যখন এই কলাম ছাপা হবে, ভারতের বহু আলোচিত সাধারণ নির্বাচন তখন শুরু হয়ে যাবে। ৭ এপ্রিল থেকে ভোটপর্ব শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ মে এবং ফলাফল জানা যাবে ১৬ মে। ৯টি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৮১ কোটির বেশি ভোটারের এই নির্বাচন। অনেক গণতান্ত্রিক দেশেই একই দিনে নির্বাচন হয়ে থাকে। ভারত এর ব্যতিক্রম।
কিছু দিন আগে ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার শাহাবুদ্দীন ইয়াকুব কোরায়শী। কেন তার দেশের ভোটপর্ব একদিনে সম্পন্ন হয় না, এ প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ভারতের বিশালত্ব এবং স্বচ্ছ ভোটের কারণেই এটা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, বিশাল দেশে পাহাড়-পর্বত থেকে শুরু করে অনেক দুর্গম অঞ্চল রয়েছে- যেখানে ভোটের সরঞ্জাম পেঁৗছানো এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ বড় কাজ। ১২০ কোটির মানুষের দেশে ৮১ কোটির বেশি ভোটারের দায়িত্ব যথাসম্ভব সূচারুভাবে পালন করার জন্যই পর্যায়ক্রমে নির্বাচন হয়ে থাকে। তবে ফলাফল জানা যাবে একই দিনে।
কোনোভাবেই আগে জানার সুযোগ নেই।
জনাব কোরায়শীর পরিচালনায় নির্বাচন বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। পূর্বে টিএন সেশানের মতো কঠোর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নীতি ও নিষ্ঠার জন্য তাদের নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা কুড়িয়েছে। প্রধান ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ ও দক্ষতা নিয়ে ভারতে সহজে প্রশ্ন উঠে না। স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই এটা হয়ে থাকে।
তাই তাদের রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তিগত পক্ষপাতিত্বের বিষয়ে সহজে কোনো প্রশ্ন উঠে না। দক্ষিণ এশিয়ায় সম্ভবত সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশে। বিভিন্ন সময়ে তাদের কর্মকাণ্ড, বেসামাল কথাবার্তা এবং মানসিকতা জনগণকে হতাশ এবং ক্ষিপ্ত করেছে এবং করছে। তবে এটাও অনস্বীকার্যভাবেই সত্য, বাংলাদেশের নির্বাচনের কঠিন পরীক্ষায় কোনো কোনো প্রধান ও অন্য কমিশনাররা সমাদৃত হয়েছেন স্বীয় সততা এবং আদর্শের কারণে। তারা অবশ্যই আমাদের গণতন্ত্রের ইতিহাসে দৌপ্যমান থাকবেন চিরদিন।
পক্ষান্তরে, যাদের নিয়োগ থেকে কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ, তাদের অবস্থান সেভাবেই বিধৃত হবে ইতিহাসে। ভোট হলো গিয়ে মানুষের একটি পবিত্র আমানত। এই দায়িত্ব পালনের শপথ নিয়ে এটা জ্ঞানত না করার ব্যর্থতা কিংবা সজ্ঞানে অপবিত্র করা অবশ্যই অপরাধ। সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করা আরও বড় অপরাধ। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ উদ্ভবের একটি বড় কারণ হলো গণতন্ত্র, যা কিনা উপেক্ষিত ও কলঙ্কিত হয়েছে বারবার পাকিস্তানি জামানায়।
এই ভোট ও গণতন্ত্র যখন বিভিন্ন সময় শাসকদের দ্বারা সংকীর্ণ স্বার্থে বিঘি্নত হয়, তখন আর যাই হোক গণতন্ত্র নামের বিষয়টির অস্তিত্ব থাকে না। সেটাই বিশদভাবে বলছিলেন জনাব কোরায়শী যিনি হলেন আইএএস অর্থাৎ ভারতের সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তা। পেশাগতভাবে ধীরে ধীরে সততা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে শেষ পর্যন্ত বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হয়েছিলেন। অবসর গ্রহণের পর সভা-সমিতি, সেমিনার, লেখালেখি করেন। যাই হোক, ভারতের ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার পর থেকে সফলতা-ব্যর্থতা দুই থাকলেও নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ প্রায় নেই বললেই চলে।
ভারত যেমন একদিকে বেশ আগেই দুর্লভ আণবিক শক্তির অধিকারী হয়েছে, অন্যদিকে অজস্র মানুষ সামান্য অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের নূ্যনতম চাহিদা থেকে আজও বঞ্চিত। 'রোটী, কাপদা ও মাকান' সেখানে বিরাট জনগোষ্ঠীর কাছে যেন সোনার হরিণ। তা সত্ত্বেও গণতন্ত্র এবং ভোটের নিরপেক্ষতা তারা কলঙ্কিত হতে দেয়নি। এর জন্য দেশটি প্রশংসার দাবিদার, যা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য গণতন্ত্রে সম্ভব হয়নি।
সেই ভারতের নির্বাচন অবশ্যই একটি বড় গণতান্ত্রিক ঘটনা এবং সে কারণেই দেশে-বিদেশে এপ্রিল-মে মাসের নির্বাচন নিয়ে এত কৌতূহল ও আগ্রহ।
বিভিন্ন কারণে এবারের ভোটপর্ব নিয়ে গুরুত্ব ও আলোচনা অতীতের অনেক বছরের মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আলোচনার মুখ্য বিষয় হচ্ছে স্পষ্টত কোন দল এবং মোর্চা ক্ষমতায় আসবে এবং কে হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী? এসব ইস্যু নিয়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ চলছে অন্তহীনভাবে এবং সেটা চলমান থাকবে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত। তখন ফলাফলের ভিত্তিতে নতুনভাবে শুরু হবে বিতর্ক ও বিশ্লেষণ। নির্বাচনের একটি বড় উপাদান হলো দেশের সংখ্যালঘু ভোটাররা এবার কোন দিকে যাবে? তারা কি পুরনো ঐতিহ্য অনুযায়ী কংগ্রেসের দিকেই বহুলাংশে থাকবে, নাকি অন্য ধর্মনিরপেক্ষ দল- যেমন বামপন্থি এবং আঞ্চলিক দলগুলোর প্রতি তাদের আস্থা প্রদর্শন করবে? নাকি, ২০১৪ সালের ভোটের আগাম জরিপ ও সমীক্ষায় হিন্দু জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং এর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদির প্রতিও আকৃষ্ট হতে পারে? এ প্রশ্নগুলো এবারের নির্বাচনে বড় করে উঠে আসছে ভোটের তাৎপর্য এবং সংখ্যালঘুদের ভোটের প্রভাবের কারণে। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের অন্তত ৭০ থেকে ৮০টিতে সংখ্যালঘুদের ভূমিকা জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবে।
ভারতের বর্তমান কোয়ালিশন কালচারের কারণে কোনো দলই কিংবা মোর্চা সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসন পাবে না। তখন প্রয়োজন হবে সরকার গঠনের জন্য ছোট কিংবা আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থন। এসব আঞ্চলিক দল ও ছোট দলের নির্বাচনী ফলাফলে সর্বোপরি বড় দলগুলোর সাফল্য-ব্যর্থতায় সংখ্যালঘুদের একটি বড় ভূমিকা আছে।
দেশটির ১২০ কোটি মানুষের ১৫-১৬ শতাংশ সংখ্যালঘু এবং বাকিরা হিন্দু। এই সংখ্যালঘুদের ১২-১৩ ভাগ মুসলিম, ২ ভাগ শিখ এবং জৈন, বৌদ্ধ, পার্সিরা ও অন্যান্য এক ভাগ।
এই একভাগের সংখ্যাও প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ যা অনেক দেশের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। মুসলিমরা ১৪ কোটির বেশি যা হলো ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পরে। শিখরা পাঞ্জাব রাজ্যে হিন্দুদের প্রায় সমান। তবে শিখরা ছোট সংখ্যায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও বিশ্বের সর্বত্র অত্যন্ত কর্মঠ জাতি হিসেবে ছড়িয়ে আছে। যেহেতু মুসলমানরা সংখ্যালঘুদের মধ্যে সবচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং তাদের সংখ্যা ভারতে কম নয়, তাই তাদের ভোট আকৃষ্ট করার জন্য সর্বাত্দক চেষ্টা সবার রয়েছে।
বলাবাহুল্য, সব মুসলিম একই দল কিংবা মোর্চাকে ভোট দেবে এটা হতে পারে না। তবে একটা প্রবণতা থাকে, যার কারণে অধিকাংশই একদিকে ধাবিত হয়। ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে মুসলমানরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত ছিল। এর প্রধান কারণ, জাতীয়তাবাদী অনেক মুসলিম নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ-রফি আহমেদ কিদওয়াইরা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর পাকিস্তানে বিশ্বাস করেননি। তাই দেশ বিভাগের পর যেসব মুসলিম ভারতেই থেকে যান, তারা মূলত কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন।
তাছাড়া দলটি ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে লালিত হয়েছে। কংগ্রেসের সময়ই দুজন মুসলিম ড. জাকির হোসেন ও ফকরুদ্দীন আলী আহমেদ দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, যদিও এখনো কোনো মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হতে পারেননি। কাশ্মীরের পণ্ডিত পরিবারের নেহেরুরা মুসলিমদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছেন। কংগ্রেসের সময় আবদুল গফুর বিহারের, বরকত উল্লাহ খান রাজস্থানের, আবদুর রহমান আন্তলে মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আসামে আনোয়ারা তৈমুর মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।
পশ্চিম বাংলায় কংগ্রেসের সময় কোনো মুখ্যমন্ত্রী না হলেও নেতৃত্বে আবদুস সাত্তার, জয়নাল আবেদীন, গনি খান চৌধুরীরা প্রাধান্য পান। তবে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় থেকে মুসলিমদের ভোট কংগ্রেসের দিকে কমতে শুরু করে। ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কারণে মুসলমানরা কংগ্রেসের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। যদিও তখন উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার ছিল বিজেপির, কেন্দ্রে ছিল কংগ্রেস সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও মসজিদটি রক্ষার কোনো পদক্ষেপ নেননি।
পরবর্তীতে বর্তমান কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী ও তদ্বীয় পুত্র দলের উপপ্রধান রাহুল গান্ধী নরসিমার ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করলে মুসলিমরা আবার কংগ্রেসের প্রতি অনেকটা নমনীয় হয়। তবে আগের মতো ভোট ব্যাংক আর নয়। বিজেপি একটি সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে পরিচিত। দেশ বিভাগের পর থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি-দীন দয়াল উপাধ্যায়দের উগ্র হিন্দুবাদীর সংগঠন আরএসএস ও তাদের রাজনৈতিক দল জনসংঘ মুসলিম বিদ্বেষী। তবে ১৯৭৭ সালে জনসংঘ জনতা দলে মিশে গেলে এবং পরবর্তীতে বিজেপির আবির্ভাব হলে স্বল্পসংখ্যক মুসলমান তাদের সমর্থন দেয়।
সিকান্দার বখত বিজেপির নেতা ও মন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে দলটির সহসভাপতি মুখতার আব্বাসী এবং অন্যতম মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহ্নেওয়াজ। নরেন্দ্র মোদিও দাবি করছেন, তিনি ভারতের সব সম্প্রদায়ের নেতা হতে চান। তা সত্ত্বেও খুব অল্পসংখ্যক মুসলিমই হয়তো মোদির পক্ষে ভোট দেবে। সম্প্রতি, সোনিয়া গান্ধী দিলি্লর জামে মসজিদের ইমামের সঙ্গে দেখা করে মুসলিম ভোট চেয়েছেন এবং আবেদন করেছেন যে, এই মুসলিম ভোট যেন বিভক্ত না হয়।
এতে রুষ্ট হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি এবং বলেছেন কংগ্রেস নির্বাচনে তীব্র সাম্প্রদায়িকতার কার্ড ব্যবহার করছে। ইমাম বোখারি দেশে কংগ্রেস, পশ্চিমবঙ্গে মমতার তৃণমূল এবং বিহারে লালুপ্রসাদের দলের জন্য মুসলিম ভোট চেয়েছেন।
ভারতের সব রাজ্যের মধ্যে শতকরা হিসাবে পশ্চিমবঙ্গেই মুসলিম সংখ্যা বেশি যা কি না ২৫ থেকে ২৭। কংগ্রেসের ক্ষমতা হারানোর পর বামপন্থিরা রাজ্যে বেশি সংখ্যালঘু ভোট পেয়েছে। তখন বামফ্রন্ট সরকারের হাশিম আবদুল হালিম, মনসুর হাবীবুল্লাহদের মতো মুসলিম নেতাদের প্রাধান্য ছিল।
কিন্তু গত লোকসভা ও রাজ্য নির্বাচন থেকে মুসলমানদের ভোট বহুলাংশেই মমতা ব্যানার্জি পেয়ে আসছেন। এবারও সেটা বজায় থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। মমতা সংখ্যালঘুদের আস্থা অনেকটা অর্জন করতে পেরেছেন। দুর্বল অবস্থানের কারণে কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের ভোট পাবে খুবই কম।
ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশে মুসলিম ভোট প্রায় ২০ শতাংশ।
একই রাজ্যে ৮০টি লোকসভার আসনে সংখ্যালঘু ভোট বড় ফ্যাক্টর বলে বিবেচিত। গত নির্বাচনে অর্থাৎ ২০০৯ সালে দলটি ১০টি আসন পেয়েছিল যার মধ্যে রায়বেরেলি থেকে সোনিয়া ও আমেথি থেকে রাহুল গান্ধী ছিলেন। এবারও তারা আছেন। গতবার এই রাজ্যের মোরাদাবাদ থেকে সাবেক ক্রিকেট তারকা মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন জয়লাভ করেছিলেন যদিও তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষ। এবার আজহার হয়তো রাজস্থান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
উত্তর প্রদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে ধর্মনিরপেক্ষ মুলায়েম সিং যাদবের রাজ্যে শাসক সমাজবাদী পার্টি, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর ভূজন সমাজ পার্টি এবং অবশ্যই বিজেপি। মায়াবতী ও মুলায়েম সিং যাদব মুসলিমদের ভোট পেয়ে থাকেন। তবে কয়েক মাস আগে এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে মুলায়েমের পুত্র মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের নীতির কারণে সমাজবাদী দলে ভোট কমবে। বিজেপিও সংখ্যালঘু ভোট চাচ্ছে এবং বলছে তাদের নেতা অটল বিহারি বাজপেয়ির প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ই মুসলিম বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালামকে দেশের রাষ্ট্রপতি করা হয়েছিল। ভারতের অধিকাংশ বড় রাজ্যেই মুসলিম ভোট আছে।
মুসলমানদের স্বতন্ত্র দল ছোট মুসলিম লীগও আছে। এই দলটি দক্ষিণের কেরালা রাজ্যে দুটি আসন পেয়ে আসছে।
শিখদের নিজস্ব আকালি দল থাকলেও কংগ্রেসও তাদের ভোট পায়। বিজেপির সামান্য সমর্থন আছে। ১৯৮৪ সালে শিখ দেহরক্ষী দ্বারা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা নিহত হলে, প্রচুর শিখ দাঙ্গায় নিহত হয়।
তখন থেকে শিখদের কংগ্রেসবিরোধী মনোভাব গড়ে ওঠে। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী প্রথম শিখ হিসেবে মনমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী করায় শিখরা এখন বেশ সন্তুষ্ট। পূর্বে প্রথম শিখ হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী জৈল সিংকে রাষ্ট্রপতি করেছিলেন। তবে কংগ্রেসের ২০১৪ সালের নির্বাচনে দুর্নীতি ও অন্যান্য কারণে খারাপ সময়ে সংখ্যালঘু ভোট কতদূর সাহায্য করতে পারবে- তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তথাপি সংখ্যালঘুদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের বিশ্লেষক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।