আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুচবে কি শ্রীলঙ্কার শিরোপা খরা

মিরপুরকে এখন দ্বিতীয় বাসস্থানই বলা যায় মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমারা সাঙ্গাকারাদের। দুই মাস ধরে ঘরের ছেলে হয়েই এখানে ক্রিকেট খেলছেন এরা। শুধু এই দুজনই নন, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলই খেলছে টানা। প্রথমে বাই লেটারাল সিরিজ। এরপর এশিয়া কাপ।

এখন টি-২০ বিশ্বকাপ। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে মিরপুরের উইকেটে সবচেয়ে পরিচিত লঙ্কানদের কাছে। কন্ডিশনের এই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে কি বিশ্বকাপ শিরোপা বন্ধ্যত্বের খরা ঘুচাতে পারবে দ্বীপরাষ্ট্র? এ জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে কাল পর্যন্ত।

১৯৭৫ সাল থেকেই বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটি। শুরুতে শুধু অংশগ্রহণেই সীমাবদ্ধ ছিল দলটির কার্যক্রম।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তিধর থেকে মহাশক্তিধর হয়ে ওঠে দলটি। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে চমকে দেয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তের প্রায় সব আসরের ফাইনালই খেলেছে দলটি। কখনো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, কখনো হয়নি। তবে ১৯৯৬ সালের পর আরও দুইবার ওয়ানডে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে দ্বীপরাষ্ট্র।

সন্তুষ্ট থেকেছে রানার্সআপ হয়েই। ওয়ানডে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ ফাইনালে যেমন তিনবার ফাইনাল খেলেছে অর্জুনা রানাতুঙ্গা, অরবিন্দ সিলভার শ্রীলঙ্কা, তেমনি কুমারা সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনেরাও খেলেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল। খেলেছেন সবগুলো টি-২০ বিশ্বকাপ এবং খেলেছেন ২০০৯ ও ২০১২ সালের ফাইনাল। কিন্তু জেতা হয়নি শিরোপা। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে।

ওই ম্যাচে সাঙ্গাকারা খেলেছিলেন ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং মাহেলা করেছিলেন মাত্র ১ রান। ২০১২ সালে ঘরের মাঠে ফাইনালে হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৩৬ রানে। মাহেলার ব্যাট থেকে বেরিয়েছিল ৩৩ রান এবং সাঙ্গাকারা করেছিলেন ২২ রান। এবার তৃতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলবে সংক্ষিপ্ততম ভার্সানের আসরের। এই ফাইনালই আবার দুই লঙ্কান তারকা ক্রিকেটার মাহেলা ও সাঙ্গাকারার টি-২০ ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচও।

আইসিসির ব্লক বাস্টার ইভেন্টটি শুরুর আগেই দুই তারকা ক্রিকেটার ঘোষণা দিয়েছিলেন টি-২০ ক্রিকেটে যতি টানার। দেশের মাটি ছাড়ার আগে জানিয়েছিলেন সাঙ্গাকারা এবং ঢাকায় পা রেখে বলেছিলেন বন্ধুর পথ অনুসরণের কথা। দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের অবসরের ঘোষণায় বিস্ময় প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কান দলের প্রধান নির্বাচক সনৎ জয়সুরিয়া।

দুই তারকার বিদায়টা যেন ভালো হয়, মরিয়া থাকবেন সতীর্থরা। নিজেদের শেষ ম্যাচটিকে স্মরণীয় করে রাখতে চেষ্টার সর্বোচ্চটাই করবেন দুই সাবেক অধিনায়ক।

টি-২০ ক্রিকেটে দুজনের অভিষেক একই ম্যাচে। ২০০৬ সালের ১৫ জুন সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল। অভিষেক ম্যাচে শূন্যতে রান আউট হয়েছিলেন মাহেলা। সাঙ্গাকারার ব্যাট থেকে বেরিয়েছিল ২১ রান। দুই বন্ধু কাল ফাইনাল দিয়েই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ব্যাট, গ্লাভস ও প্যাড তুলে রাখবেন।

ফলে ক্রিকেট বিশ্ব হারাবে শৈল্পিক দুই ক্রিকেটারকে।

দুই শৈল্পিক ক্রিকেটারের বিদায়ের ম্যাচটি জেতার জন্য শতভাগ চেষ্টা করবেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। আর তাতে যদি বাজিমাত হয়, তাহলে দুই গ্রেট ক্রিকেটারের বিদায়টা যেমন হবে স্মরণীয় এবং বর্ণাঢ্য, তেমনি দেড় যুগ পর বন্ধ্যত্ব ঘুচবে বিশ্বকাপ শিরোপার খরা।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।