আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুবরাজের পাশে প্রিয় টেন্ডুলকার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে বাজে পারফরম্যান্স যুবরাজ সিংয়ের ভবিষ্যত্টাই অন্ধকার করে দিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে জোর আলোচনা এই ড্যাশিং অলরাউন্ডারকে আর কোনো দিন ভারতের নীল জার্সি পরে খেলতে দেখা যাবে কি না। ফাইনালে যুবরাজ সিংয়ের ২১ বলে ১১ রানের ‘ইনিংসে’র পর সবাই প্রমাদ গুনছেন তাঁর পেছনে ১৪ কোটি রুপি খরচ করা আইপিএল দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু মালিকের এই মুহূর্তে কী দশা। ফাইনালের রাতে ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা যুবরাজের চণ্ডীগড়ের বাড়িতে ঢিল ছুড়তেও দ্বিধায় ভোগেননি।

ক্রিকেট জীবনের সবচেয়ে বাজে সময় বোধ হয় চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছেন যুবরাজ।

সেই সঙ্গে এর শেষটাও কী নয়? সবাই যখন এই বাঁহাতির পিণ্ডি চটকাতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই দস্তুরমতো তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার।

যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে টেন্ডুলকারের সম্পর্কটা প্রায় প্রবাদপ্রতিম। ভারতীয় দলের সাজঘরে তাঁদের বন্ধুত্ব চোখে পড়ত আলাদাভাবেই। সেই টেন্ডুলকার নিজের ফেসবুক পেজে বিরাট এক বিবৃতি দিয়ে এই বিপদের দিনে সমর্থন জুগিয়েছেন তাঁর প্রিয়জনকে।

সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমে টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘অনিশ্চয়তাই ক্রিকেটকে এতটা উত্তেজক খেলায় পরিণত করেছে।

আমরা জেতার পর সব সময়ই ভক্ত-সমর্থকদের হাততালি উপভোগ করি। কিন্তু সবচেয়ে বেশি দাম দিই হারার পর ভক্তদের অনুপ্রেরণা। আমরা সবাই যুবরাজের গর্বে গর্বিত ছিলাম ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাঁর পারফরম্যান্সও বন্দনার ব্যাপার। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি, ফাইনালটা তার জন্য ছিল বাজে দিন, কিন্তু তাই বলে কি আমরা তার সব অর্জনকে ছুুড়ে ফেলে দেব? আমরা কি কেবল তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাব?’

যুবরাজ সিংকে ‘লড়াকু মানসিকতা’র খেলোয়াড় এবং ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে টেন্ডুলকার তাঁর বিবৃতির পরের লাইনে লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত লড়াকু মানসিকতার যুবি যেমন অতীতে লড়াই করে অনেক প্রতিবন্ধকতা থেকে নিজেকে বের করে নিয়ে এসেছে, আগামী দিনগুলোতেও সে তা-ই করবে।

লড়াই করেই সে নিজের খারাপ সময়কে পেছনে ফেলে আসবে। ’

প্রিয় বন্ধুর অতীত রেকর্ডের কথাও সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন কিংবদন্তি, ‘তুমি যে সুন্দর অতীত আমাদের সবাইকে উপহার দিয়েছ, মাত্র একটি দিনের বাজে পারফরম্যান্স তা মিথ্যে করে দিতে পারে না। ’
বিবৃতির শেষ লাইনটি সবচেয়ে উত্সাহব্যঞ্জক, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যুবি একটু “ডাউন” ছিল। কিন্তু আমি নিশ্চিত সে “আউট” হওয়া থেকে অনেক দূরেই দাঁড়িয়ে আছে। ’ পিটিআই।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.