আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শফথ

আবুল মালে শিষ্টাচারের ছবক দ্যায়, কই যামূ ??


"শিষ্টাচারের একটা লেভেল থাকা উচিৎ" - আবুল মাল। লোটার উদ্দেশ্যে।

চালনী কয় সূইঁয়েরে, তর পাছায় ফুটা।


লোটাস কামালে কইল, ”২০০ / ২৫০ পাতার বাজেট পড়তে পড়তে উনি শুইয়া পড়েন। আরে এতো গান গাওন লাগে নি? ১৬ পাতার একটা কনডেন্স পেপার পড়লেই অয়।



কথা কিন্তুু এক অর্থে ঠিকই। ১২ হাত কাকঁেড়র ১৩ হাত বিঁচি। গরীবস্য গরীব দ্যাশের কি বিশাল বাজেট ”মাল”। ঐ রির্পোট দিয়া মাথায় বাড়ী দিলে দশা শ্যাষ।

উন্নত দ্যাশেও এতো গালভরা বাজেট অয় না।

কনডেন্স পেপার কয়েক পাতা আর যাগো আরো ডিটেলে যাওন দরকার তাগো লিগা এ্যানেক্সার। কাম শ্যাষ।

কামালে আরও কইছে, ”পিপিপি এক আজব মাল! এইটা খায় না পিন্দে ?”
আবুল মালে জবাবে কইছে, ”উনার বোঝার অক্ষমতা। ”

আবুল মালও লিখতে পারে কারণ ছিলো কেরাণী। কামালেও ঐটা কইতে ডিজার্ভ করে।

কারণ সে বেসিক্যালী একজন চার্টাড এ্যাকাউন্টেন্ড। ঐসব আবুলের করণীক কামে খূঁত ধইরাই কামালগো পেশার প্যাট চলে।

এইবার একটু এথিকস্ বা নৈতিকতা নিয়া প্যাচাল পাড়ি। ঐ দু হালাই ধোয়া তুলসী পাতা না।
এরশাদ জমানায় দ্যাশে যখন লুটপাটের মহোৎসব শুরু অইলো, দূর্ণীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাইলো তখন বিশ্বব্যাংক থেইকা রিটায়ার কইরা আবুল মালে হইলো এরশাদের অর্থমন্ত্রী / অর্থসচিব।

(এতো বছর পর মনে পড়তাছে না। )
তবে মনে আছে ”গ্রামীণ ব্যাংক” এরশাদের নিদের্শে আবুল মালই ডঃ ইউনুছরে সরকারী সব প্রিভিলেজ দিয়া গইড়া দিছিল। আর ঐযে লুটপাটের কাল তাও এই মালের আমলেই শুরু। ভবিষ্যতে কোনো অর্থনীতির গবেষক যখন সেই অমানিশার কালের অর্থনীতির গবেষণা করবো তখন আবুল মালের দায় প্লাটিনাম অক্ষরে ল্যাখা অইবো।

আরে আবুলের অর্থমন্ত্রী / অর্থসচিব থাকন কালে একা এরশাদই দ্যাশের বাজেটের অর্ধেক হাপিস কইরা দিছে।

”ফোবর্স” পুরা ঠিকুজি / তালাস লইয়া ৯০ পরবর্তী সরকাররে দিলো। সরকারের ”আন্তরিক” অনিচ্ছা, সুইস সরকারের অবজ্ঞা, সুইস ব্যাংকের অসহযোগিতা, এরশাদের আর্মি মার্কা পাঁঠা শরীল যম রিমান্ড সহ্য কইরা ঐ যজ্ঞের ধন সুইস ব্যাংকে ধইরা রাখছে। তাঁর খাজাঞ্চি প্রত্থমে আছিল আমগো ”ঢাকার মেয়র” ”বরিশালের” নাজিউর রহমান মঞ্জু !!! নাজিউরে এরশাদের ট্যাকার হিসাব ঠিকঠাক মতো দিতে পারলো না। এরশাদ লাত্থি মাইরা নাজিউররে দল ত্থিক্কা বাইর কইরা দিলো। নাজিউরও দ্যাশের মরণদশায় জান বাজী।

দ্যাশ বাচাঁইতে অইবো। (আদতে নিজের পিঠ বাঁচাইতে অইবো। ) খুইলা বইলো জাতীয় পার্টি (নাজিউর)। লোকে কইতো জাতীয় বেজী। এহন আবার তার পোলার বড় বড় কথায় তব্দা খাইয়া যাই।



আমি বুইজা পাই না এই আটকুঁইড়া এরশাদ মরলে সুইস ব্যাংকের ঐ যজ্ঞের ধন কার প্যাটে যাইবো ? যাউক গা। ম্যালা প্যাচাল অইছে (তবে প্রাসঙ্গিক)।

মোদ্দা কথা, আবুলের দায় আছে ইতিহাসের ঐ অবক্ষয় কালে।

লোটাস কামাল ? যদি দ্যাশে বিকৃত পূজিঁবাদ না থাকতো, সত্যিকারের অপেন মার্কেট ইকোনমি বা ফ্রি মার্কেট কন্ডিশন বা অলিগপলি না হইয়া পূর্ণ প্রতিযোগিতা মূলক, গর্ভণমেন্ট ইন্টারভেনশন ফর ট্যাকল্ মার্কেট ম্যানিপুলেশন (অবশ্যই ”ধ্বজ্জভঙ্গ নয়” এমন সিরিউরিটি এক্সচেঞ্জ দ্বারা) সিষ্টেম থাকতো তবে লোটাস কামাল, দরবেশ বাবা, বাদল, বাবুল (আরো আরো নাম অখ্খন মনে পড়তাছে না) ইত্যাদিগো ৩/৪ বার ফাঁসি হইয়া যাইতো।
খাঁটি বুর্জোয়া পশ্চিমাগো কথা বাদই দিলাম।

আমগো ফার ইষ্টের জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক পরিক্রমা ঘাইটা দ্যাখেন, ৭ খুন করলে মাফ মাগার ট্যাক্স ফাঁকি, ভ্যাট ফাঁকি, মার্কেট ম্যানিপুলেশন করলে মরণের অধিক শাস্তি।



এইবার উনাগো ডায়ালগ একটু ভাজি। লোটাস কামাল বলছে, শুইয়া পড়েন (‌‌‌‌‌laid down) যথেষ্ঠ শালীন (sobar) আবুলের বলার(gesture) তুলনায়।

আর আবুল কয়, রাবিশ( সোজা বাংলায় আর্বজনা, গু), ষ্টুপিড(ভোদাই), রাসকেল(বদমাইশ, হারামী, ভূয়া)। ২০০ বচ্ছর ব্রিটিশের গোলামী করছিতো, (অবচেতন) মনে গালি গুলান মিঠা মিঠা লাগে।

কেউ কিছু কই না, পরতিবাদ করি না, তৎনগদ অর কানের নীচে পাঁচ আ ঙ্গুলের বয়রা লাগাই না। যা অর হক্ক পাওনা।

মাগ্গো, (গালে হাত দেওনের ইমো হইবো। ) ১. রাবিশ ২. ষ্টুপিড ৩. রাসকেল তিনটা শব্দের কমবিনেশন / পারমুটেশন দিয়া গত র্টাম/৫ বচ্ছর চালাইয়া দিলো !! ধন্যি ”মাল”।

হয় অর ট্যাঁকে ঐ ৩ শব্দ ছাড়া আর কোনো ষ্টক নাই নাহয় আর যা আছে তা এ্যার চাইয়াও ইতর তর।

বিশ্ব ব্যাংকের কামলা বইলা কথা।

কতবড় কমিনা দ্যাখেন, ৫২০০ ট্যাকার আকাঙ্খায় গড়ে ১৭ ঘন্টা গতর খাটাইয়া তাজরিনে গার্মেন্টস্-এ মউত অয় ২০০ জন মাখলুকাতের (২০০ই তো না আরো বেশি ??), রানা প্লাজায় ১০০০ জন মাখলুকাতের (১০০০ ই তো না আরো বেশি ??) । কোনো রাও নাই। তার পালটা পালটি ”মালের” মতো কেরাণী গিরি কইরা সাদা কাগজে কারিশমা কইরা ৪০০০ কোটি ট্যাকা এক জন মাত্তর মাখলুকাত তানভীর-এর হস্তগত অয়। মালে কয় ৪০০০ কোটি ট্যাকা কিছুই না!

যাউক গা, কথায় কথা বাড়ে,
ভোজনে প্যাট ভরে।



যাই, দুগগা খাইয়া
চিত্তর হইয়া হুইতা পড়ি।
কি অইবো দ্যাশ দ্যাশ কইরা।

(অপ্রমিত বানান ইচ্ছাকৃত) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.