মাঝির হাতে
আমাদের জীবনের ছেঁড়াফাটা সময়গুলো গুঁজে দিচ্ছিলাম, অথচ স্বপ্নের ভেতর বড়ই
নিঃসঙ্গ মনে হচ্ছিলো আমাকে। আমার কি তবে কেউ নেই? আমি একলা হাটুরের
মতো বয়ে নিয়ে যাচ্ছি বাজারের আনাজ। কার জন্যে এই তক্তপোষ, জলচৌকি,
বিছানা-বালিশ। আকাশের সাথে ভুল গল্পে যখন প্রহর কেটে গেলো তখন দেখলাম
ছাদে বিছানো চাদরের নিচে অচল মুদ্রার গড়াগড়ি, পকেটে টাকা তো দূরের কথা
সিকি-আধুলিও নেই। আমার হিসেবের খাতায় জমা হয়েছে শুধুই খরচের ফর্দ,
ছিঁড়তেও পারি না সঙ্কোচে। খুনসুটি শেষ করে দাঁড়াতে গিয়ে দেখলাম, পায়ের
পাতায় কালসিটে দাগ, কপালের ভাঁজ থেকে খসে পড়লো ত্বকের খোলস, ঝোলানো
ক্যালেন্ডার থেকে কেউ যেন ছিঁড়ে ফেলেছে মাসের হিসেব, আমার জন্মদিন কবে
আমি মনেই করতে পারলাম না। মা বলেছিলো, আশ্বিনের কোনো এক দিন হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।