আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১১ বছর পর জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি গ&#

চট্টগ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুলতান ড্রাইভার ওরফে কালা সুলতানকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ মামলা দায়েরের ১১ বছর পর রবিবার রাতে কঙ্বাজার সদরের লাইট হাউস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আকতার জানান, ঘটনার পর থেকে সুলতান কঙ্বাজারে পালিয়ে ছিলেন। কঙ্বাজারে তিনি নিজের নাম বদলে নুরুল ইসলাম নামে বসবাস করছিলেন। ওই নামে তিনি নতুন জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করেন। সেখানে গিয়ে প্রথমে রিকশা চালান, এরপর কয়েক বছর কাঁচা তরকারির ব্যবসা করেন। তিন বছর ধরে একটি রেস্টুরেন্টে ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছেন। তার স্ত্রী ও সন্তান ফটিকছড়িতে অবস্থান করলেও এলাকার লোকজন জানত সুলতান বিদেশে অবস্থান করছেন। গ্রেফতারের পর সুলতান নিজেকে নুরুল ইসলাম পরিচয় দিলে ডিবি পুলিশ কিছুটা বিপত্তিতে পড়ে। পরে ফটিকছড়ি থেকে লোক এনে তার পরিচয় নিশ্চিত হয় ডিবি। সুলতান ড্রাইভার জামাল উদ্দিন অপহরণ মামলা ছাড়াও ফটিকছড়ি থানায় একটি অস্ত্র মামলার আসামি। সুলতান ডিবি পুলিশকে জানান, জামাল উদ্দিনকে অপহণের পর ফটিকছড়িতে নিয়ে গেলে কাঞ্চননগরের চারা বটতল এলাকায় তিনিসহ চারজন তাকে গ্রহণ করেন। সেখান থেকে তাকে গহিন পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। জামাল উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা পর্যন্ত সুলতান ড্রাইভার, কালা মাহবুব, লম্বা মাহবুব ও টেংরা ওসমান তার দেখাশোনা করেন। আদালত সূত্র জানায়, ঘটনার তিন বছর পর ২০০৬ সালের ২০ জুন আদালতে এ মামলার প্রথম চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। কিন্তু চার্জশিটে মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম ও তার ভাই মারুফ নিজাম বাদ পড়ায় নারাজি আবেদন করেন জামাল উদ্দিনের স্ত্রী নাজমা আক্তার খানম। এরপর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার হামিদুল হক।

২০০৬ সালের ১০ জুলাই আদালতে পুনরায় চার্জশিট দাখিল করেন তিনি। এতে অভিযুক্ত হন ১৬ জন। এ চার্জশিটেও মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্তদের বাদ দেওয়ায় নারাজি আবেদন জানান বাদী। সর্বশেষ চার্জশিটে যে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন শহীদ চেয়ারম্যান, কালা মাহবুব, শফিকুল আলম, সোবহান ড্রাইভার, সুলতান, শওকত, মনসুর, কাশেম চেয়ারম্যান, ইসহাক, নাজিম, ইউনুচ, লম্বা মাহবুব, আলমগীর, ওসমান, রফিক ও শাহজাহান।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই নগরীর চকবাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন। অপহরণকারীরা তখন তার মুক্তির বিনিময়ে ১ কোটি টাকা দাবি করেন। ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট ফটিকছড়ির দুর্গম এলাকা থেকে জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল উদ্ধার করে র্যাব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দুর্গম এলাকায় নিয়ে যান এ মামলার অন্যতম আসামি, ফটিকছড়ির শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা মাহবুব। পরে জবানবন্দিতে মাহবুব বিএনপি নেতা সরওয়ার জামাল নিজাম ও মারুফ নিজাম এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানান। ২০০৯ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে কারাগারে মারা যান কালা মাহবুব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.